বিয়ে করলে কমে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি, বলছে গবেষণা
বিবাহিত বা সম্পর্কে থাকা ব্যক্তিদের ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম থাকে। সিঙ্গলদের তুলনায় বিবাহিতদের আয়ুষ্কালও অনেক বেশি হয়। স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, ডিপ্রেশনের আশঙ্কাও কমে যায়। খাদ্যাভ্যাসও অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হয় তাদের। এছাড়াও একা থাকার তুলনায় স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সুখী বিবাহিত জীবনের বিরাট ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে।
সম্প্রতি সম্পর্কে থাকা মানুষ এবং বিবাহিতদের নিয়ে নতুন এক স্টাডি করেছেন কানাডার লুক্সেমবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা। সেই গবেষণা থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।
বিজ্ঞাপন
৫০ থেকে ৮৯ বছর বয়সী ৩ হাজার ৩৩৫ জন প্রাপ্তবয়স্কের থেকে নেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকরা এমন সিদ্ধাতে উপনীত হয়েছেন। উল্লেখ্য, স্টাডি শুরুর সময় ওই ৩৩৩৫ জনের ব্লাড সুগার ছিল না।
গবেষকরা বিশ্লেষণ থেকে প্রাপ্ত প্রকাশ করেছেন বিএমজে ওপেন ডায়াবেটিস রিসার্চ অ্যান্ড কেয়ার জার্নালে।
ওই স্টাডিতে অংশগ্রহণকারীদের দেহ থেকে রক্তের নমুনাও সংগ্রহ করা হয় ও এইচবিএ১সি পরীক্ষাও (গত তিন মাসে রক্তে গড় গ্লুকোজের মাত্রা) করা হয়।
অংশগ্রহণকারীদের স্বামী, স্ত্রী অথবা কোনো সঙ্গী আছে কি না এবং তার সঙ্গেই ওই অংশগ্রহণকারী বাস করছেন কি না তা জানা হয়। এমনকি ওই সম্পর্কে থেকে তারা আনন্দে আছেন না উদ্বেগে ভুগছেন তাও জানতে চাওয়া হয় অংশগ্রহণকারীদের কাছে।
স্টাডি থেকে জানা যায়, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭৬ শতাংশ ব্যক্তি ছিলেন বিবাহিত।
গবেষকরা প্রাপ্ত তথ্য থেকে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে— ‘বিবাহিত বা লিভ ইন পার্টনার থাকার সঙ্গে এচিবিএ১সি –এর মাত্রার অনস্বীকার্যভাবে সম্পর্ক আছে। এমনকি বিবাহিত জীবন বা লিভ ইন পার্টনারের সঙ্গে কাটানো জীবন যথেষ্ট উদ্বেগপূর্ণ হলেও গড় ব্লাড সুগার লেভেল-এ তার প্রভাব পড়ে। সম্পর্কগুলো এইচবিএ১সি-এর মাত্রার ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে প্রি ডায়াবেটিস পর্যায় পেরিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মেলে প্রতিরক্ষা।’
ডায়াবেটিস ইউকে প্রতিষ্ঠানের মতে, ব্রিটেনে ৪৯ লাখ লোকের ডায়াবেটিস আছে। ৮ লাখ ৫০ হাজার মানুষের রয়েছে অনির্ণীত টাইপ ২ ডায়াবেটিস।
উল্লেখ্য, গত বছরের এক গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে হার্ট অ্যাটাক থেকে দ্রুত সুস্থ হওয়ার ক্ষেত্রে সুখী দাম্পত্যের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে।
এমএ