নারীদের জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে গণ-টিকাদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসক এবং মেডিকেল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে র‍্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আজ (১৮ জানুয়ারি) এর আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটির গাইনি ও অবস বিভাগ। 

র‍্যালি শেষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি এন্ড অবস বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. শেহরিন এফ সিদ্দিকা। তিনি বলেন, জরায়ু মুখের ক্যান্সার নারী মৃত্যুর অন্যতম কারণ। এটি প্রতিরোধের সময় এসে গেছে। এজন্য প্রয়োজন গণ-সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা সবার কাছে নিয়ে যাওয়া। ৯ থেকে ৪৫ বছর বছর পর্যন্ত মেয়েদের সচেতন করা গেলে এবং সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা গেলে আগামী একশ বছরের মধ্যে জরায়ু মুখের ক্যান্সার সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা সম্ভব হবে।   

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপ্যাল অধ্যাপক ডাক্তার এখলাসুর রহমান, ভাইস প্রিন্সিপ্যাল অধ্যাপক ডাক্তার হাবিবুজ্জামান চৌধুরী, মডার্ন হেলথ গ্রুপের উপদেষ্টা মে. জে (অব.) আশরাফ আবদুল্লাহ ইউসুফ, অধ্যাপক ডাক্তার মাসুদা বেগম, অধ্যাপক ডাক্তার আব্দুস সালাম আরিফ, অধ্যাপক ডা. এম আলমগীর চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. জাকিয়া শহীদ ও অধ্যাপক  ডা. মৌসুমী সেন।

গত বছর থেকে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকা ‘প্যাপিলোভ্যাক্স’ বাজারজাত শুরু করেছে ইনসেপ্টা। প্যাপিলোভ্যাক্স ভ্যাকসিন জরায়ু মুখের ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা দেয়। এটি জরায়ু মুখের ক্যান্সারের জন্য দায়ী এইচপিভি ভাইরাসকে প্রতিরোধ করে। 

বাংলাদেশে ক্যান্সারে নারী মৃত্যুর মধ্যে জরায়ু মুখের ক্যান্সার দ্বিতীয় প্রধান কারণ। এই ক্যান্সারে মৃত্যুর প্রধান কারণ অসচেতনতা এবং অনেক বছরের অবহেলা। প্রতি বছর দেশে ১১ হাজারের বেশি নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে মারা যায় এবং ৫ কোটিরও বেশি নারী এর ঝুঁকিতে আছে। ৯ থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত সুস্থ নারীদের এই টিকা দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ জরায়ুমুখের ক্যান্সার নির্মূলের পথ অনেকটা এগিয়ে যাবে।

ওএফএ/কেএ