নীরবে মানুষের শরীরে বাড়তে থাকে কোলেস্টেরল। বেড়ে যাওয়ার আগে অনেক ক্ষেত্রেই বোঝা যায় না রক্তে কখন বেড়ে গেল খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা। আর এই খারাপ কোলেস্টেরল ডেকে আনতে পারে বিপদ। হতে পারে স্ট্রোক ও হৃদরোগের মতো গুরুতর সমস্যা। 

দেহে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা আছে কি না বা বেড়ে গেছে কি না, তা বোঝার সবচেয়ে ভালো উপায় রক্ত পরীক্ষা। আবার কিছু উপসর্গ দেখে আগে থেকে অনেক সময় বোঝা যায় খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ল কি না।  

রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে চোখের কিছু উপসর্গ থেকে তার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। একে বলা হয় জ্যানথেলাসমা। চোখ ও নাকের সংযোগস্থলে ত্বকের নীচে কোলেস্টেরল সঞ্চিত হওয়ার ফলে এমনটা হয়। চোখের নীচে বা চোখের পাতায় ব্যথাহীন ফোলা অংশ দেখা দিলে দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভালো। এটি রক্তে কোলেস্টেরল থাকার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ।
 
এছাড়াও এক চোখে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, চোখ ঝাপসা হয়ে আসা, চোখে ব্যথাও কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ হতে পারে। অনেক সময়ে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে চোখের রেটিনায় থাকা রক্ত প্রবাহে সমস্যা দেখা দেয়। ফলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে রক্তনালীতে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়। পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে হৃদযন্ত্রে চাপ পড়ে বুকে ব্যথা হতে পারে। কোলেস্টেরল জমলে মস্তিষ্কেও রক্ত সঞ্চালন কমে। এই কারণে ঘাড়ে ও মস্তিষ্কের পিছনের দিকে মাঝেমাঝে একটানা ব্যথা হয়। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।
 
বিশেষ দ্রষ্টব্য : এ লেখাতে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার উপসর্গ সম্পর্কে কেবল প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয়েছে। যে কোনো প্রয়োজনে, এ বিষয়ে আরও জানতে ও চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।  

এনএফ