১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন দেওয়া ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। 

তিনি বলেন, ১৬ বছরের নিচে শিশুদের ফোন ব্যবহার নয়। কারণ এই বয়সে শিশুরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে নিজের অজান্তেই তারা অনেক অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিভাগটির গত পাঁচ বছরের শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, সাধারণত এতো অল্প বয়সী ছেলে মেয়েরা কোনটি ভালো কোনটি খারাপ সেটি বুঝার সক্ষমতা থাকে না। তবে যেসব শিশু মোবাইলে আসক্ত তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। তারা এক সঙ্গে মোবাইল ফোন আসক্তি কমাতে পারবে না। এজন্য তাদের দিনে সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টা তবে একটানা আধাঘণ্টার বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করা বা দেখা যাবে না। এটি করতে পারলে হয়ত সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাবইউজ থেকে রক্ষা পেতে পারি।

তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বেশি বেশি প্রচার করতে হবে, সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুকে কোন অ্যাবইউজ করলে তা ধরা যায়, ধরা পড়লে বিচার হবে। এটি প্রচার করতে পারলে শিশুদের ইন্টারনেট তথা সাইবার অপরাধ অনেকাংশে কমে যাবে।  

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে সাবেক তথ্য কমিশনার ও দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক  অধ্যাপক গোলাম রহমান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। কোনটিতে লাইক, কমেন্ট দেওয়া যাবে তার জন্য সকলকে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সাইবার অপরাধ দমনে সচেতনতার বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন ও পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ শরিফুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মো. আতিকুল হক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শিশু ও সমন্বয় উইংয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।

টিআই/এসকেডি