ডিএনসিসি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

শনিবার (২২ অক্টোবর) রাত সাড়ে দশটার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সভা শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অধিদপ্তরের একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানিয়েছে, রোববার (২৩ অক্টোবর) থেকে ডিএনসিসি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসা শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে হাসপাতালটিতে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য চারটি ইউনিট চালু করা হয়েছে। একইসঙ্গে সেখানে ১২ জন চিকিৎসককে তিন শিফটে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এর আগে দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় কোনো একটি ডেডিকেটেড হাসপাতাল নিয়ে ভাবা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আমাদের অনুমোদন দিলেই কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসায় পুরনো পাঁচটি হাসপাতালে আমাদের পক্ষ থেকে স্পেশাল অ্যাটেনশন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে একটি নির্দেশনা রয়েছে। যে হাসপাতালে ডেঙ্গু কর্নার করা সম্ভব, সেখানে কর্নার করা হবে। আর যে হাসপাতালে আলাদা ডেঙ্গু ওয়ার্ড করা সম্ভব, সেখানে ওয়ার্ড করা হবে। এর বাইরে মেডিসিন ওয়ার্ডে গেট চিকিৎসা হবে। হাসপাতালগুলোতে রোগী যাই হোক না কেন শঙ্কার কোনো কারণ নেই, চিকিৎসা চলবে।

সংক্রমণ কমে আসবে কবে থেকে, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই পরিচালক আরও বলেন, এই মাসের মধ্যে কমে আসার কোনো লক্ষণ নেই। নভেম্বর মাসেরও এক-দুই সপ্তাহ যেতে পারে। এর আগে কমে আসার সম্ভাবনা খুবই কম। যদি বৃষ্টিপাত না হয়, যদি পরিছন্নতা কর্মসূচি ও চিরুনি অভিযান অব্যাহত থাকে এবং যদি বর্জ্য ব্যবস্থাপনাটা আরেকটু উন্নত হয়, তাহলে আশা করছি নভেম্বরের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে ডেঙ্গু সংক্রমণ কমে যাবে।

এদিকে দেশে গত এক দিনে রেকর্ড ৯২২ ডেঙ্গু রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৪০৪ জনে। এর আগে গত ১৮ অক্টোবর ৯০০ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

টিআই/আরএইচ