কেউ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত কিনা তা কিটের মাধ্যমে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানা যায়। এছাড়াও কিছু উপসর্গ রয়েছে সেগুলো দিয়েও অনেকটা অনুমান করা যায়। তবে এখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে শরীরের গন্ধ শুকে বোঝা যাবে। এমনটাই বলেছেন একদল ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ।

তারা বলছেন, গায়ের গন্ধ বলে দিতে পারে যদি কোনো ব্যক্তি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়। কারণ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে কিটোন অ্যাসিডের প্রাধান্য বেশি থাকে। 

শরীরে ইনসুলিন কম থাকায় রক্তে থাকা শর্করা, শক্তি উৎপাদন করতে পারে না। শক্তি উৎপাদনের জন্য লিভার ক্রমাগত স্নেহ জাতীয় পদার্থ ভাঙতে চেষ্টা কর। ফলে কিটোন নামক অ্যাসিড তৈরি হয়। রক্ত এবং প্রস্রাবে বিপজ্জনক হারে বাড়তে থাকে এই অ্যাসিডের মাত্রা। রক্তে পিএইচের ভারসাম্যও বিঘ্নিত হয়।

শরীরে কিটোন অ্যাসিড অত্যধিক হারে বেড়ে গেলে, তা সাধারণত শ্বাস-প্রশ্বাস, ঘাম এবং প্রস্রাবের গন্ধের মাধ্যমে জানান দেয়।

সাধারণত টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকলে, অস্ত্রোপাচার হলে বা নিয়মিত ইনসুলিন না নিলে কিটোঅ্যাসিডোসিস হতে পারে।

টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কিটোঅ্যাসিডোসিস হয় না বললেই চলে। তবে, দীর্ঘদিন ধরে রক্তে অনিয়ন্ত্রিত শর্করার মাত্রা কিটোঅ্যাসিডোসিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, খাবারের তালিকায় সুষম এবং পরিমিত কার্বহাইড্রেড সমৃদ্ধ খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে। কিটোঅ্যাসিডে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়।

এমএ