সাংবাদিকের ওপর হামলা, সেই হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ
নিবন্ধনহীন এবং ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনায় অভিযুক্ত কামরাঙ্গীরচরের এসপিএ রিভার সাইড মেডিকেল সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বিএমডিসির নম্বর জালিয়াতি করে হাসপাতালটিতে একাধিক ভুয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক হাসান মিসবাহ ও ভিডিও জার্নালিস্ট সাজু মিয়া।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. শফিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, 'এসপিএ রিভার সাইড মেডিকেল সেন্টার' ৬২, হাসান নগর, ভাই ভাই সুপার মার্কেট আশ্রফাবাদ (আবু সাঈদের ভিটা বাজারস্থ), কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নিবন্ধিত নয়। অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা বেআইনি বিধায় প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলো।
তবে পরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনলাইনে আবেদন করলে পরিদর্শন সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, হাসপাতালটির কোনো নিবন্ধন না থাকলেও স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় পরিচালনা করা হচ্ছিল। শুধু তাই নয়, হাসপাতালটিতে হওয়া অপ-চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও এর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ কেউ জানাতে পারতেন না। এসব ক্ষেত্রে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশের এসআই মিলন হোসেনসহ স্থানীয় প্রশাসন হাসপাতালটিকে আগলে রাখতেন।
আরও জানা গেছে, কোনো মেডিকেল কলেজে পড়ালেখা না করলেও বিএমডিসির নম্বর জালিয়াতি করে এখানে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিলেন একাধিক ভুয়া চিকিৎসক। স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে খোঁজ নিতে গেলে দুইজন সাংবাদিককে পেটায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগের জবাব না দিয়ে গত মঙ্গলবার উল্টো ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক হাসান মিসবাহ ও ভিডিও জার্নালিস্ট সাজু মিয়ার উপরে হামলা করে ক্লিনিকটির মালিক ডা. ওসমান ও তার কর্মীরা। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে আবার পেটানো হয় সাংবাদিকদের।
কামরাঙ্গীর চর থানা পুলিশ কর্মকর্তারা এমন অভিযোগ অস্বীকার করলেও এসআই মিলন হোসেনের কর্মকাণ্ডে লজ্জিত হওয়ার কথা জানায়। এরপর প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্সের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
টিআই/জেডএস