মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি পেলো বঙ্গভ্যাক্স
অবশেষে মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছে দেশে তৈরি গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা বঙ্গভ্যাক্স। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর আজ এই অনুমতি দেয়। একই বিষয়ে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) অনুমতি মিলেছিল গত বছরের ২৩ নভেম্বর।
রোববার (১৭ জুলাই) বিকেলে ঢাকা পোস্টকে অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গ্লোব বায়োটেকের কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আজ দুপুরে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনুমোদনের বিষয়টি আমাদের জানিয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করব।
আরও পড়ুন>> শিগগিরই আসছে না ‘বঙ্গভ্যাক্স’
এ বিষয়ে বঙ্গভ্যাক্স ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব বলেন, মানবদেহে প্রথম ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ছাড়পত্র পেয়েছে দেশীয় কোম্পানি গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করোনার টিকা বঙ্গভ্যাক্স। ৬০ জনকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এই টিকার ট্রায়াল শুরু হবে।
প্রাথমিক ফলে এই টিকা ডেল্টাসহ বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের ১১টি ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে শতভাগ কার্যকর বলে দাবি করছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। এর আগে এই টিকার অ্যানিমেল ট্রায়ালও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করছে প্রতিষ্ঠানটি।
গ্লোব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বঙ্গভ্যাক্স টিকাটি প্রাকৃতিকভাবে বিশুদ্ধ এমআরএনএ (মেসেঞ্জার রাইবোনিউক্লিক এসিড) দিয়ে তৈরি, তাই এটি সবচেয়ে বেশি নিরাপদ ও কার্যকর হওয়ার সুযোগ রয়েছে। বঙ্গভ্যাক্স টিকা এক ডোজের। এটি অনুমোদন পেলে বিদেশেও চাহিদা তৈরি হবে।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড ২০২০ সালের ২ জুলাই দেশে প্রথমবারের মতো করোনার টিকা আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়। এর প্রায় সাড়ে তিন মাসের মাথায় ১৫ অক্টোবর তাদের তিনটি টিকাকে অনুমোদনপ্রার্থী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গ্লোব বায়োটেকই বিশ্বের একমাত্র প্রতিষ্ঠান যাদের সর্বোচ্চ তিনটি টিকা অনুমোদনপ্রার্থী তালিকায় রয়েছে।
টিআই/জেডএস