গরমে পান করুন এই পানীয়, রক্ত পরিষ্কার হবে ভেতর থেকে
আজ বিশ্ব রক্ত দিবস। রক্তের বিকল্প শুধু রক্ত। তাই রক্ত ভালো রাখতে এবং শরীরে লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়াতে সব সময় যে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে বা ওষুধ খেতে হবে তা নয়। এর পরিবর্তে জোর দিন প্রতিদিনের খাবারের ক্ষতিকারক টক্সিন যাতে রক্তে জমতে না পারে। যদি জমে তাহলে সেখান থেকে দেখা দেয় একাধিক সমস্যা। আর তাই রক্ত পরিষ্কার রাখা আমাদের কর্তব্য।
মুখে ব্রণের খুব সমস্যা হচ্ছে, কিংবা প্রায়শই ফোঁড়া? এর অর্থ কিন্তু রক্তে জমছে দূষিত পদার্থ। এছাড়াও যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে নিয়মিত পেট পরিষ্কার হয় না তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা হয় বেশি। এছাড়াও হঠাৎ পায়ে ব্যথা, পা ফুলে যাওয়া, গাঁটে ব্যথা, ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা কিংবা বার বার শরীরে যদি কোনো ইনফেকশন হয়ে যায় তাও কিন্তু দূষিত রক্তেরই ইঙ্গিত।
বিজ্ঞাপন
শরীরের বিভিন্ন কোষে পুষ্টি আর অক্সিজেন পৌঁছে দেয় রক্ত। আর তাই রক্ত পরিষ্কার রাখা ভীষণ রকম জরুরি। বেশিরভাগ চর্মরোগের কারণই হলো এই দূষিত রক্ত। রক্ত দূষিত হলে কিন্তু ওজনও বাড়ে। মুখরোচক যে সব খাবারের প্রতি আমাদের দৃষ্টি সবচাইতে বেশি সেই সব খাবারই হলো রক্ত দূষণের মূলে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার কম খাওয়া হলে কিংবা ফাইবার প্রয়োজনের তুলনায় কম খেলে তখনই রক্ত দূষণের সম্ভাবনা বাড়ে। তাই চিকিৎসক থেকে বয়োজ্যেষ্ঠদের স্বাস্থ্য পরামর্শ- সবকিছুরই মূল কথা হলো পেট পরিষ্কার রাখা। পেট পরিষ্কার থাকলেই হজম ভালো হবে, ভালো থাকবে ত্বক আর চুল। এই পুরো সিস্টেম পরিষ্কার থাকলে মনও ভালো থাকবে।
রক্ত ভালো রাখতে এবং শরীরে লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়াতে সব সময় যে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে বা ওষুধ খেতে হবে তা নয়। এর পরিবর্তে জোর দিন রোজকারের খাবারে। এতে যেমন শরীর ভালো থাকবে তেমনই কিন্তু রক্তও হবে পরিষ্কার। বাঁচবে পকেট।
গরমের দিনে আমাদের ঘাম বেশি হয়। এছাড়াও আর্দ্রতা বেশি থাকায় গা চিটচিট করে, ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হয়। শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়। হতে পারে বিভিন্ন বিপাক জনিত সমস্যাও। তাই প্রতিদিন লেবুর জল, অ্যাপেল সিডার ভিনিগার, রসুন, কাঁচা হলুদ, উচ্ছে এসব রাখুন ডায়েটে। সালফার রয়েছে এমন খাবারই বেশি করে খান। এতে লিভার, কিডনি, হার্ট সবই ভালো থাকবে। শরীরে কোনো রকম চুলকানির সমস্যাও হবে না।
সেই সঙ্গে বানিয়ে নিতে পারেন বিশেষ এই পানীয়। গরমের দিনে শসা আর আনারস দুই শরীরের জন্য উপকারী। আনারসের মধ্যে থাকে ব্রোমেলিন নামের একপ্রকার উপাদান। যা আমাদের হজমশক্তি ভালো রাখে। হজমের যে কোনো সমস্যায় আনারস খুব ভালো। এছাড়াও আনারসের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। সর্দি-কাশি-ঠান্ডা লাগার সমস্য রুখতে তাই আনারসের জুড়ি মেলা ভার। আনারসের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবারও। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। তেমনই একাধিক উপকারিতা রয়েছে শসার। শসার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পানি। ক্যালোরি একেবারেই নেই। কিন্তু বিভিন্ন খনিজতে ভরপুর। তাই শসা খেলে পেট ভরে আর ওজনও থাকে হাতের মধ্যে। মেটাবলিজম বাড়াতেও ভূমিকা রয়েছে এই শসার।
কেন খাবেন শসা-আনারস ডিটক্স ড্রিংক
গরমের দিনে রক্ত পরিষ্কার রাখতে এই পানীয়ের জুড়ি মেলা ভার। একই সঙ্গে দূর হবে শরীরের ক্লান্তিও। তাই শসা আর আনারস টুকরো করে পিষে নিন। স্বাদ বাড়ানোর জন্য বিট লবণ, সামান্য আদা কুচি আর এক চামচ মধু দিতে পারেন।
এসএম