বাংলাদেশে পুরুষ নার্সের সংখ্যা শতকরা মাত্র ১০ ভাগ। বাকি ৯০ শতাংশই নারী নার্স। পুরুষ নার্সরা বলছেন, নার্সিংয়ে এই নিয়ম পুরুষদের সঙ্গে বৈষম্য। নারী নার্সদের একাংশও চাইছেন নারী-পুরুষের সংখ্যার এ দূরত্ব কমে আসুক।

এ বিষয়ে নারীদের পক্ষ নিয়েই নার্সিং মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বলছে, নারী জাতি মমতাময়ী, এজন্যই তাদের সেবার মহান এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে, পুরুষ নার্সদের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টিও বিবেচনাধীন আছে বলে জানিয়েছে তারা।

নার্সিং অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে প্রতি আড়াই হাজার মানুষের বিপরীতে নার্স আছেন মাত্র একজন। সরকারি হাসপাতালে নার্সের ৪৫ হাজার ৫২৭টি পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন ৪২ হাজার ২৩৯ জন।

নার্সিং পেশাজীবী নেতারা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, ভূমিধস, অগ্নিকাণ্ড, সড়ক দুর্ঘটনা বা দুর্গম এলাকাসহ সংকটকালীন স্বাস্থ্যসেবা দিতে পুরুষদের সংযুক্ত করতে পারলে তারা নারীদের চেয়ে বেশি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে পারে। এমনকি এই সময়ে পুরুষরা নারীদের চেয়ে বেশি সময় দিয়ে কাজ করতে পারেন।

জানা গেছে, এখন পর্যন্ত অনেক দেশে নার্সিং পেশায় পুরুষদের শতকরা হার অনেক কম। চায়নায় মাত্র ১ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি সৌদি আরবে ৩২ শতাংশ। আর বাংলাদেশে এ হার ১০ শতাংশ।

নার্সিংয়ে বিশ্বের সব দেশে নারী-পুরুষ সবার সমান অংশগ্রহণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যেখানে নার্সিং পেশায় আগ্রহী করতে রাখা হয়েছে নানা চমকপ্রদ সুযোগ-সুবিধাও। চলতি বছরকে নার্স ও মিডওয়াইফ বর্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। এটিকে কেন্দ্র করে এ বছরের মধ্যে নার্সিং পেশায় পুরুষের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। 

পুরুষ নার্সদের মৌলিক অধিকারের কোনো বাস্তবায়ন নেই
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) বা পঙ্গু হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স মাহবুব আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, নার্সিংয়ে আমাদের পুরুষ নার্সদের মৌলিক অধিকারের কোনো বাস্তবায়ন নেই। একটা পেশায় যদি ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জনই নারী থাকে, তাহলে স্পষ্টতই বলা যায় যে, লিঙ্গ বৈষম্য প্রকট।

তিনি বলেন, শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার, এখানে নারী-পুরুষ ভেদাভেদ রাখা যাবে না। কিন্তু নার্সিং শিক্ষায় মাত্র ১০ শতাংশ ছেলে কোটা বিদ্যমান। কোটা সিস্টেম না ওঠাতে পারলে এই পেশার কোনদিন উন্নয়ন হবে না। এমনকি, নারীদেরও বুলিংয়ের শিকার হতেই হবে।

মাহবুব আলম বলেন, চিকিৎসকদের মধ্যে কিন্তু কোনো ধরনের নারী-পুরুষ বৈষম্য নেই। একজন নারী চিকিৎসক যেমন পুরুষ-নারী নির্বিশেষে রোগী হিসেবে সেবা দিয়ে থাকে, পুরুষ চিকিৎসকও তেমন সবাইকে নিঃসংকোচে সেবা দিয়ে থাকেন। তাহলে পুরুষ নার্সরা কেন সেটা পারবে না? আমি মনে করি, কোন পেশাতেই এরকম কোটা বৈষম্য থাকা উচিত নয়।

পুরুষ নার্স বাড়লে নারীরাও সুরক্ষিত হবে
সোসাইটি ফর নার্সেস সেফটি অ্যান্ড রাইটসের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির মাহমুদ তিহান ঢাকা পোস্টকে বলেন, কর্মক্ষেত্রে প্রায়ই নারী নার্সরা বুলিংয়ের শিকার হয়ে থাকে। নারী নার্সের সংখ্যা বেশি বলেই এটি সম্ভব হয়। তাছাড়া আমাদের অধিকাংশ রোগীগুলোই রুট লেভেল থেকে আসে, যখন দেখা যায় যে নার্সের সংখ্যা কম তখন তাদের সবাই সেবাটা আগে নিতে চায়। কিন্তু সেভাবে না পেয়ে তারা প্রায় সময়েই নারী নার্সদের শারীরিকভাবেও লাঞ্ছিত করে থাকে।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও মিডফোর্ড হাসপাতালের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল যেখানে দেখা যায় রোগীর লোকেরা কর্তব্যরত নার্সদের নানা ধরনের গালাগালি করছে।

সাব্বির মাহমুদ বলেন, নারী হোক বা পুরুষ হোক, আমাদের সবার জন্যই কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। আমার একজন বোন যদি বুলিংয়ের শিকার হয়, সেটা আমার জন্যেই লজ্জাজনক। সেক্ষেত্রে তাদের জন্য হাসপাতালে পর্যাপ্ত সিকিউরিটির ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপশি যেহেতু নার্সিং সেক্টরে ৯০ শতাংশই মেয়ে, এখানে আরও পুরুষ নার্স নিয়োগের দাবি জানাই। যখন কর্মক্ষেত্রে দুজন নারী নার্সের সঙ্গে দুজন পুরুষও থাকবে, তখন আর কেউ কোন ধরনের বাজে ব্যবহারের সাহস পাবে না।

পুরুষ কোটা বাাড়নোর কোনো বিকল্প নেই
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কর্মরত সিফাত হোসেন নামে আরেক সিনিয়র স্টাফ নার্সের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশে নারী পুরুষের কোনো বৈষম্য নেই। এমনকি উন্নত দেশগুলোতে গর্ভবতী নারীদের সন্তান প্রসবকালীন সেবাও পুরুষ নার্স/মিডওয়াইফ দ্বারা দেওয়া হয়। তবে, আমাদের দেশের পুরুষ নার্সরাই বৈষম্যের স্বীকার হয়ে থাকে। কর্তৃপক্ষের অদূরদর্শীতার এবং অবহেলার কারনেই পুরুষ নার্সের কোটা বৃদ্ধি করা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নারী নার্সরা অনেক সময় বুলিংয়ের স্বীকার হয়। নিরাপত্তাহীনতায় থাকতে হয়। নারী নার্সদের বিভিন্ন সময় উগ্রপন্থী রোগীর লোকজনের থেকে শারীরিক এবং মানসিক আক্রমণের স্বীকার হতে হয়।

‘নারী নার্সদের সঙ্গে যদি আমরা পুরুষ নার্স কর্মরত থাকি, তখন সেটা আমরা প্রতিহত করতে পারি এবং কৌশলে পরিস্থিতি সামলে নিতে পারি। বিশেষ করে রাতের শিফটে নারী নার্সদের সঙ্গে পুরুষ নার্সদের দায়িত্ব দেওয়া হলে নারীরা নিরাপদ বোধ করে।’

সিফাত হোসেন বলেন, প্রতি শিফটে পর্যাপ্ত পুরুষ নার্স নিশ্চিত করা গেলে অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক ঘটনা এড়িয়ে চলা সম্ভব। সেজন্য নার্সিং পেশায় পুরুষ কোটা বৃদ্ধি করার কোনো বিকল্প নেই।

‘পুরুষ বৈষম্য’ নিয়ে যা বলছেন নারী নার্সরা
রাজধানীর করোনা ডেডিকেটেড ডিএনসিসি হাসপাতালে কর্তব্যরত মিডওয়াইফ তানিয়া সুলতানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, একটা সময় ছিল যখন বলা হত শুধু মেয়েরাই নার্সিং করবে। কিন্তু এখন আসলে সময় অনেকটাই পাল্টে গেছে। নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও হাসপাতালগুলোতে দারুন সেবা দিচ্ছে। এই সময় আমি বলব যে, নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের সংখ্যা বাড়ানো উচিত।

তিনি বলেন, একসঙ্গে যদি নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও দায়িত্ব পালন করে, তাহলে পুরুষ রোগীদের বিভিন্ন জটিল অবস্থা তারা সামলাতে পারে। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে দেখি যে, নারী-পুরুষে কোনো বৈষম্য নেই। তাদের পেশায় সংখ্যা বিবেচনায় প্রায় উভয়ই সমান। শুধুমাত্র নার্সিং পেশাতেই এ বৈষম্য আছে।

তানিয়া সুলতানা বলেন, কর্মস্থলে যদি পুরুষরা না থাকে, সেটি নারীদের জন্য অনেক সময় ভয়ের কারণ। প্রায় সময়েই নার্সরা কোনো পুরুষ রোগীকে সেবা দিতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যায়। এমন সময় অনেক ক্ষেত্রে নারী নার্সরা বুলিংয়ের শিকার হয়। সে ক্ষেত্রে যদি হাসপাতলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুরুষ নার্স থাকেন, তাহলে তারা সেসব পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেন। এজন্য আমি চাইবো পুরুষ নার্সের সংখ্যা নারীদের অন্তত সমান সমান না হলেও যেন ৩০ বা ৪০ শতাংশ হয়।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালগুলোতে সব সময়ই রোগীর সঙ্গে নানা ধরনের লোকজন আসে, তাদের মধ্যে কিছু থাকে উশৃঙ্খল প্রকৃতির। দেখা গেলে যে একটা রোগীর অবস্থা খারাপ, সেই অবস্থায় নার্সরা কী সেবা দিলো না দিলো সেগুলো না দেখেই স্বজনরা এসে উগ্র আচরণ করে। নানা ধরনের অশ্লীল মন্তব্য করে। এতে করে আরও আমাদের মন-মানসিকতা নষ্ট হয়। যেকারণে রোগীরাই উল্টো ভালো সেবা থেকে বঞ্চিত হয়।

‘বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোতে নার্সরা আরও অরক্ষিত। আমি যখন একটা বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করতাম, তখন নানা ধরনের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিও দেখতে হয়েছে’, যোগ করেন এই স্বাস্থ্যকর্মী।

‘বৈষম্য’ মানতে নারাজ অনেকেই
নার্সিং পেশায় পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি থাকলেও সেটিকে বৈষম্য হিসেবে মানতে নারাজ জাতীয় হৃদরোগ গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ এবং ওয়ার্ড ইনচার্জ নার্স ফাহিমা আক্তার। তিনি বলেন, সেবা করতে গেলে দেখা যায় যে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মন অনেক সফট থাকে। সেবা করার দিক থেকে অবশ্যই ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে।

এই নার্স বলেন, একটা কাজ পুরুষরা যেভাবে করেন তার চেয়ে অনেক সুন্দর ও গোছালোভাবে মেয়েরা করে থাকেন। সবার মেন্টালিটি এক না, মেয়েদের অনেক বিশাল থাকে। একজন মেয়ে নার্স পুরুষ রোগীদের কাছে গিয়ে যে ভাবে কাজ করতে পারে, ঠিক সেভাবে পুরুষ রোগীদের সেবা করতে পারে। কিন্তু একজন পুরুষ নার্স একজন মহিলা রোগীর কাছে গিয়ে সেভাবে কাজ করতে পারে না।

ফাহিমা আক্তার বলেন, আমাদের হৃদরোগ হাসপাতালে কিন্তু রোগীদের নিয়মিত ইসিজি করতে হয়। সেক্ষেত্রে একজন মেয়ে নার্স নারী-পুরুষ সবাইকে ইসিজি করতে পারবে। কিন্তু একজন পুরুষ নার্স নারীর রোগীদের ইসিজি করতে গেলে উল্টো আমাদের গিয়েই সহযোগিতা করতে হয়।

তবে যেহেতু নারীদের তুলনায় পুরুষ নার্সের সংখ্যা একেবারেই কম, সেক্ষেত্রে পুরুষ নার্সদের সংখ্যাটি আরও বাড়ানো যেতে পারে বলেও যোগ করেন এই স্বাস্থ্যকর্মী।

যা বলছে নার্সিং মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের এ চিত্র পরিবর্তন হতে সময় লাগবে। কারণ নার্সিং ভর্তির জন্য দেশে যে নীতিমালা প্রচলিত আছে, সেটি পুরুষদের জন্য মোটেই সুখকর নয়।

তিনি জানান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নার্সিং এবং পরিদর্শন শাখা ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি সংক্রান্ত শর্তাবলী অধ্যায়ের ৮ নম্বর কলামে বলা হয়, সেবা ইনস্টিটিউট বা কলেজের মোট আসনের সংখ্যার অনধিক ১০ শতাংশ আসন পুরুষ প্রার্থী কর্তৃক পূরণ করা হবে। বাকি ৯০ শতাংশ ভর্তি করা হয় নারী শিক্ষার্থীদের দ্বারা।

ভর্তি ক্ষেত্রে এই বিধান সংবিধানের ২৮ (৩) অনুচ্ছেদে বর্ণিত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ নিয়ে হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ৩ জুলাই একটি রায় দিয়ে কোটা স্থগিত করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর স্থায়ী কোনো সমাধান হয়নি।

নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. নাসির উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, নার্সিংয়ে ছেলেদের তুলনায় মেয়ে সংখ্যা বেশি এটি তো আমাদের সিদ্ধান্ত নয়। দেশের সর্বোচ্চ মহলের সিদ্ধান্ত এটি। এই নিয়ম নিয়ে ছেলে বা মেয়েদের থেকেও আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি।

তিনি বলেন, নার্সিং পেশার উৎপত্তি যেহেতু একজন নারীর মাধ্যমেই, আর তারা যেহেতু মমতাময়ী হয়ে থাকে, তাই মানবসেবায় হয়তো তাদের ওপরই বেশি ভরসা করা হয়। তাছাড়া মেয়েরা স্বভাবতই যেকোন কাজে পরিপূর্ণ ডেডিকেটেড।

নাসির উদ্দিন আরও বলেন, শুধু তো নার্সিংয়েই মেয়েদের এই কোটা নয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়েও মেয়েদের জন্য বিশাল কোটা বিদ্যমান। কারণ, মনে করা হয় মেয়েরা আদর-মমতা দিয়ে বাচ্চাদের পড়াবে। নার্সিংয়ের ক্ষেত্রেও হয়তো এমনটি ভাবা হয়।

যেভাবে নারীবান্ধব হলো নার্সিং পেশা
ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল (নার্সিংয়ের জনক) তিনিও বিশ্বাস করতেন নার্সিংটা মেয়েদের স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য, অর্থাৎ নার্স বললে মেয়েদের অবয়ব বা কোমলপ্রাণ এটি বোঝায়। তাই তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাটা নারীদের জন্য শুরু করেছিলেন। যুগ যুগ ধরে এ পেশায় পুরুষদের ক্যারিয়ার গঠন বা সংযুক্ত হওয়ার বিষয়টি উপেক্ষিত রয়ে গেছে।

১৯০১ সালে প্রথম নার্সিং কাউন্সিল আইন নিউজিল্যান্ডে হয়। ঐতিহাসিকভাবে পুরুষদের এ পেশায় আগমন মহামারিকে কেন্দ্র করে। প্লেগ রোগের বিস্তারের সময় ইউরোপে প্রথম পুরুষেরা প্রাথমিক সেবা দানকারী হিসেবে যোগদান করেন। তৃতীয় শতাব্দীতে প্যারাবোলানীর পুরুষেরা একটি হাসপাতাল তৈরি করেছিলেন, এতে নার্সিং সেবা দিতেন। 

চৌদ্দশ শতাব্দীতে এলেকজিয়ান নার্সরা সেন্ট গডস ব্রাদার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন রোমে। যেখানে পৃথিবীর প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ক্রিস ক্যালভিন প্রথম পুরুষ নার্সের দায়িত্ব পালন করেন। এভাবে নার্সিং পেশায় পুরুষেদের আর্বিভাব। পুরুষরা ধীরে ধীরে নিজকে নিয়োজিত করে।

তবে এখনও অবধি অনেক দেশে নার্সিং পেশার পুরুষদের শতকরা হারে অনেক কম। চায়নায় মাত্র ১ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি সৌদি আরবে ৩২ শতাংশ। আর বাংলাদেশে এ হার ১০ শতাংশ।

টিআই/এসএম