মাইকোব্যাক্টেরিয়াম নামে একটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে যক্ষ্মা হয়ে থাকে। দেশে গত এক বছরে (২০২১ সাল) ৩ লাখ ৭ হাজার ৪৪৪ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে। 

যক্ষ্মাকে খুবই সংক্রামক রোগ বলছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সংস্থা সিডিসি। সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে, তার হাঁচি, কাশি বাতাসে ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। কথা থেকেও বাতাসে যক্ষ্মার জীবাণু ছড়াতে পারে। 

একজন মানুষের কফে বহুদিন জীবাণু বেঁচে থাকে। অপরিচ্ছন্ন, বদ্ধ, আলো বাতাসহীন ঘরে যক্ষ্মার জীবাণু বেশি ছড়ায়। এক ঘরে বেশি মানুষ থাকলেও  দ্রুত ছড়ায়।

কয়েক ধরনের যক্ষা রয়েছে। যে যক্ষ্মা ফুসফুসের ক্ষতি করে সেটি পালমোনারি টিউবারকিউলোসিস। টিবি মেনিনজাইটিস-কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রান্ত করে। হাড় আক্রান্ত করে এমন যক্ষ্মাকে বলা হয় স্কেলেটন টিবি বা পটস ডিজিজ। এটা শরীরের গিট ও হাঁটু আক্রান্ত করে।

এছাড়া এক প্রকার যক্ষ্মা রয়েছে লিম্ফনোড টিবি যা লসিকা গ্রন্থিকে প্রভাবিত করে। খুব বেশি খারাপ পর্যায়ে গেলে যক্ষ্মা মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে শিশু মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে যেতে পারে। চোখ ও কানসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যক্ষ্মা শরীরের সকল অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে। 

এনএফ