‘খাটতে হবে’ সবাইকে, দূতদের জন্য বিশেষ বার্তা
ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ দিন দিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। বৈশ্বিক নেতৃত্বের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বাংলাদেশ অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চায়; পাশাপাশি বাড়াতে চায় নিজ সক্ষমতা। সেজন্য বিদেশে বাংলাদেশি মিশনের দূতদের কাছ থেকে আরও বেশি সহযোগিতা চায় ঢাকা। এ কারণে তাদের কাজের তদারকি ও মূল্যায়নে গুরুত্ব দিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের কাজের তদারকি ও মূল্যায়নে সম্প্রতি ‘ইন্সপেক্টর জেনারেল অ্যাম্বেসিস’ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ এক কূটনীতিককে। সর্বশেষ ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আসাদ আলম সিয়ামকে এ পদে বসানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
কূটনীতিকদের কাজের গতি বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এজন্য নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ। সবাইকে তদারকির আওতায় আনা হচ্ছে। দূতদের অর্থনৈতিক কূটনীতি ও জনকূটনীতির ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বলা হচ্ছে। কেউ বসে থাকতে পারবেন না, সবাইকে কাজ করতে হবে
রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনের আগে আসাদ আলম সিয়াম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘চিফ অব প্রটোকল’ কর্মকর্তা ছিলেন। এখন তিনি রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের কাজের দেখভাল করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, কূটনীতিকদের কাজের গতি বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এজন্য নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ। সবাইকে তদারকির আওতায় আনা হচ্ছে। দূতদের অর্থনৈতিক কূটনীতি ও জনকূটনীতির ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে বলা হচ্ছে। কেউ বসে থাকতে পারবেন না, সবাইকে কাজ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘মাত্রই তিনি (ইন্সপেক্টর জেনারেল অ্যাম্বেসিস) কাজ শুরু করেছেন। এটা তো আসলে অনেক পুরনো একটি পদ। এ পদে আমরা আজ পর্যন্ত কাউকে দিতে পারিনি বা দিইনি।
‘মূল্যায়নটা শুধু নেতিবাচক অর্থে নয়, ইতিবাচক অর্থেও হওয়া উচিত। এর মধ্য দিয়ে যেটা হবে কার কোথায় কী সমস্যা, তাদের কী কী সীমাবদ্ধতা আছে; সেগুলো আমরা কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বসে বুঝতে পারি না। নির্দিষ্ট করে যদি একজন বিষয়টি দেখাশোনা করেন, তাহলে সবার জন্য ভালো হবে। এটা মন্ত্রণালয়ের জন্য ভালো হবে, মিশনের জন্যও ভালো হবে।’
কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কিন্তু ধীরে ধীরে স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ প্রশাসনের দিকে যাচ্ছি। আমরা চাই সেরাটা দিতে, দেশটাকে সেরাটা দিতে। এজন্যই এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
রাষ্ট্রদূতদের কাজের তদারকি ও মূল্যায়নের উদ্যোগ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা যেসব দেশে দায়িত্ব পালন করেন তারা সেসব দেশে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন, সরকারের বক্তব্য তুলে ধরেন। ওই দেশের সঙ্গে সম্পর্কসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন ঘটান। তাদের এখন চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। সবাইকে শ্রম দিতে হবে, বসে থাকা যাবে না। তারা কী কী সার্ভিস দিচ্ছেন তা দেখভালের জন্য ইন্সপেক্টর জেনারেল অ্যাম্বেসিস পদে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি এগুলো দেখবেন।’
‘দূতদের দুটি চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছে’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের দুটি চ্যালেঞ্জ দিয়েছি। একটি হলো অর্থনৈতিক কূটনীতি, আরেকটি পাবলিক (জন) কূটনীতি। আমাদের সব দূতকে বলেছি, আপনারা জব মার্কেট খুঁজে দেখুন। ব্যবসা ও দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর চেষ্টা করুন। আমাদের রফতানি বাড়াতে হবে। রফতানির পরিধি বাড়াতে হবে।’
ড. মোমেন বলেন, ‘যেসব আইটেম (পণ্য) রফতানি হয়, সেসবে আমরা আর নির্ভরশীল থাকতে চাই না। আইটেম আরও বাড়াতে হবে। জনশক্তি রফতানি বাড়াতে হবে, গেইনফুল এমপ্লয়মেন্ট (লাভজনক কর্মসংস্থান) করতে হবে। আমরা শুধু মধ্যপ্রাচ্যে আটকে থাকতে চাই না। আমাদের রেমিট্যান্স দরকার। খাটতে হবে সবাইকে। কোভিডের কারণে যে লস (লোকসান) হয়েছে, তা উঠাতে হবে।’
‘আমাদের ইনভেস্টমেন্ট যেই পরিমাণে আসা উচিত ছিল, সেই পরিমাণে আসেনি। এটা এমনি আসবে না। এজন্য পাবলিক কূটনীতি বাড়াতে হবে।’
রাষ্ট্রদূতরা যেভাবে দেখছেন
কাজের মূল্যায়ন ও তদারকির জন্য ‘ইন্সপেক্টর জেনারেল অ্যাম্বেসিস’ পদে নিয়োগের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূতরা। তারা বলছেন, মূল্যায়ন ও তদারকি একসঙ্গে হলে কাজের মান আরও ভালো হবে, অনুপ্রেরণাও পাওয়া যাবে।
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমি বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। যেকোনো কাজের তদারকি হলে ভালো হয়। এটি ভালো হয়েছে, খারাপ নয়। আমি বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, দূতদের যদি ভুল-ভ্রান্তি থাকে, তা শুধরে দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। কাজের মান ও গতি বাড়বে। নিজ নিজ কাজে সবাই আরও বেশি আগ্রহী হবেন।
মেক্সিকোতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বলেন, ‘আরও আগে ইন্সপেক্টর জেনারেল অ্যাম্বেসিস পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হয়নি। এখন হয়েছে, এটা ভালো খবর। মূল্যায়ন বা তদারকির কারণে কাজ করতে আরও ভালো লাগবে। অনুপ্রেরণা পাওয়া যাবে। এটি খুব ভালো পদক্ষেপ।’
‘একজন রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারকে কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তা কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাইরে অনেকে বলতে পারবেন না। সবচেয়ে ভালো সংবাদ হচ্ছে, এ পদে এমন একজনকে আনা হয়েছে যিনি বিষয়গুলো কাছ থেকে দেখেছেন। সেক্ষেত্রে তার মূল্যায়নে সুবিধা হবে। দূতদের স্টেট ভিজিট ইস্যু বা অ্যাগ্রিমেন্টের ক্ষেত্রে কী পরিমাণ কাজ করতে হয়, সেটি অনেকে উপলব্ধি করতে পারেন না। অ্যাগ্রিমেন্টের সংখ্যাতাত্ত্বিক মূল্যায়ন করতে হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশে নিযুক্ত হাইকমিশনার বলেন, একেক দেশের প্রেক্ষাপট একেক ধরনের। অনেক দেশ আছে যেখানে চ্যালেঞ্জটা একটু বেশি। চাইলেও কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত ফল পাওয়া যায় না। আবার পেলেও অনেক সময় লাগে। সবদিক বিবেচনায় নিয়ে মূল্যায়ন করতে হবে।
বিদেশি শত্রু মোকাবিলার দায়িত্ব নিতে হবে দূতদের
ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের গুরুত্ব অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। এ কারণে বিদেশে বাংলাদেশের অনেক শত্রু তৈরি হচ্ছে। তারা হরহামেশাই বাংলাদেশের নামে মিথ্যা প্রচারণা বা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে এর পরিমাণ আরও বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে দূতদের আরও বেশি সতর্ক থাকার ওপর জোর দিচ্ছে ঢাকা।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমি যে দুটি কূটনীতির ওপর জোর দিয়েছি, তার একটি হলো- পাবলিক (জন) কূটনীতি। এ কূটনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন সাফল্য তুলে ধরতে হবে মিশনগুলোকে। মিশনগুলো তা করছে। বাংলাদেশকে এখন সব দেশ মূল্যায়ন করে। কিন্তু আমরা যে দিন দিন উন্নত করছি, এতে বিদেশে আমাদের শত্রুর সংখ্যা বাড়ছে; শত্রু আরও বাড়বে। বাংলাদেশ নিয়ে অনেক মিথ্যা প্রচারণা হবে। এসব মিথ্যা প্রচারণা ঠেকাতে দূতদের দায়িত্ব নিতে হবে। যিনি যে দেশের দায়িত্বে রয়েছেন, তাকে সে দেশের বিষয়গুলো দেখতে হবে।’
অনেকে সক্রিয়, কেউ করেন ‘চাকরি’
বিদেশে বাংলাদেশের ৭৮টি মিশন সক্রিয়। এর মধ্যে অনেকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করছেন। কারও কারও বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তাসহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ‘আমাদের মূল কথা হচ্ছে, কাজ করতে হবে। বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে। দেশে বিনিয়োগ আনতে হবে। এক্ষেত্রে দূতদের কেউ কেউ ভেরি ইফেকটিভ (খুব সক্রিয়), আবার কেউ কেউ চাকরির জন্য চাকরি করেন। আমাদের ইন্সপেক্টর জেনারেল বিষয়গুলো দেখবেন।’
শুনানির মুখোমুখি হয়েই অ্যাসাইনমেন্ট
নতুন করে রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করতে যান, দেশ ছাড়ার আগে তাদের স্বল্প পরিসরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সামনে শুনানিতে অংশ নিতে হয়। সম্প্রতি শুরু হওয়া এ প্রক্রিয়ায় অনেককে শুনানির মুখোমুখি হয়েই অ্যাসাইনমেন্টে যেতে হয়েছে।
শুনানির প্রক্রিয়াটি আরও ব্যাপকভাবে করতে চায় সরকার। তবে এক্ষেত্রে সংসদীয় কমিটির সদস্যদের দেশগুলো সম্পর্কে সার্বিক ধারণা থাকা প্রয়োজন। দেশগুলো সম্পর্কে বাস্তব ধারণা থাকলে শুনানির মাধ্যমে সেখানে দূত নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি কার্যকর ও যথাযথ হতো।
এ বিষয়ে ড. মোমেন বলেন, ‘নতুন অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে যারা যাচ্ছেন, যে দেশে যাচ্ছেন; আগামী তিন বছর সে দেশে গিয়ে কী কী করবেন, তার একটি আউটলাইন (রূপরেখা) তারা আমাদের দেন। স্ট্যান্ডিং কমিটির মাধ্যমে, একটি হিয়ারিংয়ের (শুনানি) মুখোমুখি হয়ে তারা সেখানে যাচ্ছেন। সীমিত আকারে এ ব্যবস্থা আমরা চালু করেছি। এটি আরও বাড়াতে চাই। সব দূতকে এর আওতায় আনা হবে। নতুন যাকে পাঠানো হবে, এ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হবে।’
‘স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা যদি তাদের (যারা দূত হিসেবে যাচ্ছেন) সম্পর্কে জানেন, তবে ভালো হয়। বিশেষ করে যে ব্যক্তি দায়িত্ব নিয়ে যাচ্ছেন, তিনি কতটুকু ক্যাপাবল (সক্ষম), তা নিয়ে গবেষণা দরকার। তারা যদি গবেষণা করেন তাহলে তারা যথার্থ প্রশ্নগুলো করতে পারবেন। দূত যে অবজেকটিভ (লক্ষ্য) ডিজাইন করেন তার প্রতিও কিছুটা দায়বদ্ধতা থাকবে।’
যুক্তরাষ্ট্রে দূত নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশটিতে প্রাথমিকভাবে দূত নির্বাচিত হওয়ার পর ওই কর্মকর্তাকে কমিউনিকেশন অ্যান্ড পাবলিক হিয়ারিংয়ে অংশ নিতে হয়। সেই হিয়ারিং প্রক্রিয়ায় ১৩ জন সিনেটর থাকেন। তারা তাকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করেন। এছাড়া যেকোনো পাবলিক সংস্থা নির্বাচিত ব্যক্তি (দূত) সম্পর্কে বক্তব্য দিতে পারেন। তার ভালো বা মন্দ, তিনি তার জীবনে কী কী কাজ করেছেন বিভিন্ন সংস্থা বা মিডিয়া সেগুলো তুলে ধরে। সবদিক বিবেচনায় নিয়ে কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় তিনি উপযুক্ত কি না। আমাদের দেশে সে ব্যবস্থা নেই।’
দেশে ফিরে ব্রিফ করবেন দূতরা
বিদেশে মিশন শেষে দেশে ফেরার পর রাষ্ট্রদূতদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনীতিকদের ব্রিফ করতে হবে। মূলত, দূতদের একেক দেশে একেক রকমের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। সে কারণে অন্য কূটনীতিকরা বিষয়গুলো সম্পর্কে অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট ওই দেশ নিয়ে যাতে ওয়াকিবহাল (অবহিত) থাকেন, সেজন্য এটি চালু করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন এ প্রক্রিয়াটি আমরা শুরু করেছি। বলতে পারেন এটি অভ্যন্তরীণ বিষয়। দূতরা কাজ শেষ করে যখন দেশে ফিরবেন তখন তারা সেখানে কোন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন, কী কী সুবিধা পেয়েছেন— সেগুলো অন্য কূটনীতিকদের জানাবেন। এতে অন্যরা সে দেশ সম্পর্কে জানতে পারবেন। ফলে নতুন কাউকে যদি দায়িত্বে পাঠানো হয়, তিনি সে দেশ সম্পর্কে ধারণা নিয়েই যাবেন।’
এনআই/আরএইচ/এমএআর/