ওদের শৈশব কাটে ভয়-আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তায়
‘টেকনাফের একটি খাবার হোটেলে কাজ করি, সেখানেই থাকি। বেতন পাঁচ হাজার। এ টাকা দিয়ে চলি, আবার ক্যাম্পে পরিবারের কাছে টাকা পাঠাই। রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের বাইরে বের হওয়া নিষেধ। তাই আমরা চুরি করে বের হই। আতঙ্কে থাকি। রাতেও ঘুমাই আতঙ্কে। কাজ করি ভয়ে ভয়ে। এভাবেই কাটছে আমাদের প্রতিটি দিন।’
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সগোত্রীয়দের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ক্যাম্পছাড়া ১৩ বছর বয়সী মো. জামাল (ছদ্মনাম) এভাবেই ঢাকা পোস্টকে জানাচ্ছিলেন তার ছন্দহীন দিনযাপনের কথা।
বিজ্ঞাপন
অধিকার আদায়ে ব্যর্থ হয়ে সর্বশেষ ২০১৭ সালে রোহিঙ্গারা বাঁচতে এসেছিলেন বাংলাদেশে। সন্তানদের একটু নিরাপদ ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বন্ধুর পথ পাড়ি দেন তারা। তবে বাংলাদেশেও স্বস্তিতে নেই রোহিঙ্গা শিশুরা। নিজ গোত্রের লোকদের অন্যায়-অত্যাচারে অতিষ্ঠ তারা। কেউ কোণঠাসা হয়ে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছেন। কেউ কেউ ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে গেছেন, কাজ করছেন টেকনাফ-কক্সবাজারের হোটেল-রেস্তোরাঁয়।
বাংলাদেশেও স্বস্তিতে নেই রোহিঙ্গা শিশুরা। নিজ গোত্রের লোকদের অন্যায়-অত্যাচারে অতিষ্ঠ তারা। কেউ কোণঠাসা হয়ে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছেন। কেউ কেউ ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে গেছেন, কাজ করছেন টেকনাফ-কক্সবাজারের হোটেল-রেস্তোরাঁয়
কক্সবাজারের টেকনাফ বাসস্ট্যান্ড বাজারের একটি হোটেলে খাবার পরিবেশনের কাজ করেন রোহিঙ্গা শিশু জামাল। তার সঙ্গে কথা হয় ঢাকা পোস্টের। এক বছর ধরে কাজ করেন হোটেলটিতে। প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে পান। সেখানেই থাকা। এর আগে থাকতেন টেকনাফের মুসুনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। হোটেলটিতে সবমিলে কাজ করেন আট-নয়জন।
ক্যাম্প ছেড়ে কেন চাকরিতে— জানতে চাইলে জামাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের মংডু থেকে বাবা-মার সঙ্গে মুসুনি ক্যাম্পে আসি। তবে সেখানে বেশিদিন টিকতে পারিনি। ক্যাম্পে বিভিন্ন সংগঠন রয়েছে। সেগুলো চালায় প্রভাবশালীরা। তারা আমাদের দিয়ে কাজ করাত। মাথায় করে বস্তা বস্তা মাল টানাত। কাজ করতে না চাইলে মারধর করত। ভয়ে আমরা কয়েকজন ক্যাম্প থেকে পালিয়ে টেকনাফে চলে আসি।
ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা হয় টেকনাফের আরেকটি হোটেলে কর্মরত ১৩ বছরের জাহাঙ্গীর আলমের (ছদ্মনাম) সঙ্গে। জামালের সঙ্গে তিনিও একসময় মুসুনি ক্যাম্পে থাকতেন। সাত মাস হলো পাঁচ হাজার টাকা বেতনে এখানে কাজ করছেন। জাহাঙ্গীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে এখন খারাপ মানুষ থাকে। সেখানে অনেক সমস্যা। মারামারি-কাটাকাটি তো আছেই। আমার পরিবার পুরনো রোহিঙ্গা। বাংলাদেশেই আমার জন্ম। বাবা হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। আমরা দুই ভাই ও এক বোন, সঙ্গে মা আছেন। দুই ভাই স্থানীয় একটি মাদরাসায় ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু পরিবারের হাল ধরতে আমাকে এখন হোটেলে কাজ করতে হচ্ছে।’
‘মুসুনি ক্যাম্পেই (রোহিঙ্গা ক্যাম্প) থাকতে পারতাম। কিন্তু থাকি না, নির্যাতন করে। মারামারি, অপহরণ সেখানকার নিত্যদিনের ঘটনা। কখনও সালমান শাহ গ্রুপ, কখনও আল-ইয়াকিনের সদস্যরা নির্যাতন করে। অপহরণও করা হয়।’
‘নিজে দুবার নিখোঁজ (অপহরণ) হয়েছিলেন’— উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর জানায় তার ভয়াল দিনের কথা। বলেন, ‘একবার সালমান শাহ গ্রুপ তুলে নিয়ে যায়। আরেকবার পুলিশ। দুবারই টাকা দিয়ে ফিরতে হয়েছে।’ কেন তুলে নিয়ে (অপহরণ) যাওয়া হয়— প্রশ্ন করলে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘কী আমার অপরাধ জানি না। পুলিশও আমাকে তুলে নিয়ে যায়, নির্যাতন করে। মা দেখা করে, ধারদেনা করে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনে। আরেকবার তো সালমান শাহ গ্রুপের নাম করে তুলে নিয়ে যায়। সেবার ২৫ হাজার টাকা দিয়ে ফিরতে হয়। এজন্য আমি আর ক্যাম্পে থাকি না। হোটেলে কাজ করি, হোটেলেই থাকি। বেতন পাওয়ার পর মাসে দু-একবার গোপনে ক্যাম্পে যাই। মায়ের হাতে টাকা দিয়ে আবার এখানে (হোটেল) ফিরে আসি।’
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে দুর্বিষহ যাত্রার সময় যেসব শিশু জন্ম নিয়েছে তাদের অনেকেই অপুষ্টিতে ভুগছে। সেসব শিশুর মা-বাবা তাদের সন্তানদের শিক্ষা, ভবিষ্যৎ ও আচরণ নিয়ে উদ্বিগ্ন। বৈধভাবে টাকা উপার্জনের পথ না থাকায় তারা শিশুদের প্রয়োজন মেটাতে পারছেন না, ঠিকমতো যত্নও নিতে পারছেন না। ভালো খাবার দিতে পারছেন না, আবার কিছু চাইলে সেই চাহিদাও মেটাতে পারছেন না হতভাগা মা-বাবারা
কক্সবাজারের উখিয়ার পানবাজার এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে সহকারী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে দেখায় যায় আনুমানিক ১২-১৩ বছরের এক শিশুকে। আজাদ (ছদ্মনাম) নামে ওই রোহিঙ্গা শিশু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বয়স যখন নয় তখন আমি বাংলাদেশে এসে কুতুপালং ক্যাম্পে থাকা শুরু করি। সেখানে রোহিঙ্গা নেতারা আমাকে দিয়ে বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করাত। মাদক বিক্রি করাত। এগুলো করতে না চাইলে বাসা থেকে তুলে এনে মারধর করা হতো। এ কারণে ক্যাম্প ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেই। আমার পরিবারের তিন ভাই একসঙ্গে ক্যাম্প ছেড়ে চলে আসি। এখন এখানে (উখিয়া) সহকারী জোগালি হিসেবে কাজ করি। কষ্ট হয় কিন্তু ক্যাম্পের জীবন থেকে ভালো আছি। দিনে ২০০-৩০০ টাকা ইনকাম করি।
ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বাইরে আসা রোহিঙ্গা এসব শিশুর কষ্টের যেন শেষ নেই। তবে, ক্যাম্পের ভেতরের শিশুদের অবস্থা আরও খারাপ। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে আসার পর রোহিঙ্গা নারীরা প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার শিশুর জন্ম দেন। বছরের সবসময় ১৫ থেকে ২০ হাজার নারী গর্ভবতী থাকেন। ইতোমধ্যে প্রতিটি রোহিঙ্গা পরিবারই অতিরিক্ত শিশুর জন্ম দিয়েছেন। এ কারণে তারা তাদের সন্তানদের ঠিকমতো ভরণপোষণ দিতে পারছেন না। সন্তানরা কোথায় আছে, কী করছে— সেভাবে খেয়ালও রাখতে পারছেন না মা-বাবারা।
সরেজমিন টেকনাফের উনচিপ্রাং ক্যাম্পে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে নারী-পুরুষের চেয়ে শিশুদের উপস্থিতি বেশি। অধিকাংশের বয়স সাত থেকে ১৩ বছরের মধ্যে। উলঙ্গ, জামা-কাপড় ছাড়া শিশুর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। দল বেধে আড্ডা দিতে অথবা খেলা করতে দেখা যায় তাদের। ১৩/১৪ বছরের বেশকিছু শিশুকে সিগারেট খেতেও দেখা যায়। ক্যাম্পের বাজার, দোকান, হোটেল— সর্বত্র যেন শিশুদের বিচরণ। কেউ কাজ করছে, কেউ থালা-বাসন ধুচ্ছে, আবার কেউ রাস্তার পাশে সাবান, ম্যাচ, মোমবাতি বিক্রি করছে।
ক্যাম্পের একটি অংশ পাহাড় ও জঙলঘেঁষা। রোহিঙ্গাদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট থাকলেও সেখানে শিশুদের মল-মূত্রত্যাগ করতে দেখা যায়।
ক্যাম্পের এসব শিশুদের নিয়ে কাজ করছে জাতিসংঘের শিশু সহায়তা তহবিল ইউনিসেফ। তারা বলছে, কক্সবাজারে অবস্থানরত পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা শিশু ‘রাষ্ট্রহীন শরণার্থী’ হিসেবে অবস্থান করছে। ২০১৭ সালে যেসব শিশুর বয়স ১১-১২ ছিল তারা মিয়ানমারে দেশটির সেনাবাহিনীর তাণ্ডব নিজ চোখে দেখেছে। তাদের মধ্যে এখনও ট্রমা কাজ করছে। এসব শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন তাদের পরিবার। তাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাও। প্রায়ই তাদের বিষণ্ন অবস্থায় দেখা যায়। এ বিষণ্নতা পরবর্তীতে তাদের ঝুঁকিমূলক কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শিশুদের নিয়ে সংস্থাটির ২০২০ সালে প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে দুর্বিষহ যাত্রার সময় যেসব শিশু জন্ম নিয়েছে তাদের অনেকেই অপুষ্টিতে ভুগছে। সেসব শিশুর মা-বাবা তাদের সন্তানদের শিক্ষা, ভবিষ্যৎ ও আচরণ নিয়ে উদ্বিগ্ন। বৈধভাবে টাকা উপার্জনের পথ না থাকায় তারা শিশুদের প্রয়োজন মেটাতে পারছেন না, ঠিকমতো যত্নও নিতে পারছেন না। ভালো খাবার দিতে পারছেন না, আবার কিছু চাইলে সেই চাহিদাও মেটাতে পারছেন না হতভাগা মা-বাবারা।
এমন পরিবেশে বড় হলে ভবিষ্যতে শিশুদের আচরণে কোন ধরনের প্রভাব পড়তে পারে— জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাহফুজা খানম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘অপুষ্টিতে ভুগলে ফিজিক্যাল গ্রোথ (শারীরিক বৃদ্ধি) ঠিকমতো হয় না। এটা আবার মেন্টাল গ্রোথকেও (মানসিক বৃদ্ধি) বাধাগ্রস্ত করে। শিশুর মানসিক বিকাশে ফ্যামিলি বন্ডিং (পারিবারিক বন্ধন) দরকার। এসব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোহিঙ্গা শিশুরা।
‘সরকার হয়তো অনেক কিছুই করছে কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। ট্রমা নিয়ে মিয়ানমার থেকে আসা এসব রোহিঙ্গা শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য একটা ফ্যামিলি অ্যাটমোসফিয়ার (পারিবারিক পরিবেশ) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেটা আমরা দিতে পারছি না। ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তাদের মানসিক বিকাশ।’
ক্যাম্পে অবস্থিত রোহিঙ্গা শিশুদের ভবিষ্যৎ ও মানসিক বিকাশে কাজ চলছে— এমন দাবি করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) শাহ রেজওয়ান হায়াত ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোহিঙ্গা শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য চাঙা রাখতে আমরা প্রতিটি ক্যাম্পে তাদের খেলাধুলার জন্য আলাদা জায়গা করে দিয়েছি। খেলার সরঞ্জামসহ বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে। ছোটখাটো পার্কেরও ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সেখানে বিনোদনের সবধরনের ব্যবস্থা আছে। এছাড়া তাদের অনানুষ্ঠানিক শিক্ষাও নিশ্চিত করা হচ্ছে।
শিশুদের যেকোনো মানসিক সহযোগিতায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রোহিঙ্গা শিশুরা
সরেজমিন বালুখালি ও কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখা যায়, সেখানকার অনেক শিশুই চর্মরোগসহ পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যদিও সেখানে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, ঘনবসতি, নোঙরা ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশের কারণে অধিকাংশ শিশুই এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া তাদের শরীরে ঘামাচি, লালচে বা গোটাভাব লক্ষ করা যাচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এমন একটি সামাজিক সংগঠনের প্রধান মোহাম্মাদ রাইস ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিশুদের অধিকাংশই নানা ধরনের চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছে৷ আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে কক্সবাজার সিভিল সার্জনের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
‘তবে বাংলাদেশি শিশুদের মতো এখানকার শিশুরা সেভাবে সুযোগ-সুবিধা বা চিকিৎসা পাচ্ছে না। আমরা জানি, তারা আমাদের বোঝা। এরপরও আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি তাদের উন্নতমানের চিকিৎসা দিতে।’
রোহিঙ্গা শিশুদের চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখানকার শিশুদের করোনা-সুরক্ষার জন্য স্যানিটাইজার, সাবান ও মাস্ক সরবরাহ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানই সমন্বয় করে কাজ করছে। রোহিঙ্গা শিশুরা যাতে অপুষ্টিসহ স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে না পড়ে সেজন্য যথাযথ উদ্যোগ আমাদের রয়েছে।
দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে রোহিঙ্গা শিশুরা বেশ ভালো স্বাস্থ্যগত সুবিধা পাচ্ছে বলেও দাবি করেন সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান।
সমাজসেবা অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক ও কক্সবাজার রোহিঙ্গা শিশু সুরক্ষা কার্যক্রমের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা সাজ্জাদুল ইসলাম রাঙ্গা ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোহিঙ্গা শিশুদের মধ্যে যারা সুবিধাবঞ্চিত, এতিম, পরিত্যক্ত ও প্রতিবন্ধী তাদের জন্য আমাদের কার্যক্রম রয়েছে। প্রতিনিয়ত খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের কীভাবে সুরক্ষা দেওয়া যায়, সেই কাজ আমরা করছি।
‘যেসব শিশুর বাবা-মা কেউ নেই, তাদের পরিচিত ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে ভরণপোষণবাবদ ইউনিসেফের সহযোগিতায় মাসিক দুই হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। এমন তিন হাজার শিশুর জন্য আমাদের কার্যক্রম চলছে। ইউনিসেফ ও ক্যাম্প প্রশাসন বিষয়টি দেখভাল করছে।’
এআর/জেইউ/এমএআর/