দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ৩৯টি
দেশে শতাধিক রাজনৈতিক দল সক্রিয় থাকলেও নিবন্ধিত দল মাত্র ৩৯টি। ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর ৪৪টি দলকে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরবর্তীতে আদালতের আদেশে এবং ইসির শর্ত পালনে ব্যর্থ হওয়ায় পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল করা হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ আটটি দলের প্রতিনিধিত্ব আছে।
ওয়ান ইলেভেনের (২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি) প্রেক্ষাপটের পর ২০০৮ সালে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই সময় এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে নির্বাচনে অংশ নিতে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে।
বিজ্ঞাপন
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ২০০৮ অনুযায়ী তিন শর্তে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ‘নিবন্ধনে আগ্রহী দলকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দরখাস্ত জমা দেওয়ার তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের যেকোনো একটিতে কমপক্ষে একটি আসন লাভ করতে হবে। অথবা, অংশ নেওয়া আসনে কমপক্ষে পাঁচ শতাংশ ভোট পেতে হবে।’ তিন নম্বর শর্তে বলা হয়, ‘দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সক্রিয় কেন্দ্রীয় দফতর এবং কমপক্ষে ২২ জেলা ও ১০০ উপজেলায় কমিটিসহ সক্রিয় দফতর থাকতে হবে।’
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ২০০৮ অনুযায়ী তিন শর্তে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ‘নিবন্ধনে আগ্রহী দলকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দরখাস্ত জমা দেওয়ার তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের যেকোনো একটিতে কমপক্ষে একটি আসন লাভ করতে হবে। অথবা, অংশ নেওয়া আসনে কমপক্ষে পাঁচ শতাংশ ভোট পেতে হবে।’ তিন নম্বর শর্তে বলা হয়, ‘দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সক্রিয় কেন্দ্রীয় দফতর এবং কমপক্ষে ২২ জেলা ও ১০০ উপজেলায় কমিটিসহ সক্রিয় দফতর থাকতে হবে’
ওই সময় ১১৭টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে। কমিশন যাচাই-বাছাই করে ৩৯টি দলকে নিবন্ধন দেয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় আরও পাঁচটি দল নিবন্ধন পায়। সবমিলিয়ে ৪৪টি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়। এর মধ্যে আদালতের আদেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ইসির শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ফ্রিডম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক দল (জাগপা), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি) ও ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের নিবন্ধন বাতিল হয়।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রথম নিবন্ধিত দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। ২০০৮ সালের ২০ অক্টোবর নিবন্ধন পায় দলটি। নিবন্ধন নম্বর- ১। দলটির নির্বাচনী প্রতীক ‘ছাতা’। একই দিন নিবন্ধন পায় জাতীয় পার্টি (জেপি)। ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত দলটির নিবন্ধন নম্বর- ২। নির্বাচনী প্রতীক ‘বাইসাইকেল’। বর্তমান সংসদে দলটির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুই একমাত্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।
একই বছরের ৩ নভেম্বর একসঙ্গে ১১টি দলের নিবন্ধন দেয় ইসি। দ্বিতীয় দফায় নিবন্ধন পাওয়া বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এমএল) নিবন্ধন নম্বর- ৩। ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত দলটির নির্বাচনী প্রতীক ‘চাকা’। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নিবন্ধন নম্বর- ৪। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত দলটির নির্বাচনী প্রতীক ‘গামছা’। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নিবন্ধন নম্বর- ৫। ১৯৪৮ সালের ৬ মার্চ প্রতিষ্ঠিত দলটির প্রতীক ‘কাস্তে’।
ওই সময় ১১৭টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে। কমিশন যাচাই-বাছাই করে ৩৯টি দলকে নিবন্ধন দেয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় আরও পাঁচটি দল নিবন্ধন পায়। সবমিলিয়ে ৪৪টি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়
এ দফায় নিবন্ধন পায় দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলটির নিবন্ধন নম্বর-৬। ১৯৪৮ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত এ রাজনৈতিক দলের প্রতীক ‘নৌকা’। ২০০৯ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে দলটি রাষ্ট্রক্ষমতায় আছে।
একই দিন (২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর) ইসির নিবন্ধন পায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি। দলটির নিবন্ধন নম্বর- ৭। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত দলটির প্রতীক ‘ধানের শীষ’। আওয়ামী লীগের পরে সবচেয়ে বেশি রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল দলটি। বর্তমান একাদশ সংসদে দলটির সাত সদস্য প্রতিনিধিত্ব করছেন।
এদিন নিবন্ধন পায় গণতন্ত্রী পার্টি। দলটির নিবন্ধন নম্বর- ৮। নির্বাচনী প্রতীক ‘কবুতর’। বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (মোজাফ্ফর) নিবন্ধন নম্বর- ৯। দলটির প্রতীক ‘কুঁড়েঘর’। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নিবন্ধন নম্বর- ১০। দলটির প্রতীক ‘হাতুড়ি’। বর্তমান সংসদে দলটির চার সদস্য প্রতিনিধিত্ব করছেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্প ধারা বাংলাদেশের নিবন্ধন নম্বর- ১১। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত দলটির প্রতীক ‘কুলা’। দলটির দুজন জনপ্রতিনিধি বর্তমান সংসদে রয়েছেন।
আদালতের আদেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ইসির শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ফ্রিডম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক দল (জাগপা), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি) ও ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের নিবন্ধন বাতিল হয়
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টির নিবন্ধন নম্বর- ১২। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত দলটির প্রতীক ‘লাঙ্গল’। জাতীয় পার্টি বর্তমান সংসদে বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। সংসদে তাদের প্রতিনিধির সংখ্যা ২৬। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নিবন্ধন নম্বর- ১৩। বামপন্থী দলটির নির্বাচনী প্রতীক ‘মশাল’। চলতি সংসদে দলটির দুই সদস্য প্রতিনিধিত্ব করছেন।
তৃতীয় দফায় অর্থাৎ ২০০৮ সালের ৯ নভেম্বর পাঁচটি দলকে নিবন্ধন দেয় ইসি। দলগুলো হলো- জাতীয় বামপন্থী সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), মাজারপন্থী জাকের পার্টি, বামপন্থী বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ও মাজারপন্থী বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন।
জাতীয় বামপন্থী সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) নিবন্ধন নম্বর- ১৫। দলটির প্রতীক ‘তারা’। জাকের পার্টির নিবন্ধন নম্বর- ১৬। দলটির নির্বাচনী প্রতীক ‘গোলাপ ফুল’। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) নিবন্ধন নম্বর- ১৭। দলটির প্রতীক ‘মই’। বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির (বিজেপি) নিবন্ধন নম্বর- ১৮। দলীয় প্রতীক ‘গরুর গাড়ি’। মাজারপন্থী বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের নিবন্ধন নম্বর- ১৯। দলটির প্রতীক ‘ফুলের মালা’। তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বাশার মাইজভান্ডারী একমাত্র সদস্য হিসেবে চলতি সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর নিবন্ধন পায় দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলটির নিবন্ধন নম্বর-৬। ১৯৪৮ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত এ রাজনৈতিক দলের প্রতীক ‘নৌকা’। ২০০৯ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে দলটি রাষ্ট্রক্ষমতায় আছে
চতুর্থ দফায় অর্থাৎ ২০০৮ সালের ১৩ নভেম্বর তিনটি দলকে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন। দলগুলো হলো- ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নিবন্ধন নম্বর- ২০। দলীয় প্রতীক ‘বটগাছ’। বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নিবন্ধন নম্বর- ২১। দলীয় প্রতীক ‘হারিকেন’। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) নিবন্ধন নম্বর- ২২, দলীয় প্রতীক ‘আম’।
পঞ্চম দফায় ২০০৮ সালের ১৩ নভেম্বর চারটি রাজনৈতিক দল ইসির নিবন্ধন লাভ করে। ধর্মভিত্তিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নিবন্ধন নম্বর- ২৩। দলটির প্রতীক ‘খেজুর গাছ’। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামের নিবন্ধন নম্বর- ২৪। দলটির নির্বাচনী প্রতীক ‘উদীয়মান সূর্য’। এ প্রতীক নিয়ে প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নেয় দলটি। একাদশ সংসদে তাদের একজন সদস্য প্রতিনিধিত্ব করছেন।
ওইদিন (১৩ নভেম্বর) নিবন্ধন পাওয়া অপর দল হলো গণফ্রন্ট। দলটির নিবন্ধন নম্বর- ২৫, প্রতীক ‘মাছ’। বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) নিবন্ধন নম্বর- ২৭। দলীয় প্রতীক ‘গাভি’।
২০০৮ সালের ১৬ নভেম্বর দুটি দলকে নিবন্ধন দেয় ইসি। বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির নিবন্ধন নম্বর- ২৮, প্রতীক ‘কাঁঠাল’। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের নিবন্ধন নম্বর- ৩০, প্রতীক ‘চেয়ার’।
একই দিন (২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর) ইসির নিবন্ধন পায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি। দলটির নিবন্ধন নম্বর- ৭। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত দলটির প্রতীক ‘ধানের শীষ’। আওয়ামী লীগের পরে সবচেয়ে বেশি রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল দলটি। বর্তমান একাদশ সংসদে দলটির সাত সদস্য প্রতিনিধিত্ব করছেন
২০০৮ সালের ১৭ নভেম্বরও দুটি দলকে নিবন্ধন দেয় ইসি। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির নিবন্ধন নম্বর- ৩১, দলীয় প্রতীক ‘হাতঘড়ি’। ইসলামী ঐক্যজোটও এদিন নিবন্ধন পায়। দলটির নিবন্ধন নম্বর- ৩২, প্রতীক ‘মিনার’।
২০০৮ সালের ২০ নভেম্বর তৎকালীন সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাচন কমিশন শেষ দফায় ছয়টি দলকে নিবন্ধন দেয়। এর মধ্যে একটি দলের নিবন্ধন বাতিল করে বর্তমান ইসি। নিবন্ধন পাওয়া দলগুলো হলো- বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নিবন্ধন নম্বর- ৩৩, দলীয় প্রতীক ‘রিকশা’। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নিবন্ধন নম্বর- ৩৪, দলীয় প্রতীক ‘হাতপাখা’। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নিবন্ধন নম্বর- ৩৫, নির্বাচনী প্রতীক ‘মোমবাতি’। বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নিবন্ধন নম্বর- ৩৭, দলীয় প্রতীক ‘কোদাল’। খেলাফত মজলিসের নিবন্ধন নম্বর- ৩৮, দলীয় প্রতীক ‘দেওয়াল ঘড়ি’।
নবম সংসদ নির্বাচনের আগে সর্বশেষ দল হিসেবে ইসির নিবন্ধন পায় বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি, নিবন্ধন নম্বর- ৩৯। তবে, ইসির শর্তানুসারে এক বছরের মধ্যে পার্টির সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১০ সালে দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়। ফ্রিডম পার্টির দলীয় প্রতীক ছিল ‘কুড়াল’।
বর্তমান কে এম নূরুল হুদা কমিশনের সময় ৭৬টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে। কিন্তু কোনো দলকেই নিবন্ধন দেয়নি ইসি। যদিও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে দলগুলোর মধ্যে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসে উচ্চ আদালতের নির্দেশে নিবন্ধন পায়
কাজী রকিব উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে ২০১৩ সালের ২ জুন নিবন্ধন পায় বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল)। দলটির নিবন্ধন নম্বর-৪০, প্রতীক ‘হাত’ (পাঞ্জা)। একই বছরের ৮ অক্টোবর ইসি থেকে নিবন্ধন পায় বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট)। দলটির নিবন্ধন নম্বর- ৪১, প্রতীক ‘ছড়ি’। ওই বছরের ১৮ নভেম্বর নিবন্ধন পায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট (বিএনএফ)। দলটির নিবন্ধন নম্বর- ৪২, দলীয় প্রতীক ‘টেলিভিশন’।
বর্তমান কে এম নূরুল হুদা কমিশনের সময় ৭৬টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে। কিন্তু কোনো দলকেই নিবন্ধন দেয়নি ইসি। যদিও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে দলগুলোর মধ্যে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসে উচ্চ আদালতের নির্দেশে নিবন্ধন পায়।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এনডিএমকে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন দেয় ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। দলটির নিবন্ধন নম্বর- ৪৩, প্রতীক ‘সিংহ’। একই বছরের ৯ মে ইসির নিবন্ধন পায় বাংলাদেশ কংগ্রেস। দলটির নিবন্ধন নম্বর- ৪৪, দলীয় প্রতীক ‘ডাব’।
এএইচআর/এমএআর/