গত তিন বছরে সীমান্তে ১০৭ বাংলাদেশি নিহত হন বিএসএফের গুলিতে, সূত্র : আইন ও সালিশ কেন্দ্র

সীমান্তের প্রতিটি হত্যাই পরিতাপের— কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সফরে এসে এমন মন্তব্য করেছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। সেসময় তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রচেষ্টায় সীমান্তের হত্যা বন্ধ করা সম্ভব।

আদৌ কি সীমান্তের হত্যা বন্ধ হয়েছে? গত সোমবারও (১২ জুলাই) ভোররাতে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে গরু নিয়ে ফেরার সময় বিএসএফের (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী) গুলিতে আব্দুর রাজ্জাক (২৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। 

এর আগে এ বছরের ২০ মার্চ মৌলভীবাজারের জুড়ি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন বাপ্পা মিয়া (৪০) নামে আরেক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী।

শুধু রাজ্জাক বা বাপ্পা মিয়া নন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গত তিন বছরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১০৭ বাংলাদেশি। বিপরীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) গুলিতে নিহত হয়েছেন মাত্র একজন ভারতীয় নাগরিক। একাধিকবার দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, মৌখিক আশ্বাস দিয়ে সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নিতে সম্মত হয় দুই দেশ। তবে কথা রাখছে না প্রতিবেশী দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সীমান্তে বাংলাদেশিদের বুকে গুলি চালিয়েই যাচ্ছে তারা!

জানা গেছে, অধিকাংশ সময়ই এসব হত্যাকে ‘আত্মরক্ষা’ বলে সাফাই গায় বিএসএফ। অথচ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে করা তদন্তে দেখা গেছে, সীমান্তে নিহত কোনো বাংলাদেশির কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকে না।

২০২০ সালে বিএসএফের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৮ বাংলাদেশি। এর মধ্যে সরাসরি গুলিতে ৪২ জন মারা গেছেন। মারধরসহ শারীরিক নির্যাতনে মারা গেছেন আরও ছয়জন। গত তিন বছরে ১০৭ বাংলাদেশি নিহত হন, বিপরীতে ভারতের মারা যান মাত্র একজন। ‘সীমান্তে মৃত্যু শূন্যে আনার’ প্রতিশ্রুতির মধ্যেও এমন হত্যা বাংলাদেশকে ভাবিয়ে তুলেছে। শুধু হত্যাই নয়, সীমান্ত এলাকা থেকে ৪৮ বাংলাদেশিকে তুলে নিয়ে করা হয়েছে নির্মম নির্যাতনও

দুই যুগ ধরে চলছে এমন হত্যাকাণ্ড

মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে বিএসএফের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৮ বাংলাদেশি। এর মধ্যে সরাসরি গুলিতে ৪২ জন মারা গেছেন। মারধরসহ শারীরিক নির্যাতনে মারা গেছেন আরও ছয়জন। ‘সীমান্তে মৃত্যু শূন্যে আনার’ প্রতিশ্রুতির মধ্যেও এমন হত্যা বাংলাদেশকে ভাবিয়ে তুলেছে। শুধু হত্যাই নয়, সীমান্ত এলাকা থেকে ৪৮ বাংলাদেশিকে তুলে নিয়ে করা হয়েছে নির্মম নির্যাতনও।

হত্যা করেই বিএসএফ বলে ‘আত্মরক্ষা’ কিন্তু মেলে না কোনো আগ্নেয়াস্ত্র

গত ২০ বছরের পরিসংখ্যান আরও ভয়াবহ। ‘বন্ধুরাষ্ট্র’ ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এ সময়ে মোট এক হাজার ২৩৬ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে। এ সংখ্যাটা আনুষ্ঠানিক। সীমান্ত এলাকা থেকে এ সময়ের মধ্যে নিখোঁজ হয়েছেন ১১১ জন। তাদের ভাগ্যে কী জুটেছে, সে বিষয়ে কোনো সদুত্তর নেই কারও কাছে। বিজিবির কাছে বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও কাউকে গুলির আগে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। বরং গুলি করে সীমান্তবর্তী থানাগুলোতে একে ‘আত্মরক্ষা’ বলে রেজিস্ট্রি করে বিএসএফ।

রাসেলের চোখ, আজিমের নখ বলে দেয় বিএসএফের নির্মমতা

২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল বিকেলে কুড়িগ্রামের সীমান্তঘেঁষা মাঠে গরু চরাচ্ছিলেন রাসেল মিয়া নামের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। বিকেল পৌনে ৪টায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সদস্যরা এসে হাজির হন শূন্য রেখার বাংলাদেশ অংশে। রাসেল ভয়ে নদীতে নামলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে শটগান থেকে গুলি ছোঁড়েন। রাসেলের পুরো মুখ ঝাঁঝরা হয়ে যায়। তিনি আর নদী থেকে ডাঙায় উঠতে পারেননি। পরে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন।

ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা হয় রাসেলের। তিনি বলেন, ‘তারা (বিএসএফ) মদ্যপ ছিল। সীমান্তে এসেই এলোপাতাড়ি গুলি করে। আমার মুখে গুলি লাগে। ডান চোখে আর কখনোই দেখতে পাব না আমি। বাম চোখে ঝাপসা দেখি। চোখে-মুখে রাবার বুলেট (স্প্লিন্টার) ঢুকে আছে। এগুলোও বের করা লাগবে। আমি তো আর চোখে দেখতে পাই না, আমার পড়াশোনার কী হবে? বিএসএফ শুধু আমার চোখই নয়, জীবনটাও নষ্ট করে দিয়েছে।’

রাসেলের বিষয়ে বিজিবি ওই সময় প্রতিবাদ করে। উত্তরে বিএসএফ জানায়, ঘটনাটি ছিল ‘চোরাকারবারিদের আক্রমণ’। তবে বিজিবির তদন্তে জানা যায়, ক্ষতিগ্রস্তের পরিবারের কেউ চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত নয়, কখনো ছিলও না।

শুধু রাসেল নন, এমন নৃশংসতার শিকার হন আজিমউদ্দিন নামের এক গরু ব্যবসায়ীও। ২০১৯ সালের এপ্রিলে ওপারে গরু আনতে যান তিনি। ফেরার সময় তাকে ধরে প্লাস (সাঁড়াশি বিশেষ) দিয়ে তুলে নেওয়া হয় হাতের নখ। যন্ত্রণায় আজিম বারবার বিএসএফকে বলেছিল, ‘আমাকে মেরে ফেলুন’। নির্যাতনের পর তাকে বিজিবির হাতে তুলে দেওয়া হয়। নির্মম ওই নির্যাতনের স্মৃতি এখনো তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। এখনো আঁতকে ওঠেন আজিমউদ্দিন।

ভবনে বসে চুক্তি, সীমান্তে ভঙ্গ

২০১৮ সালের এপ্রিলে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করেছিল বিজিবি-বিএসএফ। চুক্তিতে সীমান্ত অতিক্রমের ঘটনায় প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার না করার বিষয়ে উভয় বাহিনী একমত হয়। ওই বছর সীমান্তে বিএসএফের হাতে মারা যান ১১ জন, যা গত ২১ বছরের মধ্যে ছিল সর্বনিম্ন। তবে পরের বছরই (২০১৯) এ সংখ্যা প্রায় চারগুণ বেড়ে ৪১-এ দাঁড়ায়।

সীমান্তে হত্যার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় ওই বছরই (২০১৯ সাল) বিজিবির পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয় বিএসএফের কাছে। এসব হত্যাকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু’ বলে দাবি করে তারা। বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকের (ডিজি) বৈঠকে বিএসএফ ডিজি এমন দাবি করেন। ওই সময় অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে বিএসএফপ্রধান বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা হামলা চালালে আত্মরক্ষায় বিএসএফ সদস্যরা প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেন।’

 রংপুর-রাজশাহী সীমান্তে বেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে

মৃত্যু বেশি কোন সীমান্তে, কারণ কী?

গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, রংপুর ও রাজশাহী সীমান্তে বিএসএফের হাতে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

সীমান্তবর্তী বিভিন্ন থানা, বিজিবি এবং বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সীমান্তের অধিকাংশ মৃত্যুই ঘটে বাংলাদেশিদের ভারতে অনুপ্রবেশের কারণে। অনুপ্রবেশের অন্যতম কারণ, ভারত থেকে গরু কিনে আনা। অনেকে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া কাটার সময় বিএসএফের গুলিতে নিহত হন। এছাড়া ‘চোরাচালান দমনের অজুহাতে’ বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করে হত্যাকাণ্ড ঘটান— এমন তথ্যও পাওয়া যায়।

বিএসএফ আগে গুলি করে, পরে কথা বলে : সাখাওয়াত

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘সীমান্তের হত্যা কমবে না, সংখ্যাটাও নিচে নামবে না। কারণ, ভারতের বিএসএফকে আমি সবসময় ট্রিগার হাতেই দেখি। তারা গুলি করার জন্য প্রস্তুত থাকে। আগে গুলি করে, পরে কথা বলে।’

তিনি বলেন, ‘বিএসএফের বেশিরভাগ সদস্যই অবাঙালি। বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। তারা এখনো মনে করে, বাংলাদেশের মানুষ ক্ষুধার্ত, বাংলাদেশ দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশ। তাই তারা ভারতে যায়। ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। বিষয়টি ভারতের পলিটিক্যাল লেভেল (রাজনৈতিকভাবে) থেকে বিএসএফকে সেভাবে বার্তা দেওয়া হয় না অথবা বিএসএফ তাদের কথা শোনে না।’

‘আমার মতে, যদি ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে চায়, তাহলে তাদের নিচের লেভেলে (বিএসএফ) অ্যাকশন নিতে হবে। তবে এ ধরনের অ্যাকশন তারা আগে কখনো নেয়নি। এমনকি ফেলানীর ঘটনায়ও কিছু হয়নি। পলিটিক্যাল লেভেল থেকে শক্ত বার্তা না দিলে সীমান্তে হত্যার কোনো সুরাহা হবে না। এ হত্যাকাণ্ড বাড়তে থাকলে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ভারতবিদ্বেষী মনোভাব আরও প্রকট হবে’— যোগ করেন তিনি।

গত বছর ভারতের রাঘববাটিতে বিজিবি-বিএসএফের ব্যাটালিয়নপর্যায়ের পতাকা বৈঠক

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘উদ্বেগ’

সম্প্রতি ২০২০ সালের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ (রাজনৈতিক অধিশাখা- ২)। এতে সীমান্ত হত্যার বিষয়টি ‘উদ্বেগের’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, “২০১৯ ও ২০২০ সালের সীমান্ত হত্যার চিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তে ‘হত্যা’ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার শিকার হচ্ছেন।”

বিএসএফকে নিয়মিত রিমাইন্ডার দিচ্ছি : বিজিবি

বিজিবির পরিচালক (অপারেশন) ও মুখপাত্র লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান এ প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘সীমান্তের হত্যাগুলো সাধারণত সীমান্ত অপরাধের কারণে হয়। সীমান্ত অপরাধ কমিয়ে আনলে হত্যাকাণ্ডও কমে আসবে। তবে এ বিষয়ে আমরা নিয়মিত ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছি, নিয়মিত রিমাইন্ডার দিচ্ছি।’

‘এছাড়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সীমান্তের স্পর্শকাতর ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে দিনে ও রাতে টহল জোরদার করা হয়েছে। আশা করছি, হত্যা কমে আসবে’— যোগ করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর

বাংলাদেশে এসে যা বললেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের আমন্ত্রণে এ বছরের ৪ মার্চ একদিনের ঝটিকা সফরে বাংলাদেশে আসেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। ওই সময় দ্বিপক্ষীয় এক বৈঠক শেষে সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশিদের হত্যার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি। বলেন, সীমান্তে ঘটা প্রতিটি হত্যাই পরিতাপের। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রচেষ্টায় এটি বন্ধ করা সম্ভব।

সীমান্ত হত্যার কারণ হিসেবে ‘অপরাধ’-কে দায়ী করেন জয়শঙ্কর। বলেন, ‘অপরাধ কমলে সীমান্ত হত্যা কমে আসবে। ভারতের সীমান্তে কিছু হত্যার ঘটনা ঘটছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের (বাংলাদেশ-ভারত) মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে। আমার বিশ্বাস, একসঙ্গে কাজ করলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে পারব।’

বিদায়ী বছরের (২০২০) শেষদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভার্চুয়াল আলোচনায়ও সীমান্ত হত্যা ইস্যুটি উঠে আসে। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ভারত-বাংলাদেশের শীর্ষপর্যায়ের বৈঠকে এবং দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালকপর্যায়ের আলোচনাতেও সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয়ে আলোচনা হয়।

সীমান্তে সতর্ক পাহারায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা

বিএসএফের নমনীয় হওয়া উচিত : আসক

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর আবু আহমেদ ফয়জুল কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘বিএসএফ দ্বারা হত্যার পর কোনো বাংলাদেশির কাছে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গেছে— এমন কোনো নজির বা ঘটনা নেই। যারা মারা যান, তাদের শতভাগই নিরীহ (ইনোসেন্ট)। যেহেতু বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছে কোনো অস্ত্র থাকে না সেক্ষেত্রে বিএসএফ সদস্যরা তাদের আটক করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা নির্যাতন ও গুলি চাই না। এমনকি সীমান্তে ভারতের অনুপ্রবেশকারী নাগরিক থাকলে বিজিবি তাদের আটক করে ফিরিয়ে দেয়, হত্যার নজির নেই। অথচ আগ্নেয়াস্ত্র না থাকা সত্ত্বেও বিএসএফ বাংলাদেশিদের হত্যা করছে। বিএসএফের উচিত বাংলাদেশ ও ভারতের ঐতিহ্যবাহী সম্পর্কের কথা বিবেচনায় নিয়ে নমনীয় আচরণ করা।’

এআর/এমএআর/