মৃত্যুঝুঁকি জেনেও পাহাড়ে বসবাস
বর্ষা মৌসুম আসন্ন। প্রতি বছর এ মৌসুমে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘ হয় মৃত্যুর মিছিল। কিন্তু পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস বন্ধ হয় না। গত ১৩ বছরে পাহাড়ধসে দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এরপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ এখানে বসবাস করছেন।
পাহাড়ে বসবাস করা বেশিরভাগ মানুষই নিম্ন আয়ের। সেখানে বসবাসের জন্য নির্বিচারে পাহাড় কাটা হচ্ছে। ফলে বৃষ্টি হলেই পাহাড়ের মাটি ধসে দুর্ঘটনা ঘটছে। এরপর কিছু সময়ের জন্য প্রশাসনের তৎপরতা চোখে পড়ে। সময় যত গড়ায় তৎপরতাও থিতিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৭টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে ৮৩৫টি পরিবার বসবাস করছে। অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণভাবে ব্যক্তিমালিকানাধীন ১০টি পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৫৩১টি। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন সাতটি পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৩০৪টি।
২০০৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে পাহাড়ধসে দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে পাহাড়ধসে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় ২০০৭ সালে। ওই বছরের ১১ জুন টানা বর্ষণের ফলে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৭ সালে মারা যান ৩০ জন।
যেসব পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস
রেলওয়ের লেকসিটি আবাসিক এলাকা-সংলগ্ন পাহাড়ে ২২টি পরিবার, পূর্ব ফিরোজ শাহ ১ নম্বর ঝিল-সংলগ্ন পাহাড়ে ২৮টি পরিবার, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন কৈবল্যধাম বিশ্ব কলোনি পাহাড়ে ২৮টি পরিবার, পরিবেশ অধিদফতর-সংলগ্ন সিটি করপোরেশন পাহাড়ে ১০টি পরিবার, রেলওয়ে, সওজ, গণপূর্ত অধিদফতর ও ওয়াসার মালিকানাধীন মতিঝর্ণা ও বাটালি হিলে ১৬২টি পরিবার, ব্যক্তিমালিকানাধীন এ কে খান পাহাড়ে ২৬টি পরিবার, হারুন খানের পাহাড়ে ৩৩টি পরিবার, পলিটেকনিক কলেজ-সংলগ্ন পাহাড়ে ৪৩টি পরিবার, মধুশাহ পাহাড়ে ৩৪টি পরিবার, ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট-সংলগ্ন পাহাড়ে ৩৩টি পরিবার, মিয়ার পাহাড়ে ৩২টি পরিবার, আকবর শাহ আবাসিক এলাকা-সংলগ্ন পাহাড়ে ২৮টি পরিবার, আমিন কলোনি-সংলগ্ন টাংকির পাহাড়ে ১৬টি পরিবার, লালখান বাজার জামেয়াতুল উলুম মাদরাসা-সংলগ্ন পাহাড়ে ১১টি পরিবার, ভেড়া ফকিরের পাহাড়ে ১১টি পরিবার, ফয়’স লেক আবাসিক এলাকা-সংলগ্ন পাহাড়ে নয়টি পরিবার এবং এম আর সিদ্দিকী পাহাড়ে আটটি পরিবার বসবাস করছে। এর বাইরেও ঝুঁকিপূর্ণভাবে অনেকে পাহাড়ে বসবাস করছে।
অভিযোগ আছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালীরা পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন করলেও প্রশাসনের এ বিষয়ে তেমন নজর নেই। বিশেষ করে সীতাকুণ্ডের জঙ্গল ছলিমপুর এলাকায় পাহাড় কেটে স্থাপনা তৈরি করে বসবাস করছেন বহু মানুষ। সেখানে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী লিটন মজুমদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০০৪ সাল থেকে এখানে বসবাস করছি। আমাদের এখানে কোনো পাহাড়ধসের ঘটনা নেই। স্বল্প বেতনে চাকরি করি। এখানে বাসা ভাড়া কম, তাই থাকি।
ডেইজি দাশ নামে একজন বলেন, মনিকা রানী নামের একজনকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে ছলিমপুর এলাকার পাহাড়ে বসবাস শুরু করি। প্রশাসন একবার উচ্ছেদও করে। পরে আবার এখানে ঘর তৈরি করে থাকা শুরু করি। মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাই বাধ্য হয়ে এখানে থাকতে হচ্ছে।
জোছনা বেগম নামে আরেকজন বলেন, বৃষ্টি হলেই ভয়ে থাকি। যাওয়ার জায়গা নেই। কেউ পুনর্বাসনেরও ব্যবস্থা করে না। এ কারণে এখানে থাকা।
পরিমল নামের একজন পরিবারের ছয় সদস্য নিয়ে থাকেন বায়েজিদ থেকে সীতাকুণ্ডে যাওয়া সিডিএ লিংক রোডের পাশের পাহাড়ে। তিনি বলেন, মাসে যা আয় করি, এখানে থাকা ছাড়া তো উপায় নেই। ধস হলে বিপদ হবে জেনেও এখানে থাকতে বাধ্য হচ্ছি। সরকার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করলে চলে যাব।
পাহাড়ের আরেক বাসিন্দা মায়া আক্তার বলেন, পুনর্বাসনের জন্য প্রশাসন থেকে আমাদের তালিকা করে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ঝুঁকি নিয়েও আমাদের এখানে বসবাস করতে হচ্ছে।
‘২০০৪ সাল থেকে পুনর্বাসনের কথা শুনে আসছি কিন্তু কিছুই হয়নি’ উল্লেখ করে হেনা বেগম নামে এক নারী বলেন, ‘ঝুঁকি জেনেও এখানে থাকতে হচ্ছে। তবে আমাদের এখানে পাহাড়ধস হয়নি। আমাদের পাশেই হয়েছে। ভয় নিয়ে থাকতে হচ্ছে। বাসা ভাড়া কম, তাই ঝুঁকি নিয়ে এখানে থাকি।’
পরিবেশ নিয়ে কাজ করা পিপলস ভয়েস’র সভাপতি শরীফ চৌহান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরীতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ে বসবাস করছেন কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ। পুরো জেলায় পাহাড়ে বসবাসকারীর সংখ্যা এক লাখের ওপরে। এ বছরও যদি বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হয় তাহলে পাহাড়ধস হতে পারে। প্রাণহানিও ঘটতে পারে। তাই প্রশাসনকে বলেছি, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের অতি দ্রুত সরিয়ে নিতে। বর্ষার আগে এটি শুরু করতে পারলে ভালো হয়।’
‘কেবল বর্ষা মৌসুম এলেই প্রশাসনের টনক নড়ে’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এ সময় পাহাড়ে বসবাসকারীদের সতর্ক করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে উচ্ছেদও করা হয়। এ বছর এখনও উচ্ছেদ করা হয়নি। বর্ষার আগেই এ কাজ করা দরকার।’
শরীফ চৌহান বলেন, পাহাড়গুলোকে পাহাড়ের মতো রাখতে হবে। সেখানে তো মানুষের থাকার কথা নয়। কিন্তু মানুষ ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। আর যারা থাকছেন তাদের বেশিরভাগই ভাড়াটিয়া। তারা কিন্তু দখলদার নয়। যারা পাহাড় দখলদার, তারা এখানে থাকেন না। পাহাড় কাটার ফলে মানুষের জীবন বিপন্ন হচ্ছে, সেই সঙ্গে প্রকৃতি ও পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে। এসব পাহাড় রক্ষার দায়িত্ব সরকারের এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। কিন্তু প্রতিবারই আমরা লক্ষ্য করছি, শুধুমাত্র বর্ষা মৌসুমে তারা কিছু উদ্যোগ নেয়। সারা বছর এ বিষয়ে তাদের কোনো খেয়াল থাকে না।
তিনি আরও বলেন, পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারীরা বিদ্যুৎ, পানিসহ সব ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। এমনকি কিছু কিছু স্থানে গ্যাসের সংযোগও আছে। অবৈধ বসবাসকারীরা যদি নাগরিক সুযোগ-সুবিধাগুলো সেখানে পেয়ে যান, তাহলে তো তাদের উচ্ছেদ করা যাবে না।
সেখান থেকে মানুষকে উচ্ছেদ এবং পাহাড় রক্ষা করতে হলে সব ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করতে হবে। পাহাড়ে ব্যাপকভাবে বনায়ন করতে হবে। ২০০৭ সালে পাহাড়ধসের পর টেকনিক্যাল কমিটি যে ৩৭ দফা সুপারিশ করেছিল সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, পাহাড় দখলের পেছনে রয়েছে ভূমিদস্যুতা। যারা দখলদার, তারা কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকেন। তারা যখন যে সরকার আসে তখন সে সরকারের সমর্থক গোষ্ঠী সেজে পাহাড় দখল করেন। নতুন করে ফয়’স লেক এলাকায় পাহাড় কাটা হচ্ছে। যারা পাহাড় কাটছেন তাদের কয়েকজনকে জরিমানা করেই দায় শেষ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করছি। ব্যক্তিগত ও সরকারি পাহাড় যেসব সংস্থার মালিকানায় আছে তাদের অবৈধ বসবাসকারীদের তালিকা করার জন্য বলেছি। ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের পাহাড় ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং হচ্ছে। এর মধ্যে তারা না গেলে উচ্ছেদ করা হবে।’
পরিবেশ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীতে পাহাড় কাটার দায়ে ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে সরকারি সংস্থা ও ব্যক্তি রয়েছেন। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘পাহাড় কাটা রোধে নিয়মিত মামলা করা হয়। পাশাপাশি জরিমানাও করা হয়। কিন্তু এসব করেও পাহাড় কাটা ঠেকানো যাচ্ছে না। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং-এ সিদ্ধান্ত হয়েছে, যারা পাহাড়ের মালিক তাদেরই পাহাড় রক্ষা করতে হবে। পাহাড় কাটার জন্য শুধু পরিবেশ অধিদফতরের ওপর দায় চাপানো উচিত হবে না। যার পাহাড় তারই সেটা রক্ষার প্রাথমিক দায়িত্ব।’
পাহাড় দখলদারদের কোনো তালিকা আপনাদের কাছে আছে কি না— এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাহাড় কাটা ও দখলদারদের কোনো তালিকা নেই। তবে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করা হয়।
২০০৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে পাহাড়ধসে দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে পাহাড়ধসে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় ২০০৭ সালে। ওই বছরের ১১ জুন টানা বর্ষণের ফলে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৭ সালে মারা যান ৩০ জন।
পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সরকারি হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, চট্টগ্রামের পাহাড়গুলোতে বালি মাটি বেশি। ফলে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হলে পাহাড়ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রামে এক শ্রেণির চিহ্নিত ভূমিদস্যু পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত। যারা পাহাড় দখল করে স্থাপনা তৈরির মাধ্যমে ভাড়া আদায় করে। তারা বিভিন্ন দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের লোকজনকে দেখি বছরের ১০ মাস পাহাড় নিয়ে নীরব থাকেন। শুধু মে-জুন এলে পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের নিয়ে কথা বলেন। পাহাড়ে যারা অবৈধভাবে বসবাস করেন তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। একটা শ্রেণি চায় না অবৈধ বসবাসকারীরা পাহাড় থেকে নেমে আসুক। নেমে আসলে পাহাড় দখলের প্রক্রিয়াটা থেমে যাবে। এ কারণে পাহাড়ে যারা অবৈধ স্থাপনা তৈরির সঙ্গে জড়িত তাদের নিবৃত করতে হবে। তা না করা গেলে পাহাড় কাটা অব্যাহত থাকবে। আর পাহাড়ধসে মারা যাবে নিম্ন আয়ের মানুষ।
পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের বিষয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, পাহাড়ে অবৈধ দখলদার ও ভূমিদস্যু কেউ থাকলে তাদের উচ্ছেদ করা হবে। যারা ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় বসবাস করছেন, বৃষ্টি হলে পাহাড়ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে— এমন স্থানে বসবাসকারীদের সরিয়ে আনা হবে। এ বছর কোনো প্রাণহানির ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অবৈধভাবে পাহাড় দখলকারীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারি জায়গা কেউ বিক্রি করতে পারে না। যেকোনো মুহূর্তে সরকার এসব জায়গা উদ্ধার করতে পারে। জঙ্গল ছলিমপুরকে নিয়ে আমাদের বিশেষ পরিকল্পনা আছে। একটি রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে। সরকারি অনেক স্থাপনা জঙ্গল ছলিমপুরে স্থানান্তরের চিন্তাভাবনা চলছে। সুতরাং যারা অবৈধ দখলদার তাদের উচ্ছেদ করতে আমাদের সময় লাগবে না। সরকারের চেয়ে শক্তিশালী কেউ নাই।
চট্টগ্রামের জঙ্গল ছলিমপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের ঘরগুলোতে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান সামিনা বানু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা সংযোগ না দিলেও চুরি করে বিদ্যুৎ নেওয়া যায়। অভিযান চালিয়ে অবৈধ লাইন বিচ্ছিন্ন করলেও ফের সংযোগ দেওয়া যায়। ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ে বসবাসকারীরা যদি অবৈধভাবে মিটার ও বিদ্যুতের সংযোগ পেয়ে থাকেন তাহলে দ্রুতই সেগুলো বিচ্ছিন্ন করা হবে।
কেএম/এমএআর/