২৮ বছর বয়সী আফসার উদ্দিন সেন্টমার্টিনের পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা। তার বাবা এক সময় জেলে ছিলেন। কমিউনিটি ট্যুরিজমের প্রসারে বাবা-ছেলে মিলে ঋণ করে বাড়ির মধ্যে একটি ছোট রিসোর্ট তৈরি করেছেন। এই ঘরোয়া রিসোর্টই তাদের আয়ের একমাত্র উৎস। রিসোর্টে অতিথি থাকলে তাদের সংসার চলে, না থাকলে খাওয়া-নাওয়া সব বন্ধ থাকে। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সেন্টমার্টিনে পর্যটক প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করার কারণে অন্যদের মতো দুশ্চিন্তায় পড়েছে আফসারের পরিবার।

আফসার উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সেন্টমার্টিনের আদি ১৩টি পরিবারের একটি আমাদের। আমার পূর্বপুরুষের সবাই জেলে ছিলেন, কয়েকজন কৃষিকাজ করতেন। সেন্টমার্টিনে ২০০০ সাল থেকে পর্যটক আসা শুরু হয়। তখন আমরা মাছ ধরার পাশাপাশি পর্যটনে বিনিয়োগ শুরু করি। পর্যটক বাড়তে থাকায় ২০১১/২০১২ সালের দিকে পুরোপুরি পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করি। এখন প্রায় সবাই পর্যটন খাত নির্ভর হয়ে পড়েছে। আমরা আমাদের সহায়-সম্বল এ খাতে বিনিয়োগ করে ফেলেছি। সরকার হঠাৎ পর্যটক আসার ওপর বিধিনিষেধ দিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত আমাদের বেকায়দায় ফেলেছে। যেন পুরো আসমানটা আমাদের মাথার ওপর পড়েছে! এখন আমরা কী করব?

আফসার উদ্দিনের মতো পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করে সর্বস্ব হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছে সেন্টমার্টিনের শত শত পর্যটন-নির্ভর পরিবার।

ঢাকা পোস্টের পক্ষ থেকে সরেজমিনে গিয়ে সেন্টমার্টিনবাসীর প্রকৃত অবস্থা জানার চেষ্টা করি। দ্বীপে গিয়ে কয়েকটি পাড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তাদের বেশিরভাগের চোখে-মুখে অনিশ্চয়তা আর আতঙ্কের ছাপ। কেউ জীবিকার লড়াইয়ে হঠাৎ অনিশ্চয়তা দেখছেন, কারও আবার ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ভিটেমাটি হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম।

‘নারিকেল জিঞ্জিরা’খ্যাত দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটিতে একসময় মানুষ জীবিকা নির্বাহ করতেন মাছ ধরে ও চাষাবাদ করে। ২০০০ সালের পর এখানে পর্যটকদের যাতায়াত শুরু হয়, ধীরে ধীরে ছন্দপতন হয় আয়ের উৎসে। তবে, পর্যটকরাই তাদের আয়ের নতুন পথ খুলতে সাহায্য করেন। এখন দ্বীপটির অধিকাংশ বাসিন্দার আয়ের বড় অংশ পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল।

সরকার সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাওয়ার ওপর বিধিনিষেধ দেওয়ায় জীবিকা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাসিন্দারা। ১০ হাজার মানুষের বসতির এই দ্বীপে এখন শুধুই আতঙ্ক, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা! চায়ের দোকান, বাজার, পাড়া-মহল্লা, মসজিদ সর্বত্র সবার প্রশ্ন, কী হতে যাচ্ছে সেন্টমার্টিনে? সবার মনে অজানা ভয়, কী চক্রান্ত হচ্ছে; শেষমেশ কি বাপ-দাদার ভিটেমাটি হাতছাড়া হয়ে যাবে? 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বলছে, পরিবেশ ও দ্বীপটির জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত। তবে, শুধুই কী পরিবেশ, নাকি এর পেছনে আছে অন্য কোনো গল্প। দ্বীপবাসী বলছেন, ১২ মাসের মধ্যে ৪ মাস পর্যটক আসে এখানে। বাকি ৮ মাস এখানে লোকজন আসে না। তাহলে পরিবেশ-জীববৈচিত্র্য রক্ষার নামে বিধিনিষেধ তো কাম্য নয়।

হতাশ আফসার উদ্দিন বলেন, আমি তো আমার পূর্বপুরুষের মতো মাছ ধরার পেশায় যাইনি। এখন কী করব, কিছুই বুঝতে পারছি না। কারণ অন্য কোনো কাজও শিখিনি। আমাদের জীবন-জীবিকা পুরোপুরি অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে। চোখে সব অন্ধকার দেখছি। সরকার সিদ্ধান্ত না পাল্টালে হয়ত একসময় জমিজমা বিক্রি করে চলে যেতে হবে। তা না হলে চলব কীভাবে?

অনেকটা আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, পরিবেশের দোহাই দিয়ে হুট করে এমন সিদ্ধান্ত সরকার কেন নিল জানি না। এখানে পরিবেশ নষ্ট হোক এটা আমরাও চাই না। কারণ এটা তো আমাদের জন্মভিটা। পরিবেশ রক্ষায় যদি কোনো নীতিমালা দিতে চায় সরকার, আমরা মানতে রাজি। কিন্তু সেটা পর্যটন বন্ধ করে কেন? আমরা এ দেশের নাগরিক, আমাদের রুজি-রুটি বন্ধ করে দেবেন না।

সেন্টমার্টিনের প্রথম ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্ন

দ্বীপের স্থানীয় একজন মৌলভী আব্দুর রহমান। নিজের সব সম্পদ ও ব্যাংক ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন স্যান্ড শোর নামের হোটেলে। এ হোটেলের আয় দিয়ে দুই মেয়েকে বেসরকারি মেডিকেলে পড়াচ্ছেন। সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা হিসেবে প্রথম ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন তার মেয়েরা। কিন্তু পর্যটন নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তে স্বপ্ন যেন দুঃস্বপ্নে পরিণত হচ্ছে এ পর্যটন ব্যবসায়ীর।

মৌলভী আব্দুর রহমান বলেন, আমরা সেন্টমার্টিনের আদি বাসিন্দা। জমি-সম্পদ ভালোই ছিল। মাছ ধরা আর চাষাবাদে জীবিকা চলত। ২০০০ সালের পর থেকে এখানে পর্যটক আসা শুরু হলো। এরপর দেখলাম পর্যটন ব্যবসায় ভালো আয়। সুন্দর রিসোর্ট হলে আয় আরও ভালো হবে। এরপর নিজের জমানো অর্থ, জমি বিক্রির টাকা ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে প্রায় কোটি টাকা বিনিয়োগ করে হোটেল তৈরি করলাম। পর্যটনের কল্যাণে আমার দুই মেয়েকে মেডিকেলে পড়াচ্ছি। এই দ্বীপের প্রথম কোনো বাসিন্দা মেডিকেলে পড়ছে। এক ছেলে এসএইচসি পাস করেছে। পর্যটন ব্যবসা থেকেই ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার খরচ দিচ্ছি। বেসরকারি মেডিকেলে পড়ে দুটি মেয়ে, তাদের পেছনে মাসে দেড় লাখ টাকা খরচ। এখন ব্যবসা বন্ধ। এভাবে কিছুদিন চললে তাদের লেখাপড়ার খরচ আর দেওয়া সম্ভব হবে না।

‘কীভাবে দেব এত টাকা, দিনমজুরি করে এত আয় করা তো সম্ভব না। তার মানে পর্যটক আসা বন্ধ হলে মেয়ে দুটি আর ডাক্তার হতে পারবে না।’

কথা বলতে বলতে দুই চোখ টলটলে হয়ে আসা এই বাসিন্দা আরও বলেন, ‘আমরা তো এ দেশের নাগরিক, আমাদের এ দরিয়ায় ভাসিয়ে দিয়েন না। পরিবেশের দোহাই দিয়েন না। পরিবেশ যদি সমস্যা হয় নিয়মকানুন করে দেন, মানব। কিন্তু পেটে লাথি মারবেন না।’

বঙ্গোপসাগরে জোয়ার-ভাটার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সেন্টমার্টিনের মানুষের জীবন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সাগরে মাছ শিকার করে চলে তাদের জীবিকা, প্রতিকূলে থাকলে বন্ধ থাকে মাছ ধরা। ওই সময় খাবারও জোটে না অনেকের। জাল মেরামতে দিন কাটে। পেশা হিসেবে গত কয়েক বছরে অটোরিকশা চালানো জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। কিন্তু পর্যটক না যাওয়ায় সেটিও এখন বন্ধ। সবমিলিয়ে জীবিকার লড়াইয়ে অসহায় হয়ে পড়ছেন দ্বীপবাসী।

সংসার চলছে না রিকশাচালক ও চা-বিক্রেতাদের

অটোরিকশার চালক আল-আমিন জানান, এখানে পর্যটক এলে দিনে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা আয় হয়। এখন পর্যটক নেই। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৬৫ টাকা। একটি অটোরিকশা চার্জ দিতে ৫০০ টাকা লাগে। সারাদিন রিকশা চালিয়ে চার্জের টাকা বাদে ২০০-৩০০ টাকা থাকে। এটা দিয়ে বাজার করলে চাল কেনা যায় না, খুব কষ্টে সংসার চলছে।

সেন্টমার্টিনের জেটি থেকে একটু সামনে গেলেই ডান পাশে ছোট একটি চায়ের দোকান। দোকানের মালিক আবদুল আলিম। বেচাবিক্রি নিয়ে হতাশ আলিম বলেন, ‘ভালো না, এখন প্রতিদিন ২০-৩০ কাপ চা বিক্রি হয়। প্রতি বছর এ সময়ে প্রায় ৪০০ কাপ চা বিক্রি হতো। চার মাসের আয় দিয়েই চলত পুরো বছর। এ বছর আয় নেই, খুব বিপদে আছি।’ 

জেটি থেকে একটু সামনে ডানে ‘সেন্টমার্টিন ভাত ঘর’। ছোট হোটেলটি চালান মনজুর আলম। তিনি বলেন, এখন সারাদিনে বিক্রি দুই-তিন হাজার টাকা। গত বছর এই সময় দিনে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বিক্রি হতো। পর্যটক আসছে না, তাই বিক্রি কম। খরচ হিসাব করলে প্রতিদিনই দুই-আড়াই হাজার টাকা লস হচ্ছে। 

দ্বীপের আরেক বাসিন্দা মাহবুব আলম। জেটিতে কথা হচ্ছিল তার সঙ্গে। তিনি নিজের বসতবাড়িতে কয়েকটি রুম করে পর্যটকদের কাছে ভাড়া দেন। বছরের চার মাসের পর্যটন মৌসুমে যে আয় করেন সেটি দিয়েই বাকি আট মাস চলত। এ বছর পর্যটন মৌসুমে সরকার সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় তারও আয়ে ভাটা পড়েছে। তিনি বলেন, ‘আগে মাছ ধরার পেশা ছিল। এখন তেমন মাছ পাই না বলে পেশা ছেড়ে দিয়েছি। পৈতৃক সূত্রে কিছু কৃষিজমি ছিল, তাও বিক্রি করে দিয়েছি। এখন পুরোপুরি পর্যটন ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল। পর্যটক না আসায় রোজগার একেবারেই বন্ধ। এখন তিন বেলার খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

বুড়িগঙ্গা নিয়ে চিন্তা করুন, বারবার কেন টার্গেট সেন্টমার্টিন

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বছর সরকার প্রথমে পর্যটক সীমিত করার কথা বলল। পরে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিলেও বাস্তবায়ন করছে না। নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করছে। নভেম্বরে পর্যটক যাওয়ার অনুমতি থাকলেও জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়নি। অর্থাৎ সরকার নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করছে। বর্তমানে এখানে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। বিশেষ প্রয়োজনে কেউ যেতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি লাগে। ফলে সন্দেহটা বাড়ছে। এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কি শুধুই পরিবেশ ইস্যু, নাকি অন্য কোনো গল্প আছে। বিষয়টি কেউ খোলাসা করছেন না।

সেন্টমার্টিনের রাস্তার মোড়ে মোড়ে, চায়ের দোকানে, যেখানেই মানুষ জড়ো হচ্ছে, সবার একটাই প্রশ্ন- কী হতে যাচ্ছে সেন্টমার্টিন নিয়ে। কীভাবে তাদের রিজিকের ব্যবস্থা হবে? দ্বীপটিতে ২০৯টি রিসোর্ট ও কটেজের মধ্যে ৫৯টি স্থানীয়দের, ৮৪টি ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের মানুষের। আর ৬৬টি স্থানীয় বাড়ি কটেজ হিসেবে ব্যবহার হয়। এখন এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ।

প্রতি বছর নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই চার মাস সেন্টমার্টিনে পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারেন। তবে, এ বছর তাতে ছন্দপতন হয়েছে। এবার অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নভেম্বরে সেন্টমার্টিনে কোনো পর্যটক রাত্রিযাপন করতে পারবেন না। আর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দিনে সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক ভ্রমণ এবং রাত্রিযাপন করতে পারবেন। ফেব্রুয়ারিতে পর্যটক যাতায়াত বন্ধ থাকবে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে। বন্ধ করতে হবে প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার।

সেন্টমার্টিন যাত্রী পরিবহন বোট মালিক সমিতির সভাপতি রশীদ আহমেদ বলেন, পরিবেশ রক্ষার কথা বলছে সরকার। কিন্তু এর নেপথ্যে কী আছে তা সরকারই ভালো জানে। হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিল আমরা কিছুই জানি না। এখানে শুধু স্থানীয় মানুষ নয়, অনেক উদ্যোক্তা বড় বিনিয়োগ করেছেন। সরকার সিদ্ধান্ত না পাল্টালে সবাইকে পথে বসতে হবে।

তিলোত্তমা ইকো রিসোর্টের মালিক ও স্থানীয় পরিবেশবাদী জাভেদ রহমান বলেন, পর্যটক বন্ধের কারণ হিসেবে সরকার পরিবেশের কথা বলছে। বাস্তবে হিসাব মিলছে না। পর্যটক বন্ধ করে পরিবেশ রক্ষা করা যাবে না। তিনি বলেন, ‘বুড়িগঙ্গার নিচে আট ফুট পলিথিন। এই নদী উদ্ধারের উদ্যোগ নেই। কিন্তু বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ নিয়ে একেক সময় একেক ধরনের কথা বলা হচ্ছে।’

পর্যটক বন্ধ হলে বেকার হবে গোটা সেন্টমার্টিন

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব), সেন্টমার্টিনস দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোটসহ সেন্টমার্টিনে ১১টি সংগঠন কাজ করছে। সব সংগঠনের সম্মিলিত বক্তব্যের সার কথা হলো, সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে। তবে, তা পর্যটন বন্ধ করে দিয়ে নয়, বরং পরিবেশের অনুকূলে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তাদের মতে, সরকারি এ সিদ্ধান্তে পর্যটন শিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এখানকার সাধারণ উদ্যোক্তারা সর্বস্বান্ত হবেন। তারা বলছেন, সেন্টমার্টিনে প্রায় ১০ হাজার মানুষ বাস করেন। সবাই পর্যটন ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল। ফলে পর্যটক সীমিত অথবা বন্ধ করা হলে এরা সবাই বেকার হয়ে যাবেন।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের স্থানীয় নেতা মৌলভী আবদুর রহমান জানান, এখানে একটি হাসপাতাল থাকলেও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই। নেই ডাক্তার। তাই শুরু থেকেই অকার্যকর হাসপাতালটি। শিক্ষা ব্যবস্থার মারাত্মক দুরবস্থা। প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। নৌবাহিনী একটি হাই স্কুল পরিচালনা করছে। কিন্তু কলেজ নেই।

স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার কারণে পর্যটনে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে, এর বেশি কিছু জানি না। সরকারের পক্ষ থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয় আমরা তা পালন করি কেবল।

এসআই/এআর/জেডএস