◑ মানুষ আমাকে ভালোবাসে, প্রচুর সাড়া পাচ্ছি
◑ চলচ্চিত্রের বন্ধুরাও প্রচারণায় অংশ নেবেন
◑ স্ত্রী প্রচারবিমুখ, তবুও আমার জন্য কাজ করবে
◑ মানুষ জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি চায় না

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে প্রার্থী নির্বাচনে একগুচ্ছ চমক দেখিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। যেখানে দলীয় মনোনয়নের ঘোষণায় তরুণ প্রজন্মের নতুন মুখের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীও। সবমিলিয়ে সারা দেশে ৩০০ আসনে নৌকার মাঝি হওয়ার দৌড়ে শুধু রাজনীতিবিদ বাদে স্থান পেয়েছেন ব্যবসায়ী, খেলোয়াড়, সাবেক আমলা, শিক্ষক, চিকিৎসক ও চিত্রনায়ক। সেই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-১০ আসনে নৌকার মাঝি হয়েছেন ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ আর ‘সুজন মাঝি’ ছবির নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। সহজ সাবলীল বাচনভঙ্গি, চমৎকার অভিনয় আর সুন্দর দৈহিক সৌষ্ঠবের কারণে দর্শকদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত ও জনপ্রিয় তিনি। একের পর এক ছবিতে দারুণ অভিনয় তাকে জনপ্রিয় করেছে এপার-ওপার দুই বাংলাতেই।

৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে নৌকা প্রতীকে লড়বেন দর্শক নন্দিত এ অভিনেতা। এ আসনের মধ্যে রয়েছে- ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান ও হাজারীবাগ এলাকা। অভিনয়ের মাঠের ‘সুজন মাঝি’ থেকে রাজনীতির মাঠের ‘নৌকার মাঝি’ হওয়ার পথচলা এবং জনগণের সেবক হওয়ার জন্য ভোটের লড়াইয়ের যাত্রাপথের নানা অভিজ্ঞতা নিয়ে সম্প্রতি ঢাকা পোস্টের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিনেতা, নবীন রাজনীতিবিদ ও ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ফেরদৌস আহমেদ। দীর্ঘ আলাপচারিতায় তুলে ধরেছেন রাজনীতির মাঠে নিজ অবস্থান। সেই আলোচনার চৌম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরেছেন ঢাকা পোস্টের নিজস্ব প্রতিবেদক মো. রাকিবুল হাসান তামিম।

ঢাকা পোস্ট : ‘সুজন মাঝি’ থেকে ‘নৌকার মাঝি’ হয়েছেন, অংশ নিচ্ছেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। মাঠপর্যায়ে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

ফেরদৌস আহমেদ : আলহামদুলিল্লাহ। খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। মাঠে নামার আগে যতটা ভেবেছিলাম তার চেয়েও অনেক বেশি সাড়া পাচ্ছি। আসলে আমি ভাবিনি মানুষ এত আপন করে আমাকে গ্রহণ করবে। আমি কেন সিনেমা ছেড়ে রাজনীতিতে এসেছি— মানুষ আমাকে এমন প্রশ্ন করবে ভেবেছিলাম। কিন্তু বাস্তবে দেখলাম আমার রাজনীতিতে আসার বিষয়টি মানুষ খুব সহজভাবে মেনে নিয়েছে এবং নিচ্ছে। তারা খুবই আন্তরিক। বলছে, জনপ্রতিনিধি হিসেবে আপনাকে পাশে চাই।

আমি ভোট চাইতে গিয়ে মানুষকে যে ভালোবাসা দেখাচ্ছি, এই ভালোবাসা যেন অটুট থাকে, তেমন প্রত্যাশার কথা বলছেন জনগণ। আমার কাছে মনে হয়, জীবনে যে কোনো সম্পর্ক গড়ার জন্য এর চেয়ে সহজ কোনো উপায় হতে পারে না। ভালোবাসা দিয়েই অনেক কিছু জয় করা যায়। বিষয়টি চিন্তা করেই আমি খুব সুখ অনুভব করছি। এ ছাড়া, জনগণের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তাদের মন থেকে ধন্যবাদ জানাই। কেননা তারা আমাকে খুব সহজে মেনে নিয়ে আপন করে নিয়েছেন। প্রতিনিয়ত তারাই আমাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন।

ঢাকা পোস্ট : রাজনীতির মাঠে নায়ক ফেরদৌস হঠাৎ করে আবির্ভাব হয়েছেন। এমন মন্তব্যও করছেন কেউ কেউ। কী বলবেন?

ফেরদৌস আহমেদ : ভালোই তো বলছে। হঠাৎ করেই আমার ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ (ছবি) হয়ে গেছে। তেমনি হঠাৎ করেই রাজনীতিতে হয়ত আমি একটা কিছু হয়ে যাব। অনেকেই তো অনেক কিছু বলবে। সব কথার সঠিক উত্তর দিয়ে সবাইকে আমি সন্তুষ্ট করতে পারব না। এ পৃথিবীর সবাই কি আমাকে ভালোবাসে? যদি সবাই আমাকে ভালোবাসত তাহলে তো ভোটেই আসতে হতো না। আমি জানি কেউ কেউ আমাকে নিয়ে নেগেটিভ কথা বলবে। সেটাও এক ধরনের শক্তি। কারণ, আমার বিরুদ্ধে কেউ একটা নেগেটিভ (নেতিবাচক) কথা বলল সেটাকে আমি পজিটিভ (ইতিবাচক) প্রমাণ করার জন্য আরও শক্তভাবে কাজ করা শুরু করব। সুতরাং, এগুলো যারা বলে তাদের প্রমাণ করার জন্যই হয়ত একদিন আমি সত্যি সত্যিই বড় প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ হয়ে উঠব।

ঢাকা পোস্ট : নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে। রঙিন পর্দার মানুষ আপনি। নতুন কোনো চমক অপেক্ষা করছে কি না?

ফেরদৌস আহমেদ : প্রচারণার প্রথম দিন ফুটপাতের ওপর দিয়ে র‌্যালি করে করে মানুষের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু সেটা হয়ে ওঠেনি। কারণ, প্রথম দিন বিজয় র‌্যালি করে পুরো বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছি। তারপর থেকে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য যেসব স্থানে যাচ্ছি, সেখানে একটা ছোট্ট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছি। আমি চাচ্ছি মানুষের কাছাকাছি যেতে। সেজন্য খুব নতুন ধরনের কিছু এনে বা একেবারে মানুষকে ব্যতিক্রম কিছু উপহার দিয়ে তাদের কাছে যেতে হবে— এমনটা ভাবার কোনো প্রয়োজন নেই।

তবে, নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে আমার শিল্পী বন্ধুরা হয়ত শিগগিরই এসে যুক্ত হবেন। আমার কাছে মনে হচ্ছে, আমি যেভাবে মানুষের কাছে যাচ্ছি এর চেয়ে বড় কোনো চমক লাগে না। এ ছাড়া, আমাদের মেয়র তাপস ভাই, উনি বিভিন্ন জনহিতকর কার্যক্রমে আমাকে সঙ্গে নিয়ে যান। মানুষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। আমার প্রচারণায় এটা বড় উপহার হিসেবে পাচ্ছি।

নির্বাচনী প্রচারণায় আমার বউয়ের অংশগ্রহণও বড় ধরনের চমক। যদিও সে অত্যন্ত প্রচারবিমুখ। মাঝে মধ্যে নির্বাচনের কাজে অংশ নেবে। আমার প্রচারে মানুষের কাছে যাবে। আমি যখন মানুষের কাছে যাই তখন অনেকেই আমার বউকে দেখতে চান। সে আমার চেয়েও বড় সেলিব্রেটি। বাংলাদেশের একজন নারী পাইলট হিসেবে তাকে মানুষ কাছ থেকে দেখতে চায়। অনেকেই আমাকে বলেছেন, ভাবি কবে আসবেন? সেজন্য আমার কাছে মনে হয়েছে, ওর একটা বড় ভূমিকা এ জায়গায় রয়েছে।

ঢাকা পোস্ট : রাজনীতির মাঠে নতুন পথচলা। বিপৎসংকুল মনে হচ্ছে কি না?

ফেরদৌস আহমেদ : আমি যেহেতু জীবনের সব বাঁকগুলো সহজভাবে মেনে নেই, সেজন্য আমার কাছে কোনোটাই কঠিন বাঁক মনে হয় না। আমি স্রোতের সঙ্গে কিংবা বিপরীতে চলতে পারি। যেখানে যেটা করা উচিত সেখানে সেটাই করি। আমি যখন অভিনয়ে আসি তখন তো আমি অভিনয়ের কিছুই জানতাম না। আমি সবসময় চেষ্টা করতাম আমার ডিরেক্টরদের (পরিচালক) কাছ থেকে শিখতে। আমার কাছে মনে হতো তারা একেকজন একেকটা ইনস্টিটিউট। আমি তাদের কাছ থেকে শিখতাম। আমি বাসু চ্যাটার্জির কাছ থেকে প্রচুর জিনিস শিখেছি। সর্বোপরি প্রত্যেকটা ডিরেক্টরের (পরিচালক) কাছ থেকেই শিখেছি। ঠিক একইভাবে আমি যখন রাজনীতিতে এসেছি তখন আমিও রাজনীতিবিদদের কাছ থেকেই শিখছি।

যেহেতু আমি পলিটিশিয়ানদের (রাজনীতিবিদ) মতো বক্তৃতা দিতে পারি না, সেজন্য আস্তে আস্তে ছোট জিনিসগুলো শেখার চেষ্টা করছি। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভাই, মেয়র তাপস ভাইয়ের বক্তব্য দেখি। সবাই কীভাবে কথা বলেন, তাদের কথা বলার স্টাইল, মডুলেশন কী রকম হওয়া উচিত, সবকিছুই খেয়াল করি। এগুলো হচ্ছে আমার লার্নিং। আমি যেহেতু এখানে এসেছি তাই রাজনীতি নিয়ে খুব বেশি সিরিয়াস। ‘ফেরদৌসের এ বিষয়ে ঘাটতি রয়েছে’— আমাকে যেন কেউ এমন কথা বলতে না পারে সে দিকগুলো খেয়াল রেখে নিজেকে তৈরি করছি।

ঢাকা পোস্ট : ঢাকা-১০ আসনের মানুষ কেন আপনাকে ভোট দেবে?

ফেরদৌস আহমেদ : ঢাকা-১০ আসনের নবীন-প্রবীণ সকল মানুষের কাছে আমি যাচ্ছি। দুই প্রজন্ম বা তিন প্রজন্মের মানুষদের কাছ থেকে যতটুকু বুঝতে পেরেছি, তাদের ধারণা— আমি একজন সর্বোত্তম প্রার্থী। কারণ, আমার কোনো স্ক্যান্ডাল নেই। আমার কোনো বদনাম নেই। আমার পারিবারিক সমৃদ্ধি রয়েছে। আমি অত্যন্ত বন্ধুবৎসল মানুষ। মানুষ জনপ্রতিনিধি হিসেবে একজন ক্লিন ইমেজের মানুষ চায়। আমি যে সব সিনেমায় অভিনয় করেছি সেগুলো যথেষ্ট রুচিশীল, নান্দনিক ও সামাজিক। আমি শিল্পসম্মতভাবে জীবনযাপন করি। কোনো বহুলতা নেই। এসব কিছু দেখে মানুষ আমাকে ভালোবেসে ফেলেছে। এ ছাড়া, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেহেতু আমাকে নৌকা প্রতীকের জন্য মনোনীত করেছেন, সেজন্য আমার প্রতি তাদের আস্থাও বেড়েছে। এসব কারণেই আমি আশাবাদী, মানুষ আমাকে ভোট দেবে।

বিশেষ করে নতুন ভোটার যারা তাদের উদ্দেশ্যে আমি একটি কথা বলতে চাই, তোমাদের প্রথম ভোট যেন হয় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির প্রতি। কারণ, এ দেশ অনেক দাম দিয়ে কেনা হয়েছে। সুতরাং, এ দেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সবার।

ঢাকা পোস্ট : ঢাকা-১০ কে নিয়ে নতুন কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?

ফেরদৌস আহমেদ : নির্বাচিত হলে ঢাকা-১০ কে আমি আধুনিক ও স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে তুলব। ইতোমধ্যে  আমি বলেছি, জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হলে ঢাকা-১০ হবে ‘দশে ১০’। আমি এ স্লোগানকে প্রতিষ্ঠা করব। এ আসনের দশ দিক দিয়ে যেন কোনো সমস্যা না থাকে আর যতটুকু সমস্যা আছে ততটুকু যেন আমরা মিটিয়ে ফেলতে পারি, সেই চেষ্টা করব। বর্তমান নগরপিতা শেখ ফজলে নূর তাপস ভাই এ আসনের জন্য অনেক করেছেন। ঢাকা-১০ আসনের প্রতি তার অন্য রকম মমতা আছে। এখানে অনেক ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলোর উন্নয়নে আমি আরও কাজ করব।

আপনারা জানেন আমার আসনে বাংলাদেশের বিখ্যাত খেলার মাঠ, ধানমন্ডিতে সুন্দর একটি লেক, সবচেয়ে বড় বিজনেস হাব নিউমার্কেট, হাজারীবাগসহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ এরিয়া রয়েছে। সুতরাং, এখানে অনেক কিছু করার আছে। এখানকার ঐতিহাসিক একটা ভ্যালু আছে। আমি প্রত্যাশা করি, মানুষ যেভাবে আমার পাশে আছে আমিও এর প্রতিদান তাদের ফিরিয়ে দেব। শুধু মুখে নয়, কাজেও ‘দশে ১০’ পূর্ণ করব, ইনশাল্লাহ।’

ঢাকা পোস্ট : দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে। তারা এখন ‘অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। কী বলবেন?

ফেরদৌস আহমেদ : বাংলাদেশের মানুষ এখন জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতিতে বিশ্বাসী না। আমরা কেউ হরতালের রাজনীতি, অগ্নিসন্ত্রাসের রাজনীতি, অবরোধের রাজনীতি চাই না। আমরা একটা শান্তিপূর্ণ দেশ চাই। আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা সবাইকে শান্তিতে রাখতে চাই।

গত কিছুদিন আন্দোলনের নামে বিএনপি মানুষের ক্ষতি করছে, পুড়িয়ে মেরে ফেলছে। তারা ভাবছে না একটা ট্রেন পোড়ানো মানে একটা রাষ্ট্রের কত বড় ক্ষতি! তারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করছে। আমার মনে হয়, দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা উচিত। ইন্ধনদাতাদেরও ধরে ধরে বিচার করা উচিত। এ মুহূর্তে আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবং শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণমূলক ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচন করতে চাই।

ভোটাধিকার প্রয়োগ করেই তো একটি দলকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হয়। সেখানে যারা নির্বাচনেই যায় না কিংবা নির্বাচনের সঙ্গে যাদের সম্পৃক্ততা নেই; তাদের নিয়ে আমার বলার কিছু নেই।

ঢাকা পোস্ট : বাংলাদেশের মানুষের কাছে আপনার শেষ প্রত্যাশা কী হবে?

ফেরদৌস আহমেদ : আমাদের এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা সবাই এখন এক নৌকার যাত্রী হিসেবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমার বিশ্বাস, দেশের মানুষ আগামী ৭ জানুয়ারি বিপুল ভোটে নৌকাকে বিজয়ী করে শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করবে।

আরএইচটি/এমজে/এমএআর