দুই দফায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে বছর শুরু করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। যদিও এ পথচলায় আসতে থাকে একের পর এক চ্যালেঞ্জ। গ্রীষ্মের শুরুতে ডলার সংকট ও জ্বালানির অভাবে বাধাগ্রস্ত হয় বিদ্যুৎ উৎপাদন; ফলাফল ভয়াবহ লোডশেডিং। অপরদিকে, উৎপাদনে আসার আট মাসে সাতবার বন্ধ হয়ে যায় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনও। এত সব চ্যালেঞ্জের মধ্যেও ইউরেনিয়ামের মাধ্যমে পারমাণবিক শক্তির যুগে বাংলাদেশের প্রবেশ, ভোলা ও সিলেটের কূপে গ্যাসের সন্ধান এবং ১৯৮৬ সালের পর ফের দেশের মাটিতে তেলের সন্ধান— এ খাতকে দেখিয়েছে আশার আলো।

দুই দফায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি 

বছরের শুরুতে ১২ জানুয়ারি ও ২৮ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় নির্বাহী আদেশে ভোক্তাপর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করে সরকার। দুই মাসের ব্যবধানে ১০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনে তৈরি করে বাড়তি চাপ।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পণ্যের মূল্য নির্ধারক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) কার্যত ক্ষমতাহীন করে দিয়ে এ মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছিল। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। গত বছরের ৩০ নভেম্বর বিইআরসি অধ্যাদেশ- ২০২২ সংশোধনের কারণে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা পায় সরকার।

বছরের শুরুতে ১২ জানুয়ারি ও ২৮ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় নির্বাহী আদেশে ভোক্তাপর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করে সরকার। দুই মাসের ব্যবধানে ১০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনে তৈরি করে বাড়তি চাপ

যদিও মূল্যবৃদ্ধির আগে ৮ জানুয়ারি বিইআরসি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ওপর গণশুনানির আয়োজন করে। তাতে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব উত্থাপন করে বিদ্যুৎ বিতরণকারী ছয়টি প্রতিষ্ঠান। ওই শুনানিতে বিদ্যুতের দাম ১৫.৪৩ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছিল বিইআরসির কারিগরি কমিটি। তবে, সে শুনানি শেষ হওয়ার আগেই নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করে সরকার।

বছরের শুরুতে ১২ জানুয়ারি ও ২৮ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় নির্বাহী আদেশে ভোক্তাপর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করে সরকার / ফাইল ছবি

এ প্রসঙ্গে ক্যাবের জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেছিলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর মাধ্যমে বিইআরসিকে সমাহিত করা হলো। বিইআরসি কর্তৃক জ্বালানির মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হতো। কিন্তু জবাবদিহিতার সে সংস্কৃতি নষ্ট হয়ে গেল। অধ্যাদেশ আইন সংশোধনের মাধ্যমে সরকার নিজেদের জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নিয়ে গেল। যার পরিণাম হবে ভয়াবহ। সরকার যখন-তখন বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়িয়ে জনগণের দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেশি বাড়িয়ে দেবে। ইতোমধ্যে সেটা বেড়েও গেছে। কোনো জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্রের চরিত্র এমন হতে পারে না।

ডলার ও জ্বালানি সংকটে লোডশেডিং 

এবারের গ্রীষ্মে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহসহ ডলার সংকটের ফলে প্রয়োজনীয় জ্বালানির সংস্থান না করতে পারায় ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে দেশ। চাহিদার তুলনায় উৎপাদনের ঘাটতি ছাড়িয়ে যায় তিন হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি। গ্যাস ও জ্বালানির অভাবে ১৫৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে প্রায় ৫৩টি বন্ধ থাকে। সেই ধাক্কায় আরও মাত্রা যোগ করে কয়লার অভাবে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা।

ডলার সংকটের ফলে প্রয়োজনীয় জ্বালানির সংস্থান না করতে পারায় ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে দেশ। চাহিদার তুলনায় উৎপাদনের ঘাটতি ছাড়িয়ে যায় তিন হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি। গ্যাস ও জ্বালানির অভাবে ১৫৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে প্রায় ৫৩টি বন্ধ থাকে। সেই ধাক্কায় আরও মাত্রা যোগ করে কয়লার অভাবে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা

কেন্দ্রটির এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করে। পরিস্থিতি সামলাতে সরকার তেলভিত্তিক (ডিজেল-ফার্নেস অয়েল) উৎপাদনে ফিরে যায়। তবে, জুনের শেষদিকে তাপপ্রবাহ কমে আসায় চাহিদার পরিমাণও কমে যায়। ফলে স্বাভাবিক হয় লোডশেডিং পরিস্থিতি।

জ্বালানি তেলে ডিলারপর্যায়ে কমিশন বৃদ্ধি 

দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অক্টোবর মাসে জ্বালানি তেলের ডিলার পর্যায়ে কমিশন বৃদ্ধি ও তেলের মূল্য সমন্বয় করে সরকার। ২৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) ডিলার বা এজেন্ট পর্যায়ে কমিশন নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছিল জ্বালানি মন্ত্রণালয়। গেজেটে জ্বালানি তেলের মূল্য পুনর্নির্ধারণ/সমন্বয়ের (বৃদ্ধি/হাস) ক্ষেত্রে অবচয়, সব খরচসহ ডিলার/এজেন্টস কমিশন এবং ট্যাংকলরির ভাড়াসহ অকটেনে ৪.২৮ শতাংশ, পেট্রোলে ৪.৩৪ শতাংশ, কেরোসিনে ২ শতাংশ এবং ডিজেলে ২.৮৫ শতাংশ কমিশন নির্ধারণ করে সরকার।

কয়লা সংকটের কারণে বেশ কয়েকবার বন্ধ হয়ে যায় পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ জনগণ / ছবি- সংগৃহীত

কিন্তু এ মূল্য সমন্বয়ের মাধ্যমে ভোক্তাপর্যায়ে জ্বালানি তেলের দামের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। ভোক্তাপর্যায়ে জ্বালানি তেলের দাম যথারীতি পূর্বের মতোই রয়ে যায়।

ইউরেনিয়ামের যুগে প্রবেশ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাশিয়া কর্তৃক ইউরেনিয়াম হস্তান্তরের মাধ্যমে ৫ অক্টোবর পারমাণবিক শক্তির যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে নিউক্লিয়ার পাওয়ার সমৃদ্ধ দেশগুলোর তালিকায় ৩৩তম সদস্য হিসেবে স্থান পায় বাংলাদেশ। আশা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের শুরু থেকে রূপপুর থেকে মিলবে বহুল আকাঙ্ক্ষিত বিদ্যুৎ।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাশিয়া কর্তৃক ইউরেনিয়াম হস্তান্তরের মাধ্যমে ৫ অক্টোবর পারমাণবিক শক্তির যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে নিউক্লিয়ার পাওয়ার সমৃদ্ধ দেশগুলোর তালিকায় ৩৩তম সদস্য হিসেবে স্থান পায় বাংলাদেশ। আশা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের শুরু থেকে রূপপুর থেকে মিলবে বহুল আকাঙ্ক্ষিত বিদ্যুৎ

আর্থিক বিবেচনায় দেশের একক প্রকল্প হিসেবে সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রায় এক লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এ প্রকল্পের ৯০ শতাংশ অর্থ ঋণ দিচ্ছে রাশিয়া। এটা ২৮ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। রোসাটমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অ্যাটোমসট্রয় এক্সপোর্ট। এখন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি প্রায় ৭৪ শতাংশ। দুটি ইউনিটে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট করে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে এখান থেকে।

বেসরকারি খাতে জ্বালানি তেল বিক্রির অনুমোদন 

অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি, পরিশোধন, বিপণন ও মজুতসংশ্লিষ্ট নীতিমালায় বেসরকারি খাতকে সংযুক্ত করে গত ১৫ নভেম্বর ‘বেসরকারি পর্যায়ে রিফাইনারি স্থাপন, অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিপূর্বক মজুত, প্রক্রিয়াকরণ, পরিবহন ও বিপণন নীতিমালা- ২০২৩’ শীর্ষক নীতিমালা জারি করে সরকার। বিদ্যমান নীতিতে এসব ক্ষেত্রে একক নিয়ন্ত্রণ ছিল রাষ্ট্রের। নীতিমালা জারির মাধ্যমে বেসরকারি খাতকেও জ্বালানি তেল আমদানি, পরিশোধন ও বিপণনের সুযোগ দেওয়া হয়।

পাবনায় নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের জন্য ইউরেনিয়ামের ষষ্ঠ চালান পৌঁছেছে / ফাইল ছবি

বর্তমানে জ্বালানি তেল পরিশোধনের একক ক্ষমতা রাষ্ট্রায়ত্ত ইস্টার্ন রিফাইনারির হাতে। আর তেল আমদানি ও বিপণনের ক্ষমতা রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) কাছে। তবে, বেসরকারি খাতে রিফাইনারি স্থাপনের পর দুই সংস্থাই তেল আমদানি, পরিশোধন ও বিপণনের একক বাজার হারাবে।

বর্তমানে জ্বালানি তেল পরিশোধনের একক ক্ষমতা রাষ্ট্রায়ত্ত ইস্টার্ন রিফাইনারির হাতে। আর তেল আমদানি ও বিপণনের ক্ষমতা রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) কাছে। তবে, বেসরকারি খাতে রিফাইনারি স্থাপনের পর দুই সংস্থাই তেল আমদানি, পরিশোধন ও বিপণনের একক বাজার হারাবে

নীতিমালার আওতায় বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে বিশেষ সুযোগ প্রদান করে সরকার। এতে উৎপাদিত জ্বালানি তেলের বিপণন শুরুর প্রথম তিন বছর ৬০ শতাংশ ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন, জেট ফুয়েল, ফার্নেস অয়েল কিনে নেবে বিপিসি। পরের দুই বছর পরিশোধিত জ্বালানি তেলের ৫০ শতাংশ কিনে নেবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, বেসরকারি রিফাইনারিতে উৎপাদিত ডিজেল, অকটেন, পেট্রোল, জেট ফুয়েল, ফার্নেস অয়েল বিপণন শুরুর প্রথম তিন বছর মোট উৎপাদিত জ্বালানি তেলের ৬০ শতাংশ সরকার-নির্ধারিত মূল্যে বিপিসিকে সরবরাহ করতে হবে। বাকি ৪০ শতাংশ জ্বালানি তেল নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ও নিজস্ব নিবন্ধিত বিপণন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবে। তবে, বিক্রয় নেটওয়ার্কের স্বল্পতার কারণে কোনো বেসরকারি রিফাইনারি অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ তেল বিক্রি করতে না পারলে এর যে কোনো পরিমাণ বিপিসির কাছে বিক্রি করতে পারবে। এ বিষয়ে দুই মাস আগেই বিপিসিকে জানাতে হবে এবং বিপিসি তার চাহিদা অনুযায়ী তা কেনার জন্য চুক্তি করবে।

জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় দীর্ঘদিন ধরে সাগরে অনুসন্ধান চালানোর কথা বলে আসছেন বিশেষজ্ঞরা / ফাইল ছবি
সিলেট ১০ নম্বর গ্যাস কূপের চারটি স্তরের প্রথম স্তরে মিলেছে তেলের সন্ধান। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানা যায়, এ কূপে রয়েছে প্রায় আট থেকে ১০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল, যার মূল্য সাত হাজার কোটি টাকা। দৈনিক উত্তোলন করা যাবে অন্তত ৫০০ থেকে ৬০০ ব্যারেল তেল

পরবর্তী দুই বছরে বেসরকারি রিফাইনারিগুলো তাদের উৎপাদিত তেলের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিক্রি করতে পারবে। অথবা বিপিসি ও বেসরকারি রিফাইনারি ক্রয়-বিক্রয় চুক্তির মাধ্যমে এর পরিমাণ নির্ধারণ করবে। তবে, বিপিসির চাহিদা না থাকলে সংস্থাটির অনাপত্তি গ্রহণসাপেক্ষে বিদেশে পরিশোধিত জ্বালানি তেল রপ্তানিও করতে পারবে বেসরকারি রিফাইনারির মালিকরা।

দেশে তেলের সন্ধান

বাংলাদেশে খনিজ সম্পদের মধ্যে সাধারণত তেল উৎপাদিত হয় না। তবে, ১৯৮৬ সালের পর গত ৮ ডিসেম্বর ফের তেলের দেখা মিলেছে দেশের মাটিতে।

সিলেট ১০ নম্বর গ্যাস কূপের চারটি স্তরের প্রথম স্তরে মিলেছে তেলের সন্ধান। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানা যায়, এ কূপে রয়েছে প্রায় আট থেকে ১০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল, যার মূল্য সাত হাজার কোটি টাকা। দৈনিক উত্তোলন করা যাবে অন্তত ৫০০ থেকে ৬০০ ব্যারেল তেল।

সিলেট ১০ নম্বর গ্যাস কূপের চারটি স্তরের প্রথম স্তরে মিলেছে তেলের সন্ধান। এ কূপে রয়েছে প্রায় আট থেকে ১০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল / ফাইল ছবি

প্রাপ্ত তেল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) ও সিলেট গ্যাস ক্ষেত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। একই কূপের অন্য তিন স্তরে পাওয়া গেছে ৪৩ থেকে ১০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধানও। যা দেশের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান প্রক্রিয়াকে নিয়ে যাবে নতুন মাত্রায়।

এ প্রসঙ্গে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছিলেন, আগে আমাদের গ্যাসের সঙ্গে কিছু তেল আসত। এখন তেল আলাদা হয়ে গেছে। আমরা যদি নিজেদের তেল নিজেরা উত্তোলন করতে পারি, তাহলে সেটা আমাদের জন্য সুখবর।

প্রায় ৩৭ বছর আগে ১৯৮৬ সালে হরিপুরের গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রথম খনিজ তেলের সন্ধান মেলে। টানা সাত বছরে মোট পাঁচ লাখ ৬০ হাজার ৮৬৯ ব্যারেল তেল উত্তোলনের পর ১৯৯৪ সালে কূপটি থেকে প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় চার দশক পর সিলেট গ্যাসক্ষেত্রে আবারও মিলল মূল্যবান খনিজ তেলের উপস্থিতি।

ওএফএ/এমজে/এমএআর/