মেট্রোরেল ছোঁবে মতিঝিল, বাঁচবে কর্মঘণ্টা
দেশের মানচিত্রে প্রথমবারের মতো স্বপ্নের মেট্রোরেল চলে ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর। তখন সেই যাত্রা আংশিক হলেও এবার তা বেশ খানিকটা পূর্ণতা পেতে যাচ্ছে। মেট্রোরেল ছোঁবে এবার রাজধানীর বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিল। এতে বাঁচবে ওই পথ ব্যবহারকারী মানুষের কর্মঘণ্টা, অর্থনীতির চাকা ঘুরবে আরও দ্রুত।
শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় মেট্র্রোরেলের ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট লাইন-৬ (এমআরটি লাইন-৬) আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ পর্যন্ত উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিজ্ঞাপন
এজন্য মতিঝিল স্টেশনের কনকোর্স প্লাজায় একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। একই অনুষ্ঠান থেকে এমআরটি লাইন-৫ অর্থাৎ হেমায়েতপুর থেকে ঢাকার ভাটারা পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণ কাজ শুরুর উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী।
শুরুতে এমআরটি লাইন-৬ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হলেও এটি এখন মতিঝিল পর্যন্ত যাবে। এরমধ্য দিয়ে আপাতত নগরবাসী ২০.১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবে মাত্র ৩১ মিনিটে। সবার জন্য এই পথটি খুলবে রবিবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেট্রোরেল মতিঝিল পর্যন্ত পূর্ণ সময় চলাচল করলে দিনে মোট ১০ লাখ কর্ম ঘণ্টা বাঁচবে।
মতিঝিলে অফিস, কিন্তু বাসা মিরপুর বা উত্তরায় এমন কর্মজীবীরা উন্মুখ হয়ে ছিলেন—মেট্রোরেল কবে যাবে মতিঝিল। অবশেষে সেই আশা পূরণ হলো। আজ উত্তরা-আগারগাঁও-মতিঝিল রুট উদ্বোধনের পর আগামীকাল (রোববার) থেকেই এই পথে যাত্রী পরিবহন শুরু হবে।
ওই এলাকার চাকরিজীবী আসাদ আবেদীন জয়। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিয়মিত ডিউটি করতে জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় আসতে হয়। মিরপুরের বাসা থেকে যদি সকাল ৮টার পরে বের হই তবে সময় লাগে অন্তত ২ ঘণ্টা। ভাগ্য ভালো থাকলে কখনও কখনও দেড় ঘণ্টায় পৌঁছা যায়। সন্ধ্যায় বা রাতে বাসায় ফেরার পথেও একই সময় লাগে।
তিনি বলেন, সড়ক পথের প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা যেতে-আসতে যদি দিনের ৪ ঘণ্টা সময় ব্যয় করতে হয়, তবে নিজের বলে আর কোনো সময়ই থাকে না। মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হওয়া আশির্বাদ। এখন নিচে যত যানজটই থাকুক না কেন, ৪০ মিনিটের মধ্যে বাসা থেকে কর্মস্থলে যেতে পারবো। টাকা কিছু বেশি লাগলেও সময় কমানোর চেয়ে বড় বেনিফিট (সুবিধা) আর কিছু হতে পারে না।
উত্তরা থেকে সপ্তাহে অন্তত ৪ দিন বাণিজ্যিক কাজে মতিঝিল আসেন জাহিদুল ইসলাম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, অন্তত দুই বা আড়াই ঘণ্টা সময় হাতে নিয়ে উত্তরা থেকে আমাকে মতিঝিল যেতে হয়। এই সময়ের মধ্যেই জ্যামে, গরমে, ঘামে সারাদিনের ক্লান্তি ভর করে যায়। মেট্রোরেল এখন মতিঝিল পর্যন্ত যাবে। এখন এসি ট্রেনে মতিঝিল যাবো, নিশ্চয়ই ক্লান্তিটা আর আসবে না।
তিনি আরও বলেন, শুনলাম সকালে একবেলা মেট্রোরেল চলবে। এটা অন্তত ২ বেলা চলা উচিৎ। কারণ, ফেরার পথে আবারও সেই ভোগান্তিতেই পড়তে হবে।
এ প্রসঙ্গে ডিএমটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল এমআরটি লাইন-৬ মতিঝিল পর্যন্ত এবং এমআরটি লাইন-৫ এর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন। এ জন্য শনিবার উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত নিয়মিত মেট্রো চলাচল বন্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, রোববার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু হলে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চালুকৃত সব স্টেশনে থেমে একটি ট্রেন মতিঝিল পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র ৩১ মিনিট। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশে যাত্রা পথে ট্রেনগুলো শুধু ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিল স্টেশনে থামবে। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলাচল করা ট্রেনগুলো উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত উভয় দিকে চলাচল করবে। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পরবর্তী ট্রেনগুলো শুধু উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচল করবে। এসময় মতিঝিল পর্যন্ত কোনো ট্রেন আর চলাচল করবে না।
২১.২৬ কিলোমিটার রেলপথে মোট স্টেশন থাকছে ১৭টি। স্টেশনগুলো হচ্ছে— উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, মতিঝিল ও কমলাপুর।
এমএএন ছিদ্দিক বলেন, শুরুতে তিনটি স্টেশন দিয়ে চালু হলেও ধীরে ধীরে স্টেশনের সংখ্যা ও মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়ানো হবে।
সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আগারগাঁও থেকে মতিঝিল সেকশনের দৈর্ঘ্য ৮.৭২ কিলোমিটার। ফার্মগেট-সচিবালয়-মতিঝিল স্টেশনে মেট্রোরেল আপাতত থামবে। উত্তরা-মতিঝিল রুটে ৫ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মেট্রো চলাচল করবে। সকাল সাড়ে ১১টার পর মতিঝিল-আগারগাঁও রুটে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে এবং উত্তরা-আগারগাঁও সেকশনে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে।
তিনি বলেন, জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১.১৬ কিলোমিটার পথ বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত এই অংশ ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মেট্রোরেল মতিঝিল পর্যন্ত যাওয়া মাত্রই এখন যে ৯০ হাজার যাত্রী প্রতিদিন যাতায়াত করছে, সেটি পাঁচ গুণ বেড়ে যাবে। মতিঝিলকে ঢাকা শহরের বাণিজ্যিক কেবলা বলা হয়। এখন তো মাত্র চার ঘন্টা, যখন এটি ১২ ঘণ্টা চলবে তখন প্রতিদিন ৫ লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। উত্তরা থেকে মতিঝিল যেতে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে, মেট্রোতে সেখানে সময় লাগবে মাত্র আধাঘণ্টা। সেই হিসেবে প্রতিদিন একজন মানুষের দুই ঘণ্টা করে কর্মঘণ্টা বাঁচবে। এতে দৈনিক মোট ১০ লাখ কর্ম ঘণ্টা বাঁচবে।
তিনি আরও বলেন, এটাকে যদি আমি অর্থনৈতিক টার্মে বলি—প্রতি ঘণ্টার ভ্যালু ৯০ টাকা করে ধরি, তাহলে এটি প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকার মতো চলে আসে। যারা মেট্রোতে এই পথে যাতায়াত করবেন, তারা প্রতিদিন সবাই মিলে সাড়ে ৮ কোটি টাকা ক্ষতি বাঁচাতে পারবেন। যেহেতু নিচের যাত্রীগুলো উপরে চলে আসছে, তাহলে নিচের যানবাহনে যে দুই ঘণ্টা সময় লাগতো এবং সেখানে অতিরিক্ত যে জ্বালানি অপচয় হতো সেটি কমে যাবে। সেই হিসেবে প্রতিদিন দেড় কোটি টাকার মতো অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যবহার কমবে। আমার ধারণা সব মিলিয়ে দৈনিক ১০ কোটি টাকার ক্ষতি আমরা কমাতে পারবো। বছর শেষে আমাদের প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার হাজার কোটি টাকা বাঁচানো সম্ভব হবে। এটা আমাদের জিডিপিতেও ভূমিকা রাখবে।
ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে ও পরিবেশ উন্নয়নে দ্রুতগামী, নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, সময়-সাশ্রয়ী, বিদ্যুৎচালিত, দূরনিয়ন্ত্রিত ও পরিবেশবান্ধব অত্যাধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থার প্রবর্তন হিসেবে ২০১৬ সালের ২৬ জুন মেট্রোরেল প্রকল্পের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন পায়।
দ্রুতগামী এই যোগাযোগ ব্যবস্থার (এমআরটি লাইন-৬) প্রাক্কলিত ব্যয় (দ্বিতীয় সংশোধিত) হচ্ছে ৩৩ হাজার ৪১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) সহজ শর্তে ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকার ঋণ দিয়েছে।
স্টেশন ও রুট
ডিপো থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটার আদর্শ-গেজ (এক হাজার ৪৩৫ মিলিমিটার) রেলপথে মোট স্টেশন থাকছে ১৭টি। স্টেশনগুলো হচ্ছে— উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, মতিঝিল ও কমলাপুর। বর্তমানে দ্বিতীয় পর্যায়ে উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত এটি এখন চলবে।
যাত্রীর প্রতি কিলোমিটারের জন্য ভাড়া ৫ টাকা; সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ভাড়া ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এমআরটি লাইন-৬ বা বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেল রুটের প্রতিটি স্টেশনে কনকোর্স লেভেল আছে। কনকোর্স লেভেলে ওঠার জন্য প্রতিটি স্টেশনে সিঁড়ি, লিফট ও এস্কেলেটর আছে। শুধুমাত্র মেট্রো ট্রেন চলার সময় কনকোর্স লেভেল দিয়ে রাস্তার এপার থেকে ওপারে যাওয়া যাচ্ছে। তবে, পেইড জোন এলাকা ও মূল প্লাটফর্মে যাওয়া যাবে না। পথচারীরা রাস্তা পারাপারের জন্য এই ব্যবস্থাকে ফুট ওভারব্রিজের অতিরিক্ত সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করতে পারছেন।
যাতায়াতের সময়, যাত্রীর ধারণক্ষমতা ও গতি
কমিউনিকেশন বেইজড ট্রেন কন্ট্রোল (সিবিটিসি) সিস্টেমের এই মেট্রোরেলে দুটি ট্রেইলার কোচসহ মোট ৬টি কোচ নিয়ে চলাচল করছে। ভবিষ্যতে ৮টি কোচে উন্নীত করা যাবে। ট্রেইলার কোচের প্রতিটিতে সর্বোচ্চ ৩৭৪ জন এবং বাকি ৪টি কোচের প্রতিটিতে সর্বোচ্চ ৩৯০ জন যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে। সেই হিসাবে প্রতিটি মেট্রোরেল দুই হাজার ৩০৮ জন যাত্রী পরিবহন করা যাচ্ছে। ফলে ঘণ্টায় ৬০ হাজার এবং দৈনিক পাঁচ লাখ যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছে। মেট্রো ট্রেনের ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ১০০ কিলোমিটার।
টিকিট ব্যবস্থাপনা
মেট্রোরেলে ‘সিঙ্গেল জার্নি টিকিট’ ও ‘এমআরটি পাস’ ব্যবহার করে যাতায়াত করা যাচ্ছে। র্যাপিড পাস ব্যবহার করেও যাত্রীসাধারণ স্বাচ্ছন্দ্যে মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারছেন। টিকিট অফিস মেশিন (টিওএম) থেকে টিকিট বিক্রয়কারীর সহায়তায় সিঙ্গেল জার্নি টিকিট এবং এমআরটি পাস কেনা যাচ্ছে। টিকিট ভেন্ডিং মেশিন (টিভিএম) থেকে যাত্রীরা নিজেই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সিঙ্গেল জার্নি টিকিট এবং এমআরটি পাস টপ-আপ করতে পারছেন।
মোবাইল ও ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন্সের মাধ্যমেও এমআরটি পাস টপ-আপ করা যায়। ভ্রমণ-দূরত্ব অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধ করে সিঙ্গেল জার্নি টিকিট কেনা যায়। এমআরটি পাস ও র্যাপিড পাস থেকে ভ্রমণ-দূরত্ব অনুযায়ী সরকারের নির্ধারিত ভাড়া কাটা হয়। যেকোনো সময় যাত্রী এমআরটি পাস ফেরত দিয়ে জমানতের অর্থ ও অব্যবহৃত অর্থ ফেরত নিতে পারেন।
এমআরটি পাস হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে রেজিস্টার্ড কার্ডের বাহককে জামানত পরিশোধ করে নতুন এমআরটি পাস নেওয়ার নিয়ম আছে। এক্ষেত্রে অব্যবহৃত অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন এমআরটি পাসে স্থানান্তরিত হয়। এমআরটি পাস হারিয়ে গেলে নিকটস্থ স্টেশনের টিওএম অপারেটরকে অবহিত করে রেজিস্টার্ড কার্ডের অবৈধ ব্যবহার বন্ধ করা যায়।
মেট্রোরেলে ভাড়া
ডুয়েল কন্টিনিউয়াস ওয়েল্ডেড রেল ট্রাকের এই মেট্রোরেলের ভাড়ার পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেছে ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। সেই হিসাবে যাত্রীর প্রতি কিলোমিটারের জন্য ভাড়া ৫ টাকা; সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ভাড়া ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে, স্মার্ট কার্ডে ভাড়া পরিশোধ করলে ১০ শতাংশ রেয়াত প্রদান; যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনা ভাড়ায় মেট্রোরেলে যাতায়াত এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রতিটি সিঙ্গেল ট্রিপের জন্য বিশেষ রেয়াতের বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
এমএইচএন/এমএসএ