শত কোটি টাকার কর ফাঁকি, প্রমাণ আছে ২৯১ কোটি পাচারেরও
অহনা নীট কম্পোজিট লিমিটেড। শতভাগ রপ্তানিকারক নন-বন্ডেড প্রতিষ্ঠানটি কাঁচামাল আমদানি করে পলিব্যাগ, হ্যাংগার, গামটেপ, পিগমেন্ট, হ্যাংট্যাগ ও নন-ওভেন ফেব্রিক্স পণ্য রপ্তানি করে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির আমদানি-রপ্তানির পণ্যে বড় ধরনের ঘাপলা ধরা পড়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অনুসন্ধানে।
মাত্র পাঁচ বছরের নথিপত্র যাচাইয়ে ৮৩ কোটি টাকার শুল্ক ও ভ্যাট ফাঁকি, প্রায় ২৯১ কোটি টাকার অর্থপাচার সংক্রান্ত তথ্য এবং আমদানি-রপ্তানিতে শত কোটি টাকা নয়-ছয়ের তথ্য পাওয়া গেছে। বেসরকারি একটি ব্যাংকে মাদার এলসি খুলে আমদানি-রপ্তানির বিভিন্ন পর্যায়ে ফাঁকি ও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধের প্রমাণও মিলেছে। যার সঙ্গে ওই ব্যাংক ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার তথ্য রয়েছে। যদিও অহনা নীট কম্পোজিট লিমিটেডের দাবি, তাদের নাম ব্যবহার করে একটি চক্র প্রায় ৯৭৫টি ফেক ইউডি এবং তার বিপরীতে ইউপি ইস্যুর মাধ্যমে এমন অপকর্ম হয়েছে। যা তদন্ত করতে উল্টো শুল্ক গোয়েন্দাকে অনুরোধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
নাম প্রকাশ না করে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুল্ক গোয়েন্দাদের তদন্তে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটিত হয়েছে। আমরা দেখেছি, বিশেষ টিম ২৩টি দাখিলপত্র, পাঁচ অর্থবছরের পৃথক অডিট রিপোর্ট এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্যালকুলেশন শিটসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র যাচাই করা হয়েছে। এতে একটি বিষয় পরিষ্কার যে, এখানে কর ফাঁকি, বন্ড সুবিধার অপব্যবহার ও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। একটি ব্যাংকে এলসি খুলে কাঁচামাল আমদানি করে খোলা বাজারে বিক্রিরও সত্যতা পাওয়া গেছে। এর সঙ্গে ব্যাংক কিংবা এনবিআরের কর্মকর্তারা জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা একটি যৌথ টিম গঠন করতে যাচ্ছি, যারা প্রকৃত সত্য উদঘাটন করতে পারবে।
মাত্র পাঁচ বছরের নথিপত্র যাচাইয়ে ৮৩ কোটি টাকার শুল্ক ও ভ্যাট ফাঁকি, প্রায় ২৯১ কোটি টাকার অর্থপাচার সংক্রান্ত তথ্য এবং আমদানি-রপ্তানিতে শত কোটি টাকা নয়-ছয়ের তথ্য পাওয়া গেছে। বেসরকারি একটি ব্যাংকের শাখায় মাদার এলসি খুলে আমদানি-রপ্তানির বিভিন্ন পর্যায়ে ফাঁকি ও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধের প্রমাণও মিলেছে। যার সঙ্গে ওই ব্যাংক ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার তথ্য রয়েছে
অন্যদিকে, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক ও তদন্ত টিমের প্রধান এদিপ বিল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য-উপাত্ত যাচাই শেষে আমাদের টিম প্রতিবেদন দাখিল করেছে। সেখানে আমাদের বেশকিছু সুপারিশ ছিল। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আছেন, তারা এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
শুল্ক গোয়েন্দাদের তদন্তে যা পাওয়া যায়
অহনা নীট কম্পোজিট লিমিটেড নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অবস্থিত একটি প্রতিষ্ঠান। এটি মূলত পলিব্যাগ, হ্যাংগার, গামটেপ, পিগমেন্ট, হ্যাংট্যাগ ও নন-ওভেন ফেব্রিক্স পণ্য রপ্তানি করে থাকে। আর কাঁচামাল বন্ডেড সুবিধায় আমদানি করেছে। চলতি বছরের ১৫ মে পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার টন পলিব্যাগ ও হ্যাংগার জাতীয় কাঁচামাল আমদানি করেছে। কিন্তু আমদানির বিপরীতে রপ্তানি করেছে ৯৯ টন। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ২৮ মে পর্যন্ত আমদানি ও রপ্তানিসহ সব নথি যাচাই শুরু করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক ও তদন্ত টিম-প্রধান এদিপ বিল্লাহর নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
অহনা নীট কম্পোজিট লিমিটেড সি এ রিপোর্টের সব মূসক যাচাই করে মূল্য সংযোজন কর আইন ও সম্পূরক শুল্ক আইন- ২০১২ এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী রাজস্ব বাবদ দুই কোটি ২৭ লাখ ১৬ হাজার ১৬৬ টাকার ভ্যাট ফাঁকি এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে তিন কোটি এক লাখ ৯৭ হাজার ৮৭১ টাকা উৎসে ভ্যাট পরিহার বা ফাঁকির তথ্য পাওয়া গেছে, যা আদায়যোগ্য। এ ছাড়া, বন্ড সুবিধায় ক্রয় করা অরপ্তানি হওয়া পণ্যের স্থানীয় সরবরাহের ওপর মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন- ২০১২ এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ ২৬ কোটি ৮২ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৮ টাকা বকেয়া পাওয়া যায়, যা আদায়যোগ্য।
অন্যদিকে, বিভিন্ন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হতে ইস্যু করা ইউপি, ইপি অনুযায়ী অহনা নীট কম্পোজিট ইউপির শর্ত লঙ্ঘন করায় আমদানি পর্যায়ে প্রযোজ্য শুল্ক-করসহ মোট ৫০ কোটি ৫৭ লাখ ৯০ হাজার ৮৯ টাকা আদায়যোগ্য।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের বিশেষ টিম অহনা নীট কম্পোজিটের সংশ্লিষ্ট লিয়েন ব্যাংক, অন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের ৪৮টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তিন কোটি ৬২ লাখ ১৬ হাজার ২৪৭ মার্কিন ডলার বা ২৯০ কোটি ৮১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৮৩ টাকা মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে। যা অন্যান্য সরকারি সংস্থাটির সঙ্গে যৌথ টিম গঠন করে অনুসন্ধান পরিচালনা করা যেতে পারে।
শুল্ক গোয়েন্দাদের মতে, বেসরকারি একটি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় ইস্যু করা ব্যাক টু ব্যাক এলসি এবং এর অনুকূলে সংশ্লিষ্ট কমিশনারেট হতে ইস্যু করা ইউটিলাইজেশন পারমিট (ইউপি) ও এক্সপোর্ট পারমিট (ইপি) ইস্যুর বিষয়ে জালিয়াতি, দুর্নীতি এবং চোরাচালান ও শুল্ক-সংক্রান্ত অপরাধের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোন বৈধ উৎসের মাধ্যমে প্রায় ২৯১ কোটি টাকা বিভিন্ন প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারক বন্ডেড প্রতিষ্ঠানের নিকট পেমেন্ট কিংবা এক্সেপটেন্স করেছেন এবং এক্ষেত্রে কোনো মানিলন্ডারিং হয়েছে কি না, তা তদন্ত করার জন্য মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা- ২০১৯ এর বিধি ৫৪ অনুযায়ী বিএফআইইউ’র মাধ্যমে দুদক, বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ও এনবিআরের সমন্বয়ে একটি যৌথ অনুসন্ধান দল গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা থেকে।
আরও পড়ুন
আমদানি ও রপ্তানি হিসাবেও গরমিল
অহনা নীট কম্পোজিট ২০২১ সালের ১ জুলাই হতে ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ পর্যন্ত সময়ে তিন কোটি ৬২ লাখ ১৬ হাজার ২৪৭ মার্কিন ডলার মূল্যের বিভিন্ন প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারক বন্ডেড প্রতিষ্ঠানের নিকট পেমেন্ট বা এক্সেপটেন্স করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের ড্যাসবোর্ড হতে উক্ত বিবিএলসি ও সংশ্লিষ্ট মাস্টার এলসি পর্যালোচনায় প্রতিষ্ঠানটি তিন কোটি ৭২ লাখ ৩২ হাজার ৮৩৯ মার্কিন ডলার লোকাল ব্যাক টু ব্যাক এলসি এবং ৪৫ লাখ আট হাজার ৮১৮ মার্কিন ডলার ফরেন ব্যাক টু ব্যাক এলসিতে পেমেন্ট বা এক্সেপটেন্স করেছে। তবে, মাস্টার এলসির অনুকূলে পণ্যের এক্সপোর্ট ইস্যু হয়নি।
অন্যদিকে, এনবিআরের এমআইএস সিস্টেম পর্যালোচনায় দেখা যায়, অহনা নীট কম্পোজিট ওই সময়ে ৯৫ লাখ ২১ হাজার ১৭১ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। কিন্তু উক্ত রপ্তানিতে যে মাস্টার এলসি ব্যবহার করেছে তার বিপরীতে কোনো ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে কোনো কাঁচামাল ক্রয় করা হয়নি এবং তাদের প্রেরিত মাস্টার এলসিতে ও রপ্তানি মাস্টার এলসির মিল পাওয়া যায়নি। রপ্তানির বিপরীতে কোনো রপ্তানি প্রণোদনা গ্রহণ করা হয়নি।
প্রতিষ্ঠানটির দাখিল করা ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরের সিএ ফার্মের বার্ষিক অডিট রিপোর্ট এবং যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক অডিট রিপোর্টের পার্থক্য পাওয়া গেছে। যেমন- সিএ ফার্মের ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রতিবেদন অনুযায়ী ৪১ কোটি ৫৭ লাখ দুই হাজার ২৮৬ টাকার পণ্য রপ্তানি করার তথ্য উল্লেখ আছে। কিন্তু সিএ ফার্ম কর্তৃক সম্পাদিত বার্ষিক অডিট রিপোর্টে কেন ৭১ কোটি ৮৫ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকার মূল্য প্রদর্শন করেছে, তার ব্যাখ্যা পায়নি শুল্ক গোয়েন্দা টিম।
অহনা নামের প্রতিষ্ঠানটি উত্তরা ইপিজেডের প্রতিষ্ঠান হতে বিবিএলসি ও বিল অব এক্সপোর্ট-এর মাধ্যমে হ্যাংগার, পলিব্যাগ ও হ্যাংট্যাগ এবং খুলনা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট এবং চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের বিভিন্ন প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারক বন্ডেজ প্রতিষ্ঠান থেকে পলিব্যাগ, ওভেন ব্যাগ, নন-ওভেন ফেব্রিক্স, হ্যাংগার ক্রয় করেছে, যার মোট পরিমাণ এক কোটি নয় লাখ ৫৫ হাজার ৩৪১ কেজি এবং ক্রয় করা পণ্যের মূল্য এক কোটি ৭১ লাখ ৪৭ হাজার ১৬৪ মার্কিন ডলার বা ১৮২ কোটি ২০ লাখ ৯৫ হাজার ৪৫৬ টাকা। শুল্ক গোয়েন্দাদের তদন্তে এক কোটি ছয় লাখ ৩২ হাজার ৬৯০ কেজি পণ্য রপ্তানি না করে বন্ড সুবিধার অপব্যবহার হয়েছে বলেও প্রমাণ মিলেছে।
আরও পড়ুন
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে অহনা নীট কম্পোজিট লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার ফাইজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি মালিক নই। আমি এখানে চাকরি করি। মালিক বর্তমানে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আছেন। আমি যোগদানের এক মাস পরই এমন অভিযোগের বিষয়ে শুনেছি। বিস্তারিত বলতে পারবও না। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর ও ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তারাই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এ বিষয়ে মালিকই ভালো বলতে পারবেন। যেহেতু শুল্ক গোয়েন্দারা বিষয়টি তদন্ত করছে, তারাও জানবে।
অহনা নীট কম্পোজিট লিমিটেডের লিখিত জবাব
এটি শতভাগ রপ্তানিমুখী নন-বন্ডেড প্রতিষ্ঠান। যেহেতু তারা নন-বন্ডেড প্রতিষ্ঠান, তাই বন্ড প্রতিষ্ঠানের এলসি খোলার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নয়। এ ছাড়া, এলসি ওপেনিং, ফরওয়ার্ডিং লেটার, এলসি অ্যাপ্লিকেশন ফরম, সেলস কন্ট্রাক্ট ও ডকুমেন্টস— কোনো ব্যাপারে তারা অবগত নন। বন্ড প্রতিষ্ঠানের এলসিগুলো কীভাবে খোলা হয়েছে এবং তাদের প্রতিষ্ঠান যেহেতু নন-বন্ডেড প্রতিষ্ঠান তাই ইপিজেড কীভাবে এলসি ওপেন করে তা তদন্ত করার অনুরোধ করেন। এলসি খোলার সাথে তাদের প্রতিষ্ঠানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তার সুনির্দিষ্ট বক্তব্যে পাওয়া না গেলেও শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কাছে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছে অহনা কম্পোজিট। গত ১৬ আগস্ট লিখিত জবাব দাখিল করে তারা।
অহনা নীট কম্পোজিট লিমিটেডের লিখিত জবাব
অহনা নীট কম্পোজিট শতভাগ রপ্তানিমুখী নন-বন্ডেড প্রতিষ্ঠান। যেহেতু তারা নন-বন্ডেড প্রতিষ্ঠান, তাই বন্ড প্রতিষ্ঠানের এলসি খোলার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নয়। এ ছাড়া, এলসি ওপেনিং, ফরওয়ার্ডিং লেটার, এলসি অ্যাপ্লিকেশন ফরম, সেলস কন্ট্রাক্ট ও ডকুমেন্টস— কোনো ব্যাপারে তারা অবগত নন। বন্ড প্রতিষ্ঠানের এলসিগুলো কীভাবে খোলা হয়েছে এবং তাদের প্রতিষ্ঠান যেহেতু নন-বন্ডেড প্রতিষ্ঠান তাই ইপিজেড কীভাবে এলসি ওপেন করে তা তদন্ত করার অনুরোধ করেন। এলসি খোলার সাথে তাদের প্রতিষ্ঠানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
লিখিত জবাবে আরও বলা হয়, প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দাখিল করা জবাবে ২০২১ সাল হতে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বিকেএমইএ থেকে ২০২১ সালে ৪৬টি, একটি অব্যান্ডনমেন্ট, একটি এক্সপোর্ট অর্ডার, ২০২২ সালে ২৬টি ইউডি এবং ২০২৩ সালে ১৩টি ইউডি, চারটি এক্সপোর্ট অর্ডার ইস্যু করে যার বিপরীতে অত্র প্রতিষ্ঠান পণ্য রপ্তানি করে। তাই উক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে কীভাবে আনুমানিক ৯৭৫টি ফেক ইউডি ও তার বিপরীতে ইউপি ইস্যু হয় তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আরএম/