বিদেশি পর্যটক টানতে আসছে ই-ভিসা
৫১ ডলারের ভিসা ফি (বাংলাদেশি টাকায় ৫৬০০ টাকা), সেই সঙ্গে জটিল ও অনিশ্চিত প্রক্রিয়ার প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে। তাই দেশে পর্যটকের সংখ্যা বাড়াতে বিদেশিদের জন্য ভিসা উন্মুক্ত করার কথা ভাবছে সরকার। প্রাথমিকভাবে তাদের অন-অ্যারাইভাল ভিসার জায়গায় ই-ভিসা (অনলাইন ভিসা) দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে সমুদ্র ও পাহাড়ের সম্মিলন দেখতে পর্যটকরা আসতে চান। তবে তারা নানা বাধা-বিপত্তির কারণে আসতে পারছেন না। অনেকেই নিজের শহরে বাংলাদেশের দূতাবাস খুঁজে পান না, অনেকে আবার অনিশ্চিত অন-অ্যারাইভাল ভিসার কারণে দেশে আসেন না। তাই তাদের জন্য ই-ভিসা ইস্যুর কথা ভাবছে সরকার।
বিজ্ঞাপন
ই-ভিসাসহ পর্যটকদের ভিসা ইস্যু সংক্রান্ত ৩টি প্রস্তাব প্রথমে উত্থাপন করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি)। পরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। এবিষয়ে বেশ কয়েকটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আলোচনা করা হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিবাচক সাড়া দেয়।
সূত্র জানায়, ই-ভিসাসহ পর্যটকদের ভিসা ইস্যু সংক্রান্ত ৩টি প্রস্তাব প্রথমে উত্থাপন করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি)। পরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। এবিষয়ে বেশ কয়েকটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আলোচনা করা হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিবাচক সাড়া দেয়।
তবে বাংলাদেশে আসতে বিদেশি পর্যটকরা ই-ভিসার আবেদন কীভাবে করবেন এখনো তা চূড়ান্ত করা হয়নি। বাংলাদেশে ভিসা ইস্যু কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে।
কারা পাবেন ই-ভিসা?
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী, যেসব দেশের নাগরিকরা বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে অন-অ্যারাইভাল ভিসা পান তারা এই ই-ভিসা সুবিধা পাবেন। নিজ দেশে বসেই তারা ই-ভিসার আবেদন করে ভিসা পাবেন।
দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকায় অন-অ্যারাইভাল ভিসা ইস্যু করার বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখে। ২০২২ সালের ১৭ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়া দেশের তালিকা ও ভিসা পাওয়ার পূর্বশর্তগুলো উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন
পরিপত্র অনুযায়ী যেসব দেশের নাগরিকরা বাংলাদেশে অন-অ্যারাইভাল ভিসার সুযোগ পাবেন সেগুলো হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়ান ফেডারেশন, চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, ওমান, বাহরাইন, মিশর, তুরস্ক, ব্রুনাই এবং শেনজেনভুক্ত ২৭টি দেশের পাসপোর্টধারীরা। এসব দেশ ছাড়াও যেসব দেশে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই তারাও অন-অ্যারাইভাল ভিসা পান। সেক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে এসব দেশের পর্যটকদের ই-ভিসা মেলে।
আসছে থার্ড পার্টি ভিসা ও গেটওয়ে ভিসা
বিটিবির প্রস্তাবে পর্যটনবান্ধব আরও দুই ধরনের ভিসা ইস্যুর কথা বলা হয়েছে। তাদের মধ্যে একটি হচ্ছে থার্ড পার্টি ভিসা। থার্ড পার্টি ভিসা বলতে নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশের ভিসা থাকলেই সহজে আবেদন করে বাংলাদেশের ই-ভিসা পাওয়া যেতে পারে।
সূত্র জানায়, এই ভিসা কার্যক্রম শুরু হলে যদি কোনো পর্যটকের ৩২টি দেশের মধ্যে নির্দিষ্ট কোনো দেশের ভিসা নেওয়া থাকে সেক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশের ভিসা আবেদন করলেই ভিসা পেয়ে যাবেন। সেই ৩২টি দেশের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান এবং শেনজেনভুক্ত ২৭ দেশ।
এছাড়াও গেটওয়ে ভিসার বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকটি সভায় আলোচনা হয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পুরোপুরি অপারেশনাল হলে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশে যাওয়ার সময় ঢাকায় ট্রানজিট নিতে পারেন। যেসব নাগরিকের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ট্রানজিট থাকবে তারা এই গেটওয়ে ভিসার মাধ্যমে ঢাকা শহরে ঢুকতে পারবেন, ঢাকা ঘুরতে পারবেন।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের ঢাকা পোস্টকে বলেন, এবিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে চিঠি দিয়ে দিয়েছি ও একাধিক মিটিং করেছি। কিছুটা অগ্রগতিও রয়েছে। তবে আমরা চাই ভিসা প্রক্রিয়া যাতে সহজ হয়। অনেকেই আমাদের কাছে ভিসা পদ্ধতি সহজ করার জন্য বলেছে, আমরা সেটাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে কয়েক দফা এবিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) সঙ্গেও ট্যুরিজম বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের বৈঠক হয়েছে। আমরা মনে করি ই-ভিসাটা দ্রুত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
৫১ ডলারের ভিসা ফি কতটুকু যৌক্তিক?
বাংলাদেশে বর্তমানে যারা আসছেন তাদের ভিসা ফি হিসেবে দিতে হবে ৫১ মার্কিন ডলার বা ৫৭০০ বাংলাদেশি টাকা। এছাড়াও কেউ যদি কানেক্টিং ফ্লাইটে বাংলাদেশ হয়ে অন্য দেশে যেতে চান, সেক্ষেত্রে তারা সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টার (সর্বোচ্চ ৩ দিন) ট্রানজিট ভিসা পেতে পারেন। সেই ট্রানজিট ভিসা নিতেও লাগবে ২০ ডলার, যা প্রায় ২২০০ বাংলাদেশি টাকার মতো।
ভিসা দেওয়ার অন্যতম শর্তে বলা হয়েছে ডলার, পাউন্ড বা ইউরোতে ভিসা ফি দিতে হবে, তাদের রিটার্ন প্লেন টিকিট ও হোটেল বুকিং থাকতে হবে।
পর্যটন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভিসা ফি দক্ষিণ এশিয়ার পর্যটনসমৃদ্ধ বিভিন্ন দেশের তুলনায় অনেক বেশি ও অযৌক্তিক।
দক্ষিণ এশিয়ার কোন দেশে পর্যটন ভিসা ফি কত, ফ্রি দেয় কারা?
সার্কভুক্ত ও সার্কের বাইরে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো পর্যটনে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশের চেয়ে তাদের পর্যটন ভিসা ফি অনেক কম।
আইভিএসি (ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার) চার্জসহ ভারতের ট্যুরিস্ট ভিসা ফি ৮৪০ টাকা, ভুটানের ৪০ ডলার (৪৪০০ টাকা), মালয়েশিয়ার ট্যুরিস্ট ই-ভিসা ফি ৪৫০০ টাকা, সিঙ্গাপুরের ৪০০০ টাকা, থাইল্যান্ডের ফি ৩০০০ টাকা, কম্বোডিয়ার ভিসা ও সার্ভিস চার্জ ৩৬ ডলার (৪০০০ টাকা)।
সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে তিনটি দেশ শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মালদ্বীপ বাংলাদেশিদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা দিচ্ছে। তাদের মধ্যে নেপাল ও মালদ্বীপের কোনো ভিসা ফি নেই। মালদ্বীপে ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে শুধু পর্যটকের রিটার্ন এয়ার টিকিট এবং হোটেল বুকিং দেখতে চান ইমিগ্রেশন অফিসাররা। নেপালের তেমন কোনো আনুষ্ঠানিকতা নেই। পাসপোর্ট নিয়ে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে দাঁড়ালেই ভিসা পাওয়া যায়। সার্কের আরেক দেশ শ্রীলংকার অন-অ্যারাইভাল ভিসা ফি ২০ ডলার (২২০০ টাকা)।
আরও পড়ুন
এছাড়াও করোনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশিদের জন্য ১২ হাজার টাকা ভিসা ফি ধরেছিল ইন্দোনেশিয়া। দেশটির বালি দ্বীপে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পর্যটক যেতো। তবে পর্যটকদের ভাটা পড়ায় সম্প্রতি তারা বিনামূল্যে স্টিকার ভিসা দিচ্ছে। কেউ যদি কোনো এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা করায় সেক্ষেত্রে এজেন্সি সার্ভিস চার্জ নিচ্ছে, তবে এক টাকাও ভিসা ফি নিচ্ছে না ইন্দোনেশিয়া।
ভিসা ‘ফ্রি’ করা উচিত, অনলাইনে দেওয়া উচিত : বিশেষজ্ঞ
বাংলাদেশের বিমান ও পর্যটন সংক্রান্ত মাসিক ম্যাগাজিন দ্য বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা যদি সত্যিকার অর্থে চাই যে বাংলাদেশের পর্যটক আসুক তাহলে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য ভিসা ফি বাদ দিতে হবে। আমরা একজন বিদেশি পর্যটক থেকে ভিসা ফি বাবদ ২০ ডলার বা ৫১ ডলার করে নিচ্ছে। অথচ এটা ভাবছি না যে একজন পর্যটক দেশে এসে কমপক্ষে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ করতে পারেন। ভিসা ফ্রি করে দিয়ে আমরা যদি পর্যটকদের বাংলাদেশে প্রবেশের শুরু থেকেই আকৃষ্ট করতে পারি, তাহলে দীর্ঘ মেয়াদে আমরা লাভবান হবে, পর্যটন খাতও অনেকাংশে সচল হবে।
অন-অ্যারাইভাল ভিসা প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে অনলাইন ভিসার (ই-ভিসা) প্রবর্তন করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, অন-অ্যারাইভাল ভিসা এমন একটি ভিসা প্রক্রিয়া যেখানে কেউই নিশ্চিত না যে সে দেশে এসে ভিসা পাবে কিনা। যদি আমেরিকা থেকে একজন বাংলাদেশে আসে এবং কোনো কারণে তাকে ভিসা না দেওয়া হয় তাহলে কি সে আবার দেশে ফিরে যাবে? এটি সত্যি অনিশ্চিত একটি বিষয়। তাই সরকারের উচিত অবিলম্বে অনলাইন ভিসা চালু করা। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আমাদের দূতাবাস রয়েছে। তবে কেউ যদি লস অ্যাঞ্জেলস বা হাওয়াই থেকে আসে সে কীভাবে বাংলাদেশে আসবে? তার জন্য নিউইয়র্ক যাওয়া কষ্টকর। সরাসরি বাংলাদেশে এসেও যদি ভিসা পায় কি না তাও নিশ্চিত না। অনলাইন ভিসা চালু করলে পর্যটকরা দেশে আসার আগেই নিশ্চিন্তে ভিসা নিয়ে আসতে পারবে। বর্তমানে নেপাল-শ্রীলংকার মতো দেশও অনলাইন ভিসা চালু করেছে। এমনকি সৌদি আরবের মতো দেশও এখন অনলাইন ভিসা চালু করেছে। দেশের পর্যটন খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে এটা অবশ্যই করা উচিত।
পর্যটক বাড়াতে সেবার মান নিশ্চিত করতে হবে : ড. সন্তোষ
এদিকে ভিসা ইস্যু প্রক্রিয়ার মতোই পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সেবার মান নিশ্চিত করার দিকে জোর দিতে বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার দেব।
ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ২০২২ সালে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন ৫ লাখ ২৯ হাজার পর্যটক, ২০২১ সালে ১ লাখ ৩৫ হাজার পর্যটক, ২০২০ সালে ১ লাখ ৮২ হাজার পর্যটক, ২০১৯ সালে ৬ লাখ ২১ হাজার পর্যটক, ২০১৮ সালে ৫ লাখ ৫৩ হাজার পর্যটক
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, পর্যটকদের জন্য আমরা যদি সেবাটা নিশ্চিত করতে পারি তাহলেই কিন্তু দেশে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে। আমরা দেখেছি যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল (টার্মিনাল-৩) হয়েছে। এতে প্লেন রাখার জায়গা বা অ্যাপ্রোনো বেড়েছে, বোর্ডিং ব্রিজ বেড়েছে। এককথায় বিমানবন্দরের সক্ষমতা অনেকাংশ বেড়েছে। একটি দেশের বিমানবন্দরে যখন প্রযোজকরা আসে বিমানবন্দর দেখেই দেশটি সম্পর্কে তার ফার্স্ট ইমপ্রেশন তৈরি হয়। অত্যাধুনিক টার্মিনালের কারণে এখন আমাদের বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণ আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে। যখন তারা আসবে নান্দনিক আর্কিটেক্টের একটা বিমানবন্দর দেখতে পারবে তারা অবশ্যই দেশের প্রতি আকৃষ্ট হবে। আমরা চাই সেসব পর্যটকরা যেন দেশের বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিকমানের ও উন্নত সেবা পায়, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পর্যটনের সম্ভাবনা আরো বেশি বাড়বে।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ২০২২ সালে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন ৫ লাখ ২৯ হাজার পর্যটক, ২০২১ সালে ১ লাখ ৩৫ হাজার পর্যটক, ২০২০ সালে ১ লাখ ৮২ হাজার পর্যটক, ২০১৯ সালে ৬ লাখ ২১ হাজার পর্যটক, ২০১৮ সালে ৫ লাখ ৫৩ হাজার পর্যটক। এর মধ্যে করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে পর্যটক উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
এআর/জেডএস