গত তিন বছরে গড়ে ১ হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন কম হয়েছে/ ছবি : ঢাকা পোস্ট

সারা দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আর্থিক ও প্রশাসনিক দুর্নীতি, শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগে অনিয়ম এবং জাল সনদ শনাক্ত করার দায়িত্ব পালন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)। অন্যান্য বছরের তুলনায় গত তিন বছরে গড়ে ১ হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন কম হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, অধিদপ্তরের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পরিদর্শনের কাজে না গিয়ে অফিসে বসে আড্ডা দেন এবং বিসিএস সমিতিসহ নানা ধরনের সাংগঠনিক কাজ করে বেড়ান। তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন অধিদপ্তরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। তার খামখেয়ালিপনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সংখ্যা কমে গেছে বলে মনে করেন অনেক কর্মকর্তা।

জানা গেছে, করোনা মহামারির আগে ডিআইএ-তে ১৯ জন কর্মকর্তা বছরে গড়ে ৩ হাজার ২০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতেন। করোনার পর ২৮ জন কর্মকর্তা মিলে পরিদর্শন করেন মাত্র ২ হাজার ১০০ প্রতিষ্ঠান। করোনার আগে একজন কর্মকর্তা গড়ে ১৪১টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতেন, এখন করছেন মাত্র ৭৮টি প্রতিষ্ঠান।

২০১৭-১৮ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত প্রতি বছর গড়ে ৩ হাজার ২০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন ডিআইএর কর্মকর্তারা। পরের ২ অর্থবছরে গড়ে ২ হাজার ১০০ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২ হাজার ২০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে ডিআইএ। যদিও এটির বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন পরিদর্শকরা। তাদের অভিযোগ, দপ্তরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা পরিদর্শকদের মাঠে না পাঠিয়ে অফিসে বসিয়ে রাখছেন। কর্মকর্তারা কাজ না করে সারা দিন ব্যাচ-মেটদের সঙ্গে আড্ডা, তদবির, পদোন্নতি, পদায়ন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। যে কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি শনাক্তে ভাটা পড়েছে। ওই শীর্ষ কর্মকর্তার খামখেয়ালিপনার কারণে ডিআইএ’র পরিদর্শনের লক্ষ্যমাত্রা যেমন কমেছে তেমনি জাল সনদ ও আর্থিক অনিয়ম ধরার পরিমাণও কমছে।

আরও পড়ুন : আত্তীকরণের সমাধান খুঁজতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তোড়জোড়

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সারা দেশে ৩৬ হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করার একমাত্র প্রতিষ্ঠান ডিআইএ। ডিআইএ কর্মকর্তাদের অভিযোগ ছিল রোটেশন অনুযায়ী একটি প্রতিষ্ঠান একবার পরিদর্শন করার পর আবার সেই প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে প্রায় ৭-৮ বছর লেগে যায়। অথচ প্রতি বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন হওয়ার কথা। এখন পরিদর্শনের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে এ জট আরও বাড়ানো হচ্ছে। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিদর্শনের সময়ের ব্যবধান বাড়ছে। এতে অনিয়ম, দুর্নীতি, অবৈধ নিয়োগ ধরার পরিমাণ কমবে। একই সঙ্গে এই দপ্তর ও কর্মকর্তাদের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না।

পরিদর্শন করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমার কথা স্বীকার করে ডিআইএর পরিচালক প্রফেসর অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আগে প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সংখ্যা বেশি হলেও রিপোর্ট তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার সংখ্যা ছিল কম। এখন যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয় সেগুলোর বিষয়ে যেন সঠিকভাবে রিপোর্ট দেওয়া হয় সেজন্য পরিদর্শনের সংখ্যা কমিয়ে এনেছি।’

৬ বছরের তুলনামূলক চিত্র

ডিআইএর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-২০১৭, ২০১৭-২০১৮ ও ২০১৮-২০১৯ তিন অর্থবছরে এ দপ্তরের ১৯ জন কর্মকর্তাসহ ৫৪ জন প্রত্যেকে গড়ে ১৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অডিট করেছেন। আগের চেয়ে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মকর্তার সংখ্যা ১০ জন বাড়লেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অডিটের সংখ্যা না বেড়ে উল্টো অর্ধেকে নেমেছে। বর্তমানে একজন কর্মকর্তা গড়ে মাত্র ৭৮টি প্রতিষ্ঠান অডিট করছেন।

২০১৬-১৭ থেকে ২০১৮-১৯ তিন অর্থবছরে ৯ হাজার ২৯৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে ৪৩৩ জন শিক্ষকের জাল সনদ চিহ্নিত করে ডিআইএ। একই সঙ্গে জাল সনদে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকের বেতন ভাতা হিসেবে নেওয়া ৫৮ কোটি ৮৯ লাখ ৮৯ হাজার ১০৭ টাকা আদায় করার সুপারিশ করা হয়।

সবশেষ ২ অর্থ বছরে পরিদর্শন করা হয় ৪ হাজার ৩৮০টি প্রতিষ্ঠান। আর জাল সনদ চিহ্নিত করা হয় ২৬৮ জন শিক্ষকের। একই সময়ে ১৩৭ কোটি ৯২ লাখ ৫৫ হাজার ৭৪৭ টাকা আদায় করারও সুপারিশ করা হয়।

আরও পড়ুন : দুই বছরে ঝরে গেল ৫ লাখ ২৫ হাজার শিক্ষার্থী

ডিআইএতে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ১১ জন শিক্ষা পরিদর্শক, ১০ জন সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক ও চার জন অডিট অফিসার কর্মরত ছিলেন। পরের অর্থবছরে শিক্ষা পরিদর্শক ও অডিট অফিসারের সংখ্যা ঠিক থাকলেও সাতজন সহকারী পরিদর্শক কর্মরত ছিলেন। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ১০ জন শিক্ষা পরিদর্শক, পাঁচজন সহকারী পরিদর্শক ও চার জন অডিট অফিসারসহ মোট ১৯ জন কর্মরত ছিলেন।

গত দুই অর্থবছরে কর্মকর্তার সংখ্যা বেড়েছে ১০ জনের বেশি। এই সময়ে ১২ জন শিক্ষা পরিদর্শক, ১২ জন সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক ও চার জন অডিট কর্মকর্তাসহ মোট ২৮ জন অফিসার প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত ছিলেন।

অথচ আগের তিন অর্থবছরের চেয়ে এই সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অর্ধেকে নেমেছে। একই সঙ্গে আদায়কৃত অর্থ ও জাল সনদ চিহ্নিত করার সংখ্যাও কমেছে।

ডিআইএর সাবেক একজন পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সংখ্যা কমায় স্বাভাবিকভাবেই অনিয়ম, দুর্নীতি, অবৈধ নিয়োগ ও জাল সনদধারী শিক্ষক শনাক্ত করার সংখ্যা কমবে। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে সরকার ডিআইএকে যে দায়িত্ব দিয়েছে তা যথাযথভাবে পালন না করা চাকরিবিধির লঙ্ঘন।

প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সংখ্যা কমার বিষয়ে ডিআইএ পরিচালক অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর বলেন, আমি যোগদানের সময় ১২ হাজার প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন প্রতিবেদন পেন্ডিং (অনিষ্পত্তি) ছিল। এখন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সংখ্যা কিছুটা কম হলেও প্রতিবেদন জমা থাকছে না। আমরা সংখ্যার চেয়ে মানসম্মত প্রতিবেদন তৈরি করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছি। ডিআইএর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ছয় শতাধিক জাল সনদধারী শিক্ষকের এমপিও বাতিল করেছে মন্ত্রণালয়।

পাঁচ বছরে একটি প্রতিষ্ঠানও পরিদর্শন করেননি শীর্ষ চার কর্মকর্তা

ডিআইএর জনবল কাঠামো অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটিতে একজন পরিচালক, একজন যুগ্ম পরিচালক, চারজন উপ-পরিচালক, ১২ জন শিক্ষা পরিদর্শক, ১২ জন সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক ও চারজন অডিট অফিসার কর্মরত আছেন।

ডিআইএর পরিদর্শন নির্দেশিকা অনুযায়ী, পরিচালককে বছরে ৩০টি, যুগ্ম পরিচালককে ৩৫টি, উপ-পরিচালক, পরিদর্শক ও সহকারী পরিদর্শককে বছরে গড়ে ৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে হয়।

পরিদর্শক ও সহকারী পরিদর্শকরা এই টার্গেটের কাছাকাছি থাকলেও পরিচালক, যুগ্ম পরিচালক ও উপ-পরিচালকরা টার্গেটের আশপাশেও নেই। চারজন উপ-পরিচালকের মধ্যে রেহেনা খাতুন ও রেজিনা আখতার গত পাঁচ বছরে একটি প্রতিষ্ঠানও পরিদর্শন করেনি। টুটুল কুমার নাথ ও আবুল কালাম আজাদ গত অর্থবছরে মাত্র ২০টি করে প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করলেও আগের বছরে একটিও করেননি।

অভিযোগ রয়েছে, দুজন উপ-পরিচালক অফিসে বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তাদের সঙ্গে খোশগল্প, আড্ডা করে সময় পার করেন। কখনো কখনো তারা অফিসে শুধু হাজিরা দিয়ে বের হয়ে যান।

আরও পড়ুন : নিম্নমুখী ফলের কারণ কী, করোনার ‘সাইড ইফেক্ট?’

উপ-পরিচালক রেহেনা খাতুন ১৬তম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির মহাসচিব। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, অফিসে বসে সংগঠনের কাজ করেন তিনি; ব্যাচ-মেটদের পদোন্নতি, পছন্দের প্রতিষ্ঠানে পদায়নের তদবিরে ব্যস্ত থাকেন।

অভিযোগের বিষয়ে রেহেনা খাতুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করি না এ তথ্য সঠিক নয়। বিশেষ তদন্ত করেছি।

সংগঠনের কোনো কাজ অফিসে বসে করেননি দাবি করে তিনি বলেন, পদোন্নতির জন্য অফিস ছুটির পর ঊর্ধ্বতনদের কাছে গিয়েছি।

অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, চারজন উপ-পরিচালককে দেশের আটটি বিভাগের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরিদর্শক ও সহকারী পরিদর্শকদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করার কথা। আর নিজের পরিদর্শন করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন নিজে তৈরি করে ঊর্ধ্বতনের কাছে জমা দেওয়া কথা। কিন্তু তারা এসব দায়িত্ব পালন না করে নিয়মিত সরকারি বেতন-ভাতা তুলছেন।

তথ্য চাওয়া হবে : সচিব

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরিদর্শনের সংখ্যা কমলে একদিকে প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতা কমবে, অন্যদিকে প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের গ্যাপ বাড়বে, বিষয়টি অবশ্যই উদ্বেগের।

১৯৮৬ সালে ডিআইএ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওই সময় সাত হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করার জন্য অর্গানোগ্রাম তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে ৩৬ হাজার ৭০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অথচ একই জনবল দিয়ে পরিদর্শন করা হচ্ছে। অবকাঠামো সংকটের কারণে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বসার কক্ষও নেই। কাগজপত্র রাখার জায়গা নেই। নানা সংকট নিয়ে ডিআইএ কাজ করছে। 

সচিব বলেন, গত দুই বছরে পরিদর্শনের সংখ্যা কেন কমেছে, এ বিষয়ে ডিআইএ পরিচালকের কাছে তথ্য চাওয়া হবে। তার  সঙ্গে কথা বলে পরিদর্শনের সংখ্যা যেন না কমে সে নির্দেশনা দেব।

৩৬ হাজার প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের জনবল নেই

১৯৮৬ সালে ডিআইএ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওই সময় সাত হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করার জন্য অর্গানোগ্রাম তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে ৩৬ হাজার ৭০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অথচ একই জনবল দিয়ে পরিদর্শন করা হচ্ছে। অবকাঠামো সংকটের কারণে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বসার কক্ষও নেই। কাগজপত্র রাখার জায়গা নেই। নানা সংকট নিয়ে ডিআইএ কাজ করছে। 

ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শুরু হলে প্রতি বছর একবার একটি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

যেসব কাজ করে ডিআইএ

সরকারি বেতন ভাতা ও মঞ্জুরি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার যথার্থতা যাচাই করা।

অনুমতি ও স্বীকৃতির শর্তাদি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পালিত হচ্ছে কি না তা যাচাই করা।

আরও পড়ুন : প্রতারণার জাল ফেলে আত্মগোপনে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা

সরকারের প্রশাসনিক আদেশ ও নির্দেশগুলো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে পালন করছে কি না তা যাচাই করা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা মাফিক পরিদর্শন এবং প্রয়োজনীয় উপদেশ দেওয়া।

এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক কার্যকলাপ তত্ত্বাবধান এবং কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তদন্ত করে তারা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অধীনস্থ দপ্তর, সংস্থা ও শিক্ষা বোর্ডসহ যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (সরকারি/বেসরকারি) অভিযোগ/অনিয়ম, দুর্নীতি তদন্ত করে ডিআইএ।

এনএম/এসকেডি/জেএস