জাকির হোসেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একজন উচ্চমান সহকারী। ২৮ বছর ধরে একই পদে কর্মরত। দীর্ঘদিনেও পদোন্নতি না পেয়ে আছেন চরম হতাশায়। আর্থিক সংকটসহ নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। চাকরির শেষ পর্যায়ে এসেও পদোন্নতির আশায় বসে আছেন তিনি।

এর আগে পদোন্নতি না পাওয়ার কষ্ট নিয়ে এনবিআরের বেশ কয়েকজন কর্মচারী অবসরে গেছেন। অথচ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, তিন বা পাঁচ বছর স্বপদে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী পদোন্নতির যোগ্য হবেন। কিন্তু ১০ থেকে ২৮ বছর ধরে কর্মরত এনবিআরের প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সাঁটলিপিকারদের আর্তনাদের অবসান হচ্ছে না।

জানা যায়, সরকারের ব্যয় ও উন্নয়ন কাজের অর্থের জোগানদাতা বৃহৎ প্রতিষ্ঠান এনবিআরের ভুক্তভোগী এসব কর্মচারীর আবেদন টেবিলের পর টেবিলে ঘুরছে। ফলে তারা ‘প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এও)’ ও ‘ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও)’ পদপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ফাইল আটকে রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

পদোন্নতি বঞ্চিতদের অভিযোগ, সচিবালয়ে প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সমমান পদগুলো ‘প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এও)’, সাঁটলিপিকার পদকে ‘ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও)’ নামে পরিবর্তন এবং পরবর্তীতে দ্বিতীয় শ্রেণির (১০ম গ্রেড) পদমর্যাদায় উন্নীত করা হয়। শুধু সচিবালয় নয়, দেশের অনেক মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরসহ অনেক প্রতিষ্ঠানে পদের নাম পরিবর্তন ও বেতন স্কেল পরিবর্তন করা হয়েছে। সেখানে তাদের (১৩তম গ্রেড) ষড়যন্ত্র করে পদোন্নতি বঞ্চিত করা হচ্ছে

আরও পড়ুন >> নতুন পে-স্কেল নয়, আলোচনায় মহার্ঘ ভাতা

পদোন্নতি বঞ্চিতদের অভিযোগ, সচিবালয়ে প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সমমান পদগুলো ‘প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এও)’, সাঁটলিপিকার পদকে ‘ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও)’ নামে পরিবর্তন এবং পরবর্তীতে দ্বিতীয় শ্রেণির (১০ম গ্রেড) পদমর্যাদায় উন্নীত করা হয়। শুধু সচিবালয় নয়, দেশের অনেক মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরসহ অনেক প্রতিষ্ঠানে পদের নাম পরিবর্তন ও বেতন স্কেল পরিবর্তন করা হয়েছে। সেখানে তাদের (১৩তম গ্রেড) ষড়যন্ত্র করে পদোন্নতি বঞ্চিত করা হচ্ছে।

এনবিআর ও আইআরডি'র আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ফাইল আটকে রয়েছে। ফলে পদোন্নতি বঞ্চিত হচ্ছেন ৩২ জন / প্রতীকী ছবি

পদোন্নতি বঞ্চিত এসব কর্মচারী নাম প্রকাশ না করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, চলতি বছরের মে মাসে শহীদুল ইসলাম নামের এক কর্মচারীকে উচ্চমান সহকারী পদে থাকা অবস্থায় অবসর নিতে হয়েছে। অথচ তিনি পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য ছিলেন। আ ন ম মাকসুদুর রহমান নামে আরও এক উচ্চমান সহকারী আট মাস পর অবসরে যাবেন। তিনি ১৫ বছর ধরে ওই পদে কর্মরত। জাকির হোসেন নামে অপর এক উচ্চমান সহকারী ২৮ বছর ধরে একই পদে কর্মরত। তাকেও পদোন্নতি দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, সচিবালয়ের নিয়োগবিধি অনুযায়ী প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হতে সহকারী সচিব বা সিনিয়র সচিব (দ্বিতীয় সচিব সমমান) পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ফিডার পদ পাঁচ বছর। উপসচিব (প্রথম সচিব সমমান) পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ফিডার পদ (সিনিয়র সহকারী সচিব) তিন বছর। অথচ আমরা ‘এও’ ও ‘পিও’ হতে পারছি না। অবসরের আগে অন্তত একটি পদোন্নতি চাই।

আরও পড়ুন >> ডিজিটাল বাংলাদেশে ‘সত্যায়নে’র প্যাঁচ আর কতদিন?

এনবিআর থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, পদোন্নতির জন্য এনবিআরের প্রধান সহকারী ও সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের ৩২ জনের একটি তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। যার মধ্যে ২৬ জন প্রধান সহকারী ও ছয়জন সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর রয়েছেন। সেখানে প্রধান সহকারী ও উচ্চমান সহকারী পদকে সচিবালয়ের ন্যায় প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এও) এবং সমমান পদ হিসেবে সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটরদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) হিসেবে পদনাম নির্ধারণ এবং সে অনুযায়ী বেতন স্কেল উন্নীতকরণে সুপারিশ করা হয়। তালিকাটি ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর এনবিআর থেকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো হয়। সিনিয়র সচিব পদাধিকার বলে এনবিআরের চেয়ারম্যান। এনবিআর থেকে সাত মাস আগে পাঠানো ফাইল নানা জটিলতায় এখনও আইআরডিতে পড়ে আছে বলে জানা গেছে।

পদোন্নতির ওই ফাইলের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, পদোন্নতির ফাইল আমরা পিএসসিতে (সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়) পাঠিয়েছিলাম। গ্রেডেশন তালিকা নিয়ে কোয়ারি (আপত্তি) রয়েছে। সেটি আবার এনবিআরে পাঠিয়ে দেব। গ্রেডেশনের ওই জটিলতা ঠিক করে পাঠালে আমরা আবার তা পিএসসিতে পাঠিয়ে দেব।

গ্রেডেশনে কোন ধরনের জটিলতা ছিল— জানতে চাইলে তিনি বলেন, পিএসসির তথ্যানুযায়ী এনবিআর থেকে যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে, সেখানে জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালা-২০১১ অনুসরণ করা হয়নি। আমি যতটুকু জানি, বিষয়টি পিএসসিও এনবিআরকে বুঝিয়ে বলেছে। ওই বিষয়টি সুরাহা হওয়ার পর ফাইল এনবিআর থেকে আবার আমাদের কাছে আসবে। এরপর সমস্যার সমাধান হবে, আশা করি।

রাজস্ব আহরণে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকা সত্ত্বেও এও ও পিও পদে পদোন্নতি না পাওয়ায় হতাশায় ভুগছেন ভুক্তভোগীরা / প্রতীকী ছবি 

এ বিষয়ে এনবিআরের প্রথম সচিব (প্রশাসন) গাউছুল আজমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, এনবিআরের পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মু’মেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এটা প্রশাসনিক ও আইনগত বিষয়। এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। আপনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’

এনবিআর ও আইআরডি সূত্রে জানা যায়, এনবিআরের প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সাঁটলিপিকার পদ পরিবর্তন করে এও ও পিও করার আবেদন ২০২১ সালের ১২ জুলাই দেওয়া হয়েছিল। এনবিআর চেয়ারম্যানকে দেওয়া এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির ৭৬নং আদেশক্রমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গঠিত হয়। উদ্দেশ্য, সরকারের ব্যয় নির্বাহ ও উন্নয়ন কাজের অর্থ জোগানের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ উৎস হতে রাজস্ব আহরণ। পরবর্তীতে অর্থ মন্ত্রণালয় পুনর্গঠন করে কয়েকটি বিভাগ করা হয়। এতে এনবিআরকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অধীনে সংযুক্ত একটি বিভাগ হিসেবে রাখা হয়। তবে, অন্যান্য সংযুক্ত বিভাগ হতে এনবিআর আলাদা। কারণ, এটি রাজস্ব সংশ্লিষ্ট বিভাগ হিসেবে কাজ করে। এটি যাতে বিভাগ হিসেবে কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করা হয়েছে এর সদস্য ও কর্মকর্তাদের সচিবালয়ের পদমর্যাদা প্রদানের মাধ্যমে। এর সাংগঠনিক কাঠামোও মন্ত্রণালয়ের বিভাগের অনুরূপ।

সাংগঠনিক কাঠামো মন্ত্রণালয়ের বিভাগের অনুরূপ হওয়া সত্ত্বেও সচিবালয়ের ন্যায় পদবিন্যাস না থাকায় এনবিআরে কর্মরত উচ্চতর গ্রেড সম্পন্ন কর্মকর্তাদের উচ্চমান সহকারী ও সাঁটলিপিকারদের নিয়ে কাজ করতে হয়। ফলে অনেক ক্ষেত্রে অনভিপ্রেত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
সেজন্য এনবিআরের অর্গানোগ্রামে সচিবালয়ের ন্যায় ‘প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এও)’ ও ‘ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও)’ পদ সৃষ্টির অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে এনবিআরের প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সাঁটলিপিকার পদ পরিবর্তন করে ‘এও’ ও ‘পিও’ পদমর্যাদা প্রদানেরও অনুরোধ করা হয়।

আরও পড়ুন >> দেড় কোটি টাকার গাড়ি পাবেন শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা

চিঠিতে আরও বলা হয়, ১৯৯৫ সালে সারাদেশের সরকারি কর্মচারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শুধুমাত্র সচিবালয়ের ভেতরের উচ্চমান সহকারী ও সাঁটলিপিকারদের এও ও পিও পদমর্যাদায় ১০ম গ্রেড প্রদান করা হয়। অথচ মন্ত্রণালয়ের বিভাগের অনুরূপ একই সাংগঠনিক কাঠামো হওয়া সত্ত্বেও এবং একই জ্যেষ্ঠ সচিবের অধীনে কাজ করেও এনবিআরের উচ্চমান সহকারী, সাঁটলিপিকাররা এও ও পিও হিসেবে স্বীকৃতি না পেয়ে ১০ম গ্রেড হতে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে, সচিবালয়ের বাইরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের সাঁটলিপিকারদেরকে পিও পদমর্যাদায় ১০ম গ্রেড প্রদান করা হয়েছে।

এনবিআরের প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সাঁটলিপিকারদের জন্য বিদ্যমান নিয়োগবিধি অনুযায়ী ফিডার পদ ১০ বছর কর্মকাল পূর্ণতাসাপেক্ষে দ্বিতীয় সচিব (প্রশাসন) পদে এবং দ্বিতীয় সচিব হতে ১০ বছর পূর্ণতাসাপেক্ষে প্রথম সচিব (প্রশাসন) পদে পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক ও হতাশার বিষয় হচ্ছে, দ্বিতীয় সচিবের (প্রশাসন) পদ মাত্র ১৩টি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) / ছবি- সংগৃহীত

পদস্বল্পতা ও সীমিত পদের মধ্যে কোটা (পদোন্নতি কোটা ৭৫ শতাংশ) থাকায় একটি পদোন্নতির জন্য কর্মচারীদের ২৫ থেকে ২৮ বছর অপেক্ষা করতে হয়। এনবিআরের মাঠপর্যায়ে অফিস ও জনবল বহুগুণ বৃদ্ধি করা হলেও প্রশাসন অনুবিভাগের দ্বিতীয় সচিবের পদ সে অনুপাতে বৃদ্ধি না করা এবং কেবল প্রশাসন অনুবিভাগে পদোন্নতির ব্যবস্থা থাকায় এ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও বোর্ডের কর্মচারীদের শুল্ক, মূসক, আয়কর ও প্রশাসনসহ সব অনুবিভাগে কাজ করতে হয়। তবে, ফিডার পদের কর্মকাল ১০ বছরের অধিক থাকার পরও পদোন্নতিতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সাঁটলিপিকাররা চাকরিজীবনে কোনো পদোন্নতি না পেয়েই একই পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এটি তাদের কর্মকালে চরম হতাশা, উদ্বেগ, অস্থিরতা, কর্মে অমনোযোগিতা, অনীহা, হীনম্মন্যতাসহ ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। পদোন্নতির এ জটিলতা নিরসনে এনবিআরের সাংগঠনিক কাঠামোতে এও ও পিও পদ সৃষ্টি করে প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সাঁটলিপিকার পদ পরিবর্তন করে এও ও পিও পদের মর্যাদা প্রদান; দ্বিতীয় সচিবের পদ সংখ্যা বৃদ্ধি; দ্বিতীয় সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ফিডার পদ পাঁচ বছর, প্রথম সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে কর্মকাল পাঁচ বছর করা; এনবিআরের প্রশাসন, শুল্ক, মূসক ও আয়কর অনুবিভাগের সব দ্বিতীয় সচিব পদের ৫০ শতাংশ পদ সৃষ্টি করে এও ও পিও হতে পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি; অফিস সহকারী ও সাঁটমুদ্রাক্ষরিক পদ হতে এও ও পিও পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের দাবি জানানো হয়।

আরও পড়ুন >> ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটন নিয়ে বিতর্ক, মুখোমুখি এনবিআরের দুই প্রতিষ্ঠান

অন্যদিকে, ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের চিঠি দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয়, ২০২২ সালের ২৮ জুলাই সরকারি কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া পর্যালোচনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যাতে ‘মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তরসমূহে কর্মরত প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সমমান পদসমূহকে সচিবালয়ের ন্যায় প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে পদের নাম পরিবর্তন এবং বেতন স্কেল উন্নীতকরণের সিদ্ধান্ত’ হয়েছে। সংযুক্ত অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও দপ্তরের বিদ্যমান প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সমমান পদসমূহের পদ-পদবি পরিবর্তনের বিষয়ে স্ব-স্ব দপ্তর বা সংস্থার মাধ্যমে যৌক্তিকতাসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগে আবেদন করলে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক সুপারিশসহ স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করতে অনুরোধ জানানো হলো।

এনবিআর সূত্র মতে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠির পর এনবিআর থেকে এও ও পিও হতে আগ্রহীদের আবেদন দিতে বলা হয়। এরপরই এনবিআরের প্রধান সহকারী ও সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরতরা আবেদন করেন।

এ বিষয়ে এও ও পিও পদে পদোন্নতিপ্রার্থীরা ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, আমরা রাজস্ব আহরণে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকা সত্ত্বেও এও ও পিও পদে পদোন্নতি পাচ্ছি না। অথচ ইতোমধ্যে অনেক মন্ত্রণালয়, বিভাগ এমনকি উপজেলা কার্যালয়ের একই পদে কর্মরতরা এও ও পিও হিসেবে পদের নাম পরিবর্তন ও বেতন স্কেল পেয়েছেন। আমরা চেয়ারম্যানের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

আরএম/এমএআর