শুধু পঞ্চগড়েই প্রায় ১০০ একর জায়গাজুড়ে চা বাগানের মালিকানা রয়েছে এমপি সোহেলের নামে। আছে আরও সম্পদ। যার অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক / প্রতীকী ছবি

• পঞ্চগড়ে প্রায় ১০০ একর চা বাগানের মালিকানা
• কাগজে-কলমে জমির পরিমাণ ১৯.৬৫ একর
• রয়েছে মন্দিরের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ
• আয়কর নথিতে ঘাপলা
• আদালতের নির্দেশনায় চলছে দুদকের অনুসন্ধান

নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনের সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল। সেনাবাহিনীর সাবেক এ কর্মকর্তার রাজনৈতিক পরিচয় তিনি জাতীয় পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য। মাঝখানে কিছুদিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন, পরে একটি চা কোম্পানির পরামর্শক হিসেবে চাকরি করেন। সেই চাকরির সূত্র ধরে শুরু চায়ের ব্যবসা। এখন পঞ্চগড়ের প্রায় ১০০ একর জায়গাজুড়ে চা বাগানের মালিকানা তার!

এখান থেকে মূল অভিযোগের সূত্রপাত। কাগজে-কলমে চা বাগানের জমির পরিমাণ ১৯.৬৫ একর। বাকি জমি কীভাবে এল? অবৈধ জবরদখল! নিজের স্থায়ী ঠিকানা নিয়েও আছে বিতর্ক।

জমি দখল ও অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ এমপি সোহেলের নানা দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আদালতের নির্দেশনায় অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আরও পড়ুন >> সালাম মুর্শেদীর সম্পত্তি দখল : নথি দিতে মন্ত্রণালয়ের গড়িমসি!

দুদক সূত্রে জানা যায়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর ও বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্ট বিভাগে এক ব্যক্তির রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত থেকে দুদককে অনুসন্ধান করে সত্য উদঘাটনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ জুলাই কমিশন থেকে অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পঞ্চগড়ের প্রায় ১০০ একর জায়গাজুড়ে চা বাগানের মালিকানা তার! এখান থেকে মূল অভিযোগের সূত্রপাত। কাগজে-কলমে চা বাগানের জমির পরিমাণ ১৯.৬৫ একর। বাকি জমি কীভাবে এল? অবৈধ জবরদখল! নিজের স্থায়ী ঠিকানা নিয়েও আছে বিতর্ক। জমি দখল ও অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ এমপি সোহেলের নানা দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আদালতের নির্দেশনায় অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

যদিও দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন’ বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, অভিযোগের বিষয়ে সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেলের কাছে জানতে চাইলে ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, ‘আপনি যেসব অভিযোগের কথা বলছেন, ইতোমধ্যে তা মিডিয়ায় এসেছে। এ বিষয়ে আমার প্রতিবাদও প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবাদে আমি বলেছি, পঞ্চগড়ে গড়া চা বাগানটি ১৪ বছরের পুরানো। শুধু বৈধভাবে ক্রয় করা জমিতে চায়ের চারা রোপণ করা হয়েছে।’

পঞ্চগড়ের প্রায় ১০০ একর জায়গাজুড়ে চা বাগানের মালিকানা রয়েছে নীলফামারী- ৩ (জলঢাকা) আসনের সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেলের / ফাইল ছবি

আরও পড়ুন >> রানার গ্রুপ : কোম্পানি সেক্রেটারি মিজানুরের সম্পদ কত?

‘কোনো দেবোত্তর বা মন্দিরের লিজ করা জমিতে চায়ের চারা রোপণ করা হয়নি। একটি চা বাগানের মেয়াদকাল ৯০ থেকে ১০০ বছর এবং পূর্ণাঙ্গ একটি চা বাগান তৈরি করতে পাঁচ থেকে আট বছর সময়ের প্রয়োজন। তাই ১০ থেকে ১৫ বছরের জন্য নেওয়া কোনো জমিতে চায়ের চারা রোপণ করা বাস্তবসম্মত নয়। তাছাড়া বহিরাগত একজন বিনিয়োগকারীর পক্ষে কোনো জাল দলিল বা জবরদখল করা জমিতে দীর্ঘস্থায়ীভাবে চা চাষ করা সম্ভব নয়।’

দুদকে জমা হওয়া অভিযোগপত্রে যা আছে

দুদকে জমা হওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নীলফামারী- ৩ (জলঢাকা) আসনের এ সংসদ সদস্য ২০০৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের জেমকন গ্রুপে ব্যবসায়িক পরামর্শক হিসেবে চাকরি করেন। চাকরির সুবাদে পঞ্চগড়ে এ গ্রুপের ‘কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট’-এর উন্নয়নে কাজ করেন। একই সময়ে নিজেও চা বাগান করার উদ্যোগ নেন। সেই তিনি এখন পঞ্চগড়ের বিশাল এক চা বাগানের মালিক। বাগানের আয়তন প্রায় ১০০ একর।

এমপি রানা পঞ্চগড়ে গড়েছেন বিশাল সাম্রাজ্য। ২০১১ সালে সংশ্লিষ্ট পরিদপ্তর থেকে নিজের মালিকানায় ‘অর্গানিক অরিজিন ফার্ম লিমিটেড’কোম্পানির নিবন্ধন নেন। নিবন্ধন নিলেও রিটার্ন কিংবা ট্যাক্স কিছুই জমা দেয়নি তার প্রতিষ্ঠান। উল্টো অভিযোগ, নানা কৌশলে জমি দখল করে গড়েছেন চা বাগান। শ্রেষ্ঠ চা-চাষি হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেলেও তার বিরুদ্ধে রয়েছে জমিদখলসহ নানা দুর্নীতি অভিযোগ।

জমি দখলকাণ্ডে বহু মানুষ হারিয়েছেন ভিটা, হারিয়েছেন বসত। অথচ তিনি থাকছেন রাজধানীর অভিজাত এলাকা বারিধারার ডিওএইচএস এলাকায়। এমপি সোহেলের নির্বাচনী এলাকা নীলফামারীর জলঢাকায় হলেও আয়কর ফাইলে তার স্থায়ী ঠিকানা রংপুর। আবার তার আদি নিবাস কিশোরগঞ্জ উপজেলায়। ফলে স্থানীয় জনগণের মধ্যে স্থায়ী ঠিকানা নিয়ে অনেকটা ধোঁয়াশা কাজ করছে। অভিযোগ রয়েছে, জনপ্রতিনিধি হিসেবে কালে-ভদ্রে কখনও নিজ এলাকায় গেলে ওঠেন রেস্ট হাউসে।

আরও পড়ুন >> এমপি গোলাপের ৯ বাড়ির খোঁজে যুক্তরাষ্ট্রে এমএলএআর

অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ আছে, তেঁতুলিয়ার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান এবং তার তিন ভাই ও দুই বোনের ২০ একর কৃষিজমি দখল হয়ে যায় ২০১২ সালে। এমপি রানার লাঠিয়াল বাহিনী কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট ও করতোয়া টি এস্টেটের নাম ভাঙিয়ে ওই জমি দখল করেন। পরে তৈরি করা হয় চা বাগান। তবে, দখলের আগে জমির মালিকদের বিক্রির প্রস্তাব দেওয়া হয়। মালিকরা রাজি না হওয়ায় স্থানীয় ১০ ব্যক্তিকে ভুয়া মালিক সাজিয়ে তিনটি জাল দলিল তৈরি করে তাদের কাছ থেকে জমি রেজিস্ট্রি করে নেওয়া হয়। ওই সময় প্রকৃত জমির মালিকদের বাড়িঘর ভেঙে, পিটিয়ে ভিটাছাড়া করা হয়। এরপর একের পর এক মিথ্যা মামলা দেওয়ায় সে সময় থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন জমির মালিকরা। বেদখল হওয়া জমি ফিরে পেতে একপর্যায়ে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন তারা। মামলার রায়ে জমির প্রকৃত মালিকদের দখল বুঝিয়ে দিতে বলা হয়। পরে এমপি রানা ওই রায় চ্যালেঞ্জ করে জেলা জজ আদালতে আপিল করেন। রায়ে এমপি রানাকে ১৯.৩৭ একর জমি দেওয়া হয়। জমির প্রকৃত মালিকদের দেওয়া হয় ১.১৯ একর। ওই রায়ের বিরুদ্ধে জমির প্রকৃত মালিকরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন। এখন মামলাটি সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন।

বহিরাগত এক বিনিয়োগকারীর পক্ষে জাল দলিল বা জবরদখল করা জমিতে দীর্ঘস্থায়ীভাবে চা চাষ করা সম্ভব নয়— এমপি রানা মোহাম্মদ সোহেল / ফাইল ছবি

আরও পড়ুন >> ৫৮২ কোটি টাকার সার লুটপাট, দুদকের জালে সাবেক এমপি পোটন

এছাড়া এমপি রানার ইন্ধনে হাঁড়িভাসা ইউনিয়নের মসলেহার রহমান ফুলু ও তার পরিবারের সদস্যদের ১০.২৫ একর জমি কয়েক বছর আগে দখল করা হয়। এমপির লাঠিয়ালরা কয়েক দফা হামলা করে ওই জমি দখলে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

রাজি না হওয়ায় স্থানীয় ১০ ব্যক্তিকে ভুয়া মালিক সাজিয়ে তিনটি জাল দলিল তৈরি করে ২০ একর জমি রেজিস্ট্রি করে নেওয়া হয়। প্রকৃত জমির মালিকদের বাড়িঘর ভেঙে, পিটিয়ে ভিটাছাড়া করা হয়। এরপর একের পর এক মিথ্যা মামলা দেওয়ায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন জমির মালিকরা। বেদখল হওয়া জমি ফিরে পেতে একপর্যায়ে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন তারা। মামলার রায়ে জমির প্রকৃত মালিকদের দখল বুঝিয়ে দিতে বলা হয়। পরে এমপি রানা ওই রায় চ্যালেঞ্জ করে জেলা জজ আদালতে আপিল করেন। রায়ে এমপি রানাকে ১৯.৩৭ একর জমি দেওয়া হয়। জমির প্রকৃত মালিকদের দেওয়া হয় ১.১৯ একর। ওই রায়ের বিরুদ্ধে জমির প্রকৃত মালিকরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন। এখন মামলাটি সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন

মন্দিরের সম্পত্তি দখল : এমপি রানার বিরুদ্ধে আটোয়ারির আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের বালিয়া মৌজার ১২ একর দেবোত্তর সম্পত্তিও দখলের অভিযোগ উঠেছে। জমিদার শ্যামা প্রসাদ রায় আলোয়াখোয়া রাশ মন্দিরের জন্য ওই জমি দান করেছিলেন। মন্দিরের সেবায়েত অনিল চন্দ্র রায় ও তার ভাই সুনীল চন্দ্র রায় জমি দেখাশোনা করতেন। মন্দিরের জমি দখল করতে দুই ভাইকে ম্যানেজ করে ২০ বছরের জন্য ১২ একর জমি লিজ নেন এমপি রানা। পরে জমি ফেরত দেওয়ার দাবিতে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় পঞ্চগড় আদালতে মিসকেস মামলা করে। আদালত মন্দিরের কাছে জমি ফেরত দেওয়ার পক্ষে রায় দেন। তারপরও বর্তমানে এমপির লোকজন সেই জমিতে অন্য ফসল আবাদ করছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

আয়কর নথিতে ঘাপলা : সংসদ সদস্য রানার ব্যক্তিগত ও কোম্পানির আয়কর ফাইল রয়েছে। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, কর সংক্রান্ত জটিলতায় এনবিআর তার কোম্পানিকে দুই দফায় নোটিশ করলেও জবাব পাওয়া যায়নি। এমপি রানার ব্যক্তিগত ট্যাক্স ফাইলে চা বাগানের জমির পরিমাণ ১৯.৬৫ একর দেখানো হলেও ভূমি অফিসের তথ্য অনুযায়ী তা প্রায় ১০০ একর।

রানা তার নির্বাচনী হলফনামায় কৃষি খাত থেকে পাঁচ লাখ টাকা আয় দেখিয়েছেন। তবে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের আয়কর নথিতে সেটা দেখানো হয়নি। হলফনামায় স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে জলঢাকার পশ্চিম বালাগ্রাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের আয়কর নথিতে তার স্থায়ী ঠিকানা লেখা রংপুর সদর উপজেলার কেরানিপাড়া। সংসদ সদস্য হিসেবে রানা কূটনৈতিক পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন

আরও পড়ুন >> সার্ভেয়ারের চাকরি নাকি সম্পদ গড়ার পরশ পাথর!

এমপি রানার আরও সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। রাজধানীর পূর্বাচলে ১০ কাঠার প্লট, মিরপুর ডিওএইচএসে আট কাঠা, রংপুর পৌরসভার কেরানিপাড়ায় আট কাঠা, কুয়াকাটায় ২.১১ একর জমি, কক্সবাজার, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ৪.৬৩ একর জায়গা রয়েছে। এর বাইরেও একাধিক স্থানে তার জায়গাসহ বিপুল সম্পদ রয়েছে বলে জানা গেছে।

এমপি সোহেলের নানা দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আদালতের নির্দেশনায় অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) / ফাইল ছবি

রানা তার নির্বাচনী হলফনামায় কৃষি খাত থেকে পাঁচ লাখ টাকা আয় দেখিয়েছেন। তবে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের আয়কর নথিতে সেটা দেখানো হয়নি। হলফনামায় স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে জলঢাকার পশ্চিম বালাগ্রাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের আয়কর নথিতে তার স্থায়ী ঠিকানা লেখা রংপুর সদর উপজেলার কেরানিপাড়া। সংসদ সদস্য হিসেবে রানা কূটনৈতিক পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রসঙ্গে এমপি রানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় প্রদত্ত সম্পদের বিবরণ দাখিল করা আয়কর বিবরণের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। চা বাগানের জমির পরিমাণ ১৯.৬৫ একর, যা চা কোম্পানির কাছে চা-চাষের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি প্রায় ৮০ একর জমি জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে কোম্পানির নামে ক্রয়কৃত। ঢাকায় তার নামে জমি সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত। যা আয়কর ফাইলে দেখানো হয়েছে।

আরও পড়ুন >> দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের ৯৭২ প্রপার্টি, তালিকায় আছেন আরাভ খানও

রাজনৈতিক ও পারিবারিক জীবন সম্পর্কে তিনি জানান, রাজনৈতিক জীবনের শুরু ২০১১ সালে। জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন ২০১৩ সালে। সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত সমুদয় অর্থ এলাকার শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে টিআর-কাবিখার মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। নীলফামারী জেলায় নিজের কোনো জমি বা বাড়ি নেই। কিশোরগঞ্জে আদি নিবাস। রংপুরের কেরানিপাড়ায় ৬০ বছরের পুরানো বাড়িটি পৈত্রিক।

দীর্ঘ ১০ বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাস-জীবন শেষে ২০০৭ সালে দেশে ফেরেন। রংপুরের কৃষিখামারের জমি ১৯৯৬ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঠানো অর্থে কেনা। সেন্টমার্টিন ও কুয়াকাটার জমি ২০০৭-০৯ সালে ক্রয় করা। ঢাকার বসতবাড়ি ১৯৯৯ সালে কেনা। যুক্তরাষ্ট্রে তার কোনো বাড়ি নেই— জানান এমপি রানা মোহাম্মদ সোহেল।

আরএম/এমএআর/