বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) দিন দিন দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হচ্ছে নাকি শুধুই বিতর্ক? বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত, এমনকি ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপ বিবেচনায় নিলে দুর্নীতির অকাট্য প্রমাণের কথাই জানান দেয়। কিন্তু দুর্নীতির নানা অভিযোগ উত্থাপিত হলেও বাফুফের শীর্ষ পদে থাকা ব্যক্তিরা যখন স্বপদে বহাল থাকেন তখন স্বাভাবিকভাবেই সংশ্লিষ্টদের মাঝে প্রশ্ন জাগে শীর্ষ কর্তারা প্রকৃত অর্থে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নাকি কেবলই অভিযোগ।

হিসাবের অংক আরও জটিলতর হয় যখন বাফুফের বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ ওরফে মহি, নারী কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ এবং প্রধান হিসাব কর্মকর্তা আবু হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কোনো প্রমাণ পায় না। তখন অনেক প্রশ্নের জবাব উহ্য থেকে যায়। যদিও ভিন্ন এক দুর্নীতির অভিযোগে খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান এখনো শেষ হয়নি।

সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল দুর্নীতির প্রমাণ পেয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য ফিফা সব ধরনের ফুটবল কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ ও প্রায় ১২ লাখ টাকা জরিমানা করে। তখনই বাফুফের কর্তা ব্যক্তিদের দুর্নীতির বিষয়টি আবারও সামনে চলে আসে। বিভিন্ন মহল থেকে আবারও দাবি ওঠে বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের সকল বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের অভিযোগ থাকলেও তার সত্যতা পায়নি দুদক। দীর্ঘ দুই বছরের অনুসন্ধান শেষে ২০২১ সালের মার্চ মাসে সালাউদ্দিনসহ নারী কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ এবং প্রধান হিসাব কর্মকর্তা আবু হোসেনকেও অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে সংস্থাটি।

আইনজীবী ব্যারিস্টার সুমনের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ১৫ মে হাইকোর্টের আদেশে আগামী চার মাসের মধ্যে দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন : সালাউদ্দিন অসুস্থ, তার মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন : সুমন

একইসঙ্গে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতিসহ সকল বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার সুমন ওই দিন বলেছিলেন, ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়ন হচ্ছে না। ফুটবলকে বাঁচাতে হলে তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এ কারণে রিট দায়ের করেছি।

এর আগে গত ৩ মে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকসহ ঊর্ধ্বতনদের দুর্নীতির তদন্তের দাবি জানিয়ে দুদকে আবেদন করেছিলেন ব্যরিস্টার সুমন। তার দাবি ছিল, আবু নাঈম সোহাগ একা বাফুফেতে অনিয়ম-দুর্নীতি করেননি। তার সঙ্গে সভাপতি, সহ সভাপতিসহ ঊর্ধ্বতনরা জড়িত ছিলেন।

আরও পড়ুন : গোলাপ পচে গেছে, আ.লীগে থাকার অধিকার নেই : ব্যারিস্টার সুমন

অন্যদিকে বাফুফের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাফুফের বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন/ ছবি : সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ থেকে কাজী সালাউদ্দিনের দায়মুক্তি

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের অভিযোগ থাকলেও তার সত্যতা পায়নি দুদক। দীর্ঘ দুই বছরের অনুসন্ধান শেষে ২০২১ সালের মার্চ মাসে সালাউদ্দিনসহ নারী কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ এবং প্রধান হিসাব কর্মকর্তা আবু হোসেনকেও অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে সংস্থাটি।

আরও পড়ুন : সালাউদ্দিন পাবেন ৩৫ হাজার, সোহাগ ৫ লাখ!

দুদকের তৎকালীন সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সই করা চিঠিতে ওই অভিযোগের কার্যক্রম সমাপ্তির বিষয়টি উল্লেখ করে ২০২১ সালের ১ মার্চ বাফুফেকে অবগত করে।

ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে বর্ণিত অভিযোগ অনুসন্ধানে প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযোগটির কার্যক্রম পরিসমাপ্ত করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন : ‘সাংবাদিকের বাপের জুতা পরা ছবি’ চেয়ে ক্ষমা চাইলেন সালাউদ্দিন

২০১৯ সালে বিভিন্ন অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুদক।

বাফুফের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ ওরফে মহি/ ছবি : সংগৃহীত

আসামি হয়েও চার্জশিটে দায়মুক্ত বাফুফে সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন

গ্রাহকের গচ্ছিত ১১ কোটি টাকার স্বর্ণ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ ওরফে মহিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলা করে দুদক। মামলার পর ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর চার্জশিটও দাখিল করা হয়।

তবে অজ্ঞাত কারণে এজাহারভুক্ত এক নম্বর আসামি মহিউদ্দিনকে বাদ দিয়েই চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

আদালতে দাখিল করা চার্জশিটে মহিউদ্দিন আহমেদ ওরফে মহির বিষয়ে বলা হয়, নথিতে দায়িত্বরত অবস্থায় নির্দেশনা প্রদান করায় গ্রাহকের বন্ধকীকৃত স্বর্ণ প্রদান সংক্রান্তে আবেদনপত্রে তিনি কোনো স্বাক্ষর বা অনুমোদন করার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন : সোহাগ : কম্পিটিশন ম্যানেজার থেকে ফেডারেশনের সর্বেসর্বা!

কিন্তু দায়িত্ব পালনকালে তার দায় এড়াতে পারেন কিনা সে বিষয়ে কোনো বক্তব্য চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়নি।

এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী রেজা ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুদকের চার্জশিট দাখিলের পর এ বিষয়ে বিচারকার্য চলমান। এখন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে। আদালত এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। 

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক আব্দুল আলিম, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) হেদায়েত কবীর, সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক (স্বর্ণ বন্ধকী ঋণ বিভাগ) মো. আশফাকুজ্জামান, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ও সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংকের এসএস রোড শাখার ম্যানেজার মো. মাহাবুবুল হক, প্রিন্সিপাল অফিসার মো. ওমর ফারুক, সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) নুর মোহাম্মদ, সহকারী অফিসার (গ্রেড-১) আব্দুর রহিম ও নাহিদা আক্তার।

আরও পড়ুন : বাফুফে থেকে মুছে গেল সোহাগের নাম!

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, জালিয়াতির মাধ্যমে ২ হাজার ৩১৬ জন গ্রাহকের মোট ৭ হাজার ৩৯৮ ভরি ১১ আনা জামানত রাখা স্বর্ণ আইন বহির্ভূতভাবে আত্মসাতের চেষ্টা করেন আসামিরা। টাকার অংকের যার পরিমাণ ৪০ কোটি ৮ লাখ ৬০ হাজার ৮৮৮ টাকা। এছাড়া ১১ কোটি ৩৯ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮৬ টাকার স্বর্ণ গ্রাহককে না দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়।

বাফুফের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট সালাম মুর্শেদী/ ছবি : সংগৃহীত

বাফুফে সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদীর সরকারি সম্পত্তি দখল

খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পরিত্যক্ত সম্পত্তি দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।

নথি জালিয়াতির মাধ্যমে সালাম মুর্শেদীকে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন গুলশান-২-এর ১০৪ নম্বর সড়কে সিইএন (ডি)-২৭ নম্বর বাড়িটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এমন অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হাইকোর্ট থেকে নির্দেশনা দেওয়ার পর শুরু হয় দুদকের অনুসন্ধান।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন অধি-শাখা-৯ এর যুগ্ম-সচিব মো. মাহমুদুর রহমান হাবিবকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন : বাফুফের ওয়েবসাইটের ত্রাহি দশা, জামালদের কোচ নাকি ল্যামোস!

ওই প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, সরেজমিন পরিদর্শন ও গুলশান আবাসিক এলাকার লে-আউট নকশা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রোড নং ১০৪ ও রোড নং ১০৩-এর সংযোগস্থলের কর্নারের প্লট/বাড়িটি (২৭ নং প্লট) অবস্থান বিবেচনায় ১০৪ নং রাস্তায় অবস্থিত। যা ১৯৮৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত ৯৭৬৪ (১) নং পৃষ্ঠার ৪৬ নং ক্রমিকে ‘খ’ তালিকাভুক্ত পরিত্যক্ত বাড়ি। অর্থাৎ ঢাকার গুলশান আবাসিক এলাকার গুলশান সিইএন (ডি) ব্লকের ১০৪ নং রোডের ২৯ নং হোল্ডিংয়ের ২৭ নং বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি। বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘ক’ ও ‘খ’তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি এবং অবমুক্তির কোনো অবকাশ নেই। সুকৌশলে জাল-কাগজপত্র তৈরিসহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে

এ বিষয়ে সালাম মুর্শেদীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাফুফে থেকে আজীবন বহিষ্কার হওয়া আবু নাঈম সোহাগ/ ছবি : সংগৃহীত

দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় নিষিদ্ধ সোহাগ

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য সব ধরনের ফুটবল কার্যক্রম থেকে গত ১৪ এপ্রিল নিষিদ্ধ করে ফিফা। একই সঙ্গে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। এর পরপরই বাফুফে থেকে আজীবন বহিষ্কৃত হন আবু নাঈম সোহাগ।

আরও পড়ুন : সোহাগ-বাফুফে: পরম বন্ধু, চরম শত্রু!

ফিফা তাদের ওয়েবসাইটে সোহাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ৫১ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয়, আর্টিকেল ১৩, ১৫, ২৪ এবং ২৮ লঙ্ঘন করেছেন তিনি। অর্থাৎ অসততা, জালিয়াতি ও মিথ্যাচার এবং অর্থ অপব্যবহারের মতো গুরুতর বিষয়ে জড়িত সোহাগ।

কাতার বিশ্বকাপের আগে বাছাইপর্ব খেলার জন্য ওমান সফরে যায় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। সেই সফরে ফ্লাইটের টিকিট বাবদ আল মারওয়া ইন্টারন্যাশনালকে ২০১৯ সালের নভেম্বরে ১৯ হাজার ৯২৫ ডলার প্রদান করে বাফুফে। যেখানে অনিয়মের অস্তিত্ব পেয়েছে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে ৪০০টি ফুটবল কিনতে ১৪ লাখ টাকার বেশি খরচ করে বাফুফে। এই টাকা ফিফার দেওয়া অনুদান থেকে খরচ করা হয়। এই ক্রয়ের ক্ষেত্রেও অসঙ্গতি পায় ফিফা। এছাড়া ঘাস কাটার যন্ত্র কেনা, পানির পাইপলাইন বসানো ইত্যাদি কাজেও হয়েছে নয়ছয়। সবমিলিয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রায় ৬ কোটি টাকার মতো গরমিল পেয়েছে ফিফা। আর প্রতি ক্ষেত্রেই অভিযোগের তীর গিয়েছে সোহাগের বিরুদ্ধে।

যদিও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন বাফুফের নিষিদ্ধ সেক্রেটারি। গত ১০ মে এক সংবাদ সম্মেলনে আবু নাঈম সোহাগ বলেন, এটা তো সময়ই বলে দেবে। টাইম উইল সে। এখন আমি জোর করে বলে দিলাম (আমি নির্দোষ), তাহলে তো হলো না। আমি নিজেকে নির্দোষ মনে করি।

আরএম/এসকেডি