জমা গ্যাসেই বিস্ফোরণ, তিতাসের ‘না’
লাইনের লিকেজ থেকে জমে গ্যাস। সেই গ্যাস থেকেই রাজধানীর বংশাল থানাধীন সিদ্দিক বাজারের ক্যাফে কুইন স্যানিটারি মার্কেটে বিস্ফোরণের সূত্রপাত। বিল্ডিং কোড না মেনে পাঁচ তলার জায়গায় তৈরি করা হয় সাত তলা ভবন। সেই ভবনের নিচে ছিল গ্যাসের অবৈধ লাইন। লাইনের লিকেজ থেকে নির্গত গ্যাস জমে বৈদ্যুতিক স্পার্ক কিংবা দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানোর মধ্য দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটে।
সিদ্দিক বাজার এলাকায় বিস্ফোরণের পর ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তে উঠে এসেছে এমন তথ্য। তবে, ফায়ার সার্ভিসের ওই তথ্য মানতে নারাজ তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, তাদের গ্যাস লাইনে কোনো লিকেজ ছিল না। বিস্ফোরণের কারণ গ্যাস নয়। তাদের পরীক্ষায় মেলেনি গ্যাসের উপস্থিতি। বিস্ফোরণের পরও তাদের গ্যাসের লাইন অক্ষত আছে। তিতাসের দাবি, বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে ‘অন্য কিছু’।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, সিদ্দিক বাজারের বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজউক কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। ঝুঁকিমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সিদ্দিক বাজারের সামনের সড়ক খুলে দেওয়া সম্ভব নয়— মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে এমন তথ্য জানিয়েছেন রাজউকের তদন্ত কমিটির প্রধান প্রকৌশলী সামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘ভবনটি ঝুঁকিমুক্ত কি না— এ বিষয়ে জানতে অন্তত ৪৫ দিন সময় প্রয়োজন। তাই আপাতত ভোর ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভবনটির সামনের সড়কের বিপরীত লেন দিয়ে হালকা যানবাহন চলতে দেওয়া হবে। বন্ধ থাকবে ভবনের সামনের লেন। ভারী যান চলতে দেওয়া হবে না। কারণ, এতে কম্পন বেশি হতে পারে। ঝুঁকিতে পড়তে পারে ভবনটি।’ এছাড়া তদন্ত কমিটি পাঁচ দফা সুপারিশ করেছে— জানান তিনি।
লাইনের লিকেজ থেকে নির্গত গ্যাস জমে বৈদ্যুতিক স্পার্ক কিংবা দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানোর মধ্য দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তে উঠে এসেছে এমন তথ্য। তবে, ফায়ার সার্ভিসের ওই তথ্য মানতে নারাজ তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, তাদের গ্যাস লাইনে কোনো লিকেজ ছিল না। বিস্ফোরণের কারণ গ্যাস নয়
রাজউক ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, বিস্ফোরণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সিদ্দিক বাজারের ক্যাফে কুইন নামক সাত তলা ভবনটির ২৪টি কলামের মধ্যে নয়টি পুরোপুরি গুঁড়িয়ে গেছে। আরও কয়েকটি কলাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকা পুরো ভবনটি ঝুঁকিতে রয়েছে। আশপাশের কয়েকটি ভবনও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
এক লেন চালু, যানজটে জনভোগান্তি
সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে সিদ্দিক বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিস্ফোরিত ভবনের সামনের লেনটি বন্ধ। বিপরীত লেনে চলছে যান চলাচল। এক সড়কে সব ধরনের পরিবহন এবং পথচারীদের চলাচলের কারণে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। দীর্ঘক্ষণ যানজট থাকায় গুলিস্তান-সদরঘাটমুখী ওই সড়কে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
আরও পড়ুন >> ‘নাইয়র না আসা বউ আইলো স্বামীরে মাটি দিতে’
বিস্ফোরিত ভবনটিসহ আশপাশের পাঁচটি ভবনের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বংশাল ও চকবাজার থানা পুলিশ। ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
সেখানে কর্তব্যরত বংশাল থানার এসআই রুবেল বলেন, পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত বিস্ফোরিত ভবনটিসহ মোট পাঁচটি ভবনের সার্বিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ভবনটির সামনের লেনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
রাজউকের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল, পাঁচ সুপারিশ
রাজধানীর সিদ্দিক বাজারের ক্যাফে কুইন স্যানিটারি মার্কেটে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা ছিল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক)। একটি কমিটির বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখার কথা। অপরটির ভবন থাকবে না ভাঙতে হবে— সেটির সুপারিশ করার কথা।
এ বিষয়ে রাজউক অঞ্চল-৫ এর পরিচালক হামিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিদ্দিক বাজারের বিস্ফোরণের কারণ খুঁজতে একটি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা ছিল। কিন্তু সেটি আর হয়নি। তবে, ভবনটি এখন কী অবস্থায় থাকবে, সে বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ওই কমিটির আহ্বায়ক রাজউকের (সদস্য) প্রকৌশলী (অবসরপ্রাপ্ত মেজর) সামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। এছাড়া বুয়েটের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী, অধ্যাপক ড. রাকিব আহসান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) প্রকৌশলী আলী আহমেদ খান, রাজউকের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আবদুল লতিফ হেলালী ও অথরাইজড অফিসার রংগন মন্ডলকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন >> গুলিস্তান-সায়েন্সল্যাবের বিস্ফোরণে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই : আইজিপি
যোগাযোগ করা হলে কমিটির আহ্বায়ক সামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি। কমিটির পক্ষ থেকে পাঁচটি সুপারিশ করা হয়েছে। সেগুলো হলো-
১. ভবনটিতে প্রপিং (Propping) করতে হবে। এর যে কলামগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলোকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য প্রপিং করা। এটি ইতোমধ্যে হয়ে গেছে।
২. ভবনটির সামনের সড়কের ২৫/২৬ ফিট বাদ দিয়ে একাংশ দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে। তবে, রাতে রাস্তাটি পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। বিপরীত লেন দিয়ে যানবাহন চলাচল করবে। ভারী কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারবে না।
৩. মালিকপক্ষকে বিশেষজ্ঞ কোনো থার্ড পার্টি দিয়ে ডিটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট (ডিইএ) করতে হবে ৪৫ দিনের মধ্যে। থার্ড পার্টির ডিইএ রিপোর্টে যে ডিজাইন আসবে সেই ডিজাইন অনুযায়ী রেট্রোফিটিংয়ের কাজ করতে হবে ১৮০ দিনের মধ্যে।
৪. ডিইএ ও রেট্রোফিটিং— এই দুই কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভবনটি বসবাস বা ব্যবহার করা যাবে না।
৫. সুপারিশের ভিত্তিতে কাজগুলো শেষ করা গেলে আমরা একটা সার্টিফিকেট দেব। এটা দেওয়ার পরই কেবল ভবনটি ব্যবহার করা যাবে।
ভবনের নকশা মিলেছে, ষষ্ঠ ও সপ্তম তলা ‘অবৈধ’
ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণের পর ভবনের নকশা খুঁজে পাচ্ছিল না রাজউক। সেটি মিলেছে কি না এবং ভবনটি নির্মাণে বিল্ডিং কোড মানা হয়েছিল কি না— জানতে চাইলে সামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ভবনটির নকশা মিলেছে জমির মালিকের কাছ থেকে। নকশা অনুযায়ী অনুমোদন ছিল পাঁচ তলার। ষষ্ঠ ও সপ্তম তলা অবৈধভাবে গড়া হয়েছে।
জমা গ্যাসই বিস্ফোরণের কারণ : ফায়ার সার্ভিস
বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন কারে ফায়ার সার্ভিস। কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। কমিটির প্রধান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের তদন্ত চলছে। আমরা যথা সময়ে মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করব।
আরও পড়ুন >> বিল্ডিং কোড মানা হয়েছে কি না রাজউকের দেখা উচিত ছিল : ডিবিপ্রধান
এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের তদন্তে বিস্ফোরণের কারণ কী— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গ্যাস লিকেজ থেকেই বিস্ফোরণটি হয়েছে। প্রথমে ভবন কর্তৃপক্ষ আমাদের ভুল তথ্য দিয়েছিলেন। তারা জানিয়েছিলেন, আমাদের গ্যাসের কিছু নেই। কিন্তু নিচে রান্না হতো। সেখানে নীচ পর্যন্ত গ্যাসের লাইন গেছে। বিস্ফোরণের পর আসলে সব তথ্য পাওয়া যায় না। বাস্তবে আমরা যা দেখেছি, এল (L) হয়ে গ্রাউন্ড থেকে গ্যাসের লাইন সরে গেছে। আমাদের ধারণা, সেখানেই কোনো না কোনোভাবে লিকেজ হয়েছিল।’
“আবদ্ধ জায়গায় অর্থাৎ ভেন্টিলেশন যেখানে কম থাকে সেখানেই গ্যাস জমে। আবদ্ধ হয়ে বিস্ফোরণের জন্য যে পরিমাণ গ্যাস সংরক্ষণের প্রয়োজন হয় সেই পরিমাণ গ্যাস সেখানে জমেছিল। বাতাসের সঙ্গে সংমিশ্রণে মিথেন বা বিষাক্ত কিছু (গ্যাস) হয়েছিল। সেখানে পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা ছিল না। ফলে যদি শর্ট সার্কিট হয় বা কেউ সিগারেট ধরায় তাহলে এ ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে বিস্ফোরণ এক্সপার্টরা আরও ভালো বলতে পারবেন। আমরা ‘গ্যাসই কারণ’ পাচ্ছি। অন্য কিছু পাইনি। শুধু আমরা নয়, অন্য সংস্থার লোকজনও সেটা বলছেন।”
গ্যাস লাইনে লিকেজ ছিল না : তিতাস
গ্যাসের লাইনের লিকেজ থেকে জমা গ্যাস বিস্ফোরণের মূল কারণ— বিষয়টি মানতে নারাজ তিতাস। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের লাইনে কোনো লিকেজ ছিল না।
আরও পড়ুন >> ৪৫ বছর আগের ভবন : ‘আবাসিক’ নাকি ‘বাণিজ্যিক’ জানে না রাজউক
জানতে চাইলে তিতাস গ্যাসের মেটো-২ এর আবাসিক ম্যানেজার প্রকৌশলী মশিউর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আবাসিক হিসেবে আমরা প্রথমে গ্যাস লাইনের অনুমোদন দিয়েছিলাম। পরে আবার বাণিজ্যিক লাইন নেয়। সেখান থেকে আবার আবাসিক লাইনে রূপান্তর করা হয়। মোট লাইন ছিল সাতটি। সবকটি ডাবল লাইন। বিস্ফোরণের ঘটনার পর আমরা পরিদর্শন করেছি। গ্যাস লাইন থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। সেখানে কোনো অবৈধ লাইন নেই। নিচে আমরা কোনো গ্যাসের লাইন দেইনি। আমরা লিকেজ খুঁজেছি, কিন্তু পাইনি। সেটি আমরা নিশ্চিত হয়েছি।’
বিস্ফোরণের অন্য কোনো কারণ থাকলে সেটা অন্য সংস্থা খুঁজে দেখবে।
এ বিষয়ে তিতাস গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) প্রকৌশলী শামসুদ্দিন আজাদ বলেন, ‘জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ ঘটলে আগুন ধরত। কিন্তু সেটি হয়নি। এছাড়া প্রাকৃতিক গ্যাস বাতাসের চেয়ে হালকা হওয়ায় তা জমে থাকার সুযোগ নেই।’
ভবনটির বেজমেন্টের বিস্ফোরণস্থলে তিতাসের লাইন নেই— দাবি করে তিনি বলেন, ‘সেপটিক ট্যাংক বা মিথেন গ্যাস প্রাকৃতিক গ্যাসের চেয়ে ভারী। সেটি কুঠুরিতে জমতে পারে। বিস্ফোরণের কারণ বিশেষজ্ঞরা বলতে পারবেন। রোববার যন্ত্র দিয়ে গ্যাস পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে লাইন লিকেজের বিষয়টি ধরা পড়েনি। রাইজারও অক্ষত। গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হলে তো রাইজার অক্ষত থাকার কথা নয়।’
আরও পড়ুন >> মায়ের ইফতারি কিনতে গিয়ে গুলিস্তানে লাশ হলেন সদ্য দেশে ফেরা সুমন
গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ ঘটেনি এবং গ্যাসের উপস্থিতিও সেখানে মেলেনি— তিতাসের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘গ্যাসের লিকেজ ছাড়া কি… তবে অন্য কেউ এসে সেখানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন? এমনটা তো ঘটেনি। সিটিটিসি, পুলিশের বোম ডিসপোজাল ইউনিট, র্যাব, সেনা বাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড সেখানে পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করেছে। সব সংস্থাই শেষে জানিয়েছে, সেখানে বিস্ফোরক বা নাশকতার কিছু মেলেনি। তাহলে এতগুলো সংস্থা কি মিথ্যা কথা বলছে? আমরা তদন্ত করছি। বিস্ফোরণের ফাইন্ডিংস ও সুপারিশ আমরা মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানাব।’
গত মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারের একটি সাত তলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দেড় শতাধিক। তাদের মধ্যে এখনও অন্তত ১৫ জন হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জেইউ/