সাবিনা আক্তার

ড্রয়িংরুমের একটি মাত্র কম্পিউটার দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু। এখন কাজ করছেন তিন শতাধিক কর্মী। ‘বিডিকলিং আইটি লিমিটেড’ নামের প্রতিষ্ঠান গড়ে প্রতি মাসে অর্ধ-কোটি টাকা বেতন দিচ্ছেন তিনি। স্বপ্ন দেখছেন আইটি খাতে পাঁচ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার। তিনি আর কেউ নন, এ পেশায় সফল হওয়া তরুণ উদ্যোক্তা সাবিনা আক্তার।

তার পথচলার সঙ্গী স্বামী মোহাম্মদ মনির হোসেন।দুজনের অক্লান্ত পরিশ্রমে ব্যক্তিগত ফ্রিল্যান্সিং থেকে তারা এখন দেশের অন্যতম সেরা আইটি ফার্মের কর্ণধার।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে এগিয়ে যাওয়া, একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে সেটিকে দেশসেরা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়াসহ নানা উত্থান-পতনের গল্প ঢাকা পোস্টকে শুনিয়েছেন বিডিকলিং চেয়ারম্যান সাবিনা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তানভীরুল ইসলাম।

ঢাকা পোস্ট : ফ্রিল্যান্সিং কী? পেশা হিসেবে এটা কেমন?

সাবিনা আক্তার : ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি মুক্ত পেশা। ঘরে বসেই একজন ব্যক্তি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পরেন। বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বেই তরুণ-তরুণীদের কাছে ফ্রিল্যান্সিং ব্যাপক জনপ্রিয় এক নাম। বিশ্বের বড় বড় কোম্পানি এখন তাদের কাজগুলো অফিসের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসগুলোতে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এতে কোম্পানিগুলো কাজের জন্য পাচ্ছে দক্ষ কর্মী এবং কর্মীরাও অন্য দেশ থেকে রেমিট্যান্স আয়ের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারছে।

আরও পড়ুন : আইটি ফ্রিল্যান্সাররা হবে স্মার্ট বাংলাদেশের চালিকাশক্তি : পলক

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য জনপ্রিয় কিছু ওয়েবসাইট হচ্ছে আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, পিপল পার আওয়ার, নাইনটি নাইন ডিজাইনস, গুরু ডটকম ইত্যাদি। এসব ওয়েবসাইটে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডেটা এন্ট্রি, ডিজিটাল মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, এসইও, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি কাজ করে যে কোনো চাকরির থেকে বেশি অর্থ উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে।

ঢাকা পোস্ট : ফ্রিল্যান্সিং খাতে নারীদের সম্ভাবনা কেমন দেখছেন?

সাবিনা আক্তার : সব পেশাতেই এখন নারীদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিংয়ে নারীদের ব্যাপক সম্ভাবনা ও কাজের সুযোগ রয়েছে। অন্যান্য পেশাগুলোতে নারীদের বাইরে গিয়ে কাজের ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা যায়। সংসার, সন্তানদের কথা চিন্তা করেও অনেকেই বাইরে গিয়ে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। কেউ কেউ পারিবারিক জীবনের সঙ্গে কর্মজীবন স্বাচ্ছন্দ্যে চালিয়ে যেতে নানা রকমের বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হন। এক্ষেত্রে তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে উপার্জনের অন্যতম একটা হাতিয়ার।

স্বাভাবিকভাবেই নারীদের ঘরে-বাইরে দুদিকে সামলাতে হয়। সেক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং নারীকে নিজের রুটিন নিজে মতো করে সাজিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকে। এমনকি নারীরা প্রথাগত চাকরির চেয়ে অনেক বেশি স্বাধীনতা ও সুবিধা পেয়ে থাকেন ফ্রিল্যান্সিংয়ে। যে কোনো স্থান থেকে যে কোনো সময় কাজ করা যায়, রাস্তার জ্যাম পেরিয়ে অফিসে যেতে হয় না, নিজের বাসায়ই কাজ করা যায়। পরিবার ও শিশুকে সময় দিয়েও আত্মনির্ভরতার সুযোগ করে দেয় ফ্রিল্যান্সিং।

ঢাকা পোস্ট : একজন নারী হিসেবে নারীদের জন্য আপনার প্রতিষ্ঠানে কী ধরনের ব্যবস্থা রেখেছেন?

সাবিনা আক্তার : একজন নারী হিসেবে আমি নারী উন্নয়নে বিশ্বাসী। নারী ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই নারীদের আর্থিকভাবে সচ্ছল হবে। এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং নারীদের জন্য বিশাল সুযোগ। এক্ষেত্রে আমাদের প্রতিষ্ঠানে নারীদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আমরা রাখার চেষ্টা করেছি। আমাদের এখানে নারীদের চাকরিতে আমরা ৩০ শতাংশ কোটা রেখে থাকি। এছাড়াও তাদের জন্য অফিসে আলাদা খাবারের জায়গা, নামাজের জায়গাসহ আলাদা একটি কমনরুম রয়েছে।

চাকরির ক্ষেত্রে যেমন নারীরা এখানে আলাদা ফ্যাসিলিটি পায়, আমাদের ইন্টার্নশিপেও তাদের আমরা বিশেষ সুযোগ দিয়ে থাকি। সর্বোপরি আমরা চাই নারীরা এগিয়ে যাক। দেশ ও জাতির জন্য ভালো ভূমিকা রাখুক।

ঢাকা পোস্ট : ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনার শুরুর গল্পটা জানতে চাই।

সাবিনা আক্তার : বর্তমানে ফাইভার এবং আপওয়ার্কে আমার নামে দুটি অ্যাকাউন্ট দেশের সব নারীদের মধ্যে র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষে আছে। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। তবে, আমার ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রাটা শুরু হয়েছিল খুবই ক্ষুদ্র পরিসরে। বলতে গেলে একেবারেই প্রাথমিক অবস্থায় আমি শুরু করেছিলাম। বাসায় ড্রয়িংরুমের একটি মাত্র কম্পিউটারেই প্রথম কাজ হতো। এরপর ধীরে ধীরে যখন কাজের চাহিদা বাড়তে থাকে, তখন একটি টিমের গঠনের চিন্তা মাথায় আসে। এরপরই একটা আইটি ফার্ম এবং বিস্তর পর্যায়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু। এর আগে আমাকে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে।

শুরুর দিকে একটা সময়ে আমার স্বামীর চাকরি চলে যায়। তিনি প্রায় ৬ মাস বেকার ছিলেন। হুটহাট করে আমাদের অনেকটাই ঝামেলায় পড়ে যেতে হয়। এরপর তিনি একটা কল সেন্টার দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন, এমনকি সেখানেও বড় একটা পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটাও সফলতার মুখ দেখেনি। এরপর তিনি ফ্রিল্যান্সিংয়েই সময় দিতে থাকেন। একটা সময় তিনি আবার ঘুরে দাঁড়ান।

এরকম নানা উত্থান-পতন ছিল আমাদের চলার পথে। কিন্তু ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আমাদের আর অন্য কোনো দিকে তাকানোর সুযোগ হয়নি। আল্লাহর রহমতে এরপরে আমাদের আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

ঢাকা পোস্ট : ফ্রিল্যান্সিংকে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে নিয়ে আসার ভাবনাটা যদি বলতেন।

সাবিনা আক্তার : ড্রয়িংরুমের একটি মাত্র কম্পিউটার থেকে বিডিকলিং এখন বিশাল বড় আইটি প্রতিষ্ঠান। শুরুতে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলেও বর্তমানে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়িয়েছি আমরা। বিডিকলিং আজকে প্রাতিষ্ঠানিক একটা রূপ পাওয়ার অন্যতম কারণ আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা আর অক্লান্ত পরিশ্রম।

ব্যক্তিগত ফ্রিল্যান্সিং থেকে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে আসার পেছনে ভাবনাটা এসেছিল যখন আমরা ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী কাজ দিতে পারছিলাম না। কারণ, তখন এতো পরিমাণ চাহিদা আমাদের কাছে আসতে শুরু করে যে, ব্যক্তিগত পর্যায়ে আর পারছিলাম না। তখনই মাথায় আসে যে, আমরা তো চাইলে কিছু লোক হায়ার (নিয়োগ) করে কাজ করতে পারি। এরপর সে অনুযায়ী টিম সাজাতে শুরু করি। ১০ জন ২০ জন করে আজকে আমাদের বিশাল পরিবার। বর্তমানে আমাদের দুটি অফিসে দুই শতাধিক কর্মী কাজ করছে।

এখন যদি আমি সেই শুরুর দিনগুলোর কথা মনে করি, নিজের কাছেই ভাবতে অবিশ্বাস্য লাগে। আমরা এখানেই থামতে চাই না। ফ্রিল্যান্সিংকে আমরা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চাই। একটা সময়ে জেলা পর্যায়েও বিডিকলিং ছড়িয়ে যাবে। আমাদের প্রতিষ্ঠানেই পাঁচ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে।

ঢাকা পোস্ট : এই পর্যায়ে আসতে সবচেয়ে বেশি কার সহযোগিতা পেয়েছেন?

সাবিনা আক্তার : আমি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হলেও বিডিকলিং আইটি লিমিটেডের এই অবস্থায় আসার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান আমার স্বামী মোহাম্মদ মনির হোসেনের। তিনিই সবসময় আমাকে আইডিয়া দিয়েছেন, বাস্তবায়নেও সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন। আমি যখন অফিসের কাজে ব্যস্ত থেকেছি, তিনিই ছায়ার মতো আমাকে সময় দিয়েছেন, সন্তানদের দেখেছেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজটি যেহেতু রাতের একটি কাজ, আমার স্বামীর সহযোগিতা ছাড়া এত দূর আসা কখনই সম্ভব ছিল না।

এছাড়াও আমাদের সফলতার পেছনে আরেকটি বড় শক্তি হলো আমাদের কর্মীরা। তারুণ্য নির্ভর একটা ভালো টিম আমরা পেয়েছি, যা আমাদের সফলতার চূড়ায় পৌঁছে দিতে বড় ভূমিকা রেখেছে।

ঢাকা পোস্ট : দেশে বেকারত্ব রোধে ফ্রিল্যান্সিং কতটা ভূমিকা রাখতে পারে?

সাবিনা আক্তার : দেশে কর্মক্ষম মানুষের তুলনায় সরকারি খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, দেশে কর্মক্ষম ২৬ লাখ ৩০ হাজার মানুষ বেকার। অন্য এক জরিপে বলা হয়েছে, দেশের প্রায় ৬৬ লাখ মানুষকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। কর্মক্ষম প্রতিটা মানুষ দেশের জন্য মূল্যবান মানবসম্পদ। এ বিশাল মানবসম্পদকে যদি আমরা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারি, তারাই হয়ত দেশের অর্থনীতিতে বড় একটি ভূমিকা রাখবে।

আরও পড়ুন : ‘ফ্রিল্যান্সিং করলে কাউকে বেকার থাকতে হবে না’

আমি মনে করি দেশের বেকারত্ব রোধে ফ্রিল্যান্সিং একটি বড় উপকরণ হতে পারে। তবে, এক্ষেত্রে এই বেকার যুব সমাজকে যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে এমন একটি প্রশিক্ষিত যুব সমাজ গড়তে চেষ্টা করছি, কিন্তু এই কাজ আমাদের একার পক্ষে করা খুবই কঠিন। তবে সরকার যদি আমাদেরকে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দেয়, অবশ্যই আমরা ভালো কিছু করতে পারবো।

ঢাকা পোস্ট : ফ্রিল্যান্সিংয়ে মার্কেটে বাংলাদেশকে কোন অবস্থায় দেখতে চান? এক্ষেত্রে সমস্যা সম্ভাবনা কেমন?

সাবিনা আক্তার : বর্তমান যে জাতি প্রযুক্তির দিক দিয়ে যত বেশি দক্ষ, সে জাতি তত বেশি উন্নতি করছে। তাই আমাদের দেশের বিশাল বেকার জনগোষ্ঠীকে কম্পিউটারে দক্ষতা বৃদ্ধি করে কাজে লাগানো যেতে পারে। বর্তমানে অনন্য দেশের মতো বাংলাদেশও ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আয় করছে। নতুন করে তরুণ সমাজের মধ্যেও বেশ আগ্রহবোধ কাজ করছে।

তবে, আগ্রহ এবং কাজ করার ক্ষেত্রে আমরা দেখি যে তারা নানা বিষয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয়। অনেকক্ষেত্রে তাদের মধ্যে কিছু অভাববোধও আমরা দেখে থাকি। প্রথমত হলো, আন্তর্জাতিক মার্কেটে কাজ করতে হলে যেই স্কিলের (দক্ষতা) চাহিদা রয়েছে, আমাদের দেশের ছেলেদের মধ্যে ওই লেভেলে দক্ষতা অর্জন করাটা বড় চ্যালেঞ্জ।

দ্বিতীয়ত হলো, আন্তর্জাতিক মার্কেট থেকে যে কোনো কাজ পেতে বা সম্পন্ন করে ডেলিভারি দিতে যোগাযোগের মাধ্যম হলো ইংরেজি। কিন্তু এই ইংরেজিতেই আমাদের দেশের মানুষের দুর্বলতা আছে। আরেকটি সমস্যা হলো, আমাদের মধ্যে প্রফেশনালিজমে বেশ দুর্বলতা আছে। বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে যখন আমরা প্রোফাইলগুলো দেখি, আমরাই তেমন একটা সন্তুষ্ট হতে পারি না। এই বিষয়গুলো যদি আমরা সমাধান করতে পারি, তাহলে কিন্তু আমাদের তরুণদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে বেশ সম্ভাবনা রয়েছে।

আমরা আমাদের পক্ষ থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন যে, দেশে অসংখ্য ফ্রিল্যান্সিং শেখার প্রতিষ্ঠান থাকলেও মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে অনেকেই শিখতে পারে না। এক্ষেত্রে বিডিকলিং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তরুণ-তরুণীদের ফ্রিল্যান্সিং শেখার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, আমাদের বিডিকলিংয়ে কোর্স শেষে যদি কেউ ভালো করতে পারে, তাহলে আমাদের প্রতিষ্ঠানে তাদের জন্য চাকরির বিশাল সুযোগও আমরা করে দেই। আবার যে কেউ চাইলে নিজের মতো করে কাজ করতে পারে, সেক্ষেত্রে আমরা তাদের নানাভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হলো বিশাল সংখ্যক শিক্ষিত বেকার যেন অন্তত নিজে কিছু করে স্বাবলম্বী হতে পারে।

ঢাকা পোস্ট : বিডিকলিংকে কত দূর নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন?

সাবিনা আক্তার : আমরা দেশে আইটি খাতে পাঁচ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান করতে চাই। বর্তমানে রাজধানীর বনশ্রীতে আমাদের দুটি অফিস, আমরা শিগগিরই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আরও কয়েকটি অফিস শুরু করতে যাচ্ছি। একপর্যায়ে আমাদের পরিকল্পনা সারা দেশেই আমরা বিডিকলিংকে ছড়িয়ে দিতে চাই। একসময় বিভাগীয়-জেলা পর্যায়ে আমাদের অফিস থাকবে। সারা দেশেই আমাদের কর্মীরা কাজ করবে। এতে করে আমরাও দেশের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে শক্ত একটা অবস্থান গড়তে পারবো, সেইসঙ্গে বড় একটা সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান গড়ে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবো।

একনজরে সাবিনা আক্তার

সাবিনা আক্তারের জন্ম কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত এলাকায়। শিক্ষাজীবনের শুরুটা পরিবার থেকে শুরু হলেও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার শুরু চৌদ্দশত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, এরপর পার্শ্ববর্তী নান্দলা অছম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং আরএস আইডিয়াল ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক থেকে কম্পিউটার সাইন্সে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন।

পারিবারিক জীবনে সাবিনা আক্তারের তিন ছেলে ও এক মেয়ে। স্বামী মুহাম্মদ মনির হোসেন বিডিকলিং আইটি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে কর্মরত আছেন।

টিআই/এসএম