বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে আসার একটা পজিটিভ দিক আছে। লাভ-ক্ষতির হিসাব অর্থনীতিবিদরা যোগ-বিয়োগ করে দেখবেন। পাচার হওয়া অর্থ যে প্রক্রিয়ায় আনা হোক না কেন, এটা আমাদের অর্থনীতির জন্য ভালো। সেটা দুর্নীতির বিরুদ্ধে পরোক্ষভাবে নেওয়া একটা ব্যবস্থা- দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান।

মোজাম্মেল হক খান, ২০১৮ সালের ২ জুলাই থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে দায়িত্ব পালন করেছেন জনপ্রশাসনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিব হিসেবে। তিনি মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন জেলায় জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক, রাষ্ট্রপতির একান্ত সচিব, উপসচিব, যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

দুদকের কমিশনার হিসেবে চার বছর পার করেছেন। এই সময়ে সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন ঢাকা পোস্টের সঙ্গে। পাশাপাশি শুনিয়েছেন নিজের জন্মস্থান, ছেলেবেলা ও বেড়ে ওঠার গল্প। আলাপচারিতায় ছিলেন ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এফ এম আবদুর রহমান মাসুম। দুই পর্বের সাক্ষাৎকারের আজ থাকছে প্রথমটি।

আরও পড়ুন >> ঘুষসহ শিক্ষা কর্মকর্তাকে ধরিয়ে দিয়ে বিপাকে অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষিকা

ঢাকা পোস্ট : গুরুত্বপূর্ণ অনেক মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। পেশাগত জীবনে যা গর্ব করার মতো। দীর্ঘ এ পথপরিক্রমা সম্পর্কে কিছু বলুন।

মোজাম্মেল হক খান : আমি সৌভাগ্যবান এ কারণে যে সাধারণ মানুষের বিবেচনায় যেসব মন্ত্রণালয়কে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়, সেসব মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছি। আমি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) ছিলাম। পার্বত্যবিষয়ক শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের সময় আমি ওই মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। পরবর্তীতে আমি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও রেলপথ বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলাম। এর মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে কাজ করেছি। এটা আমার সৌভাগ্য।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান বিভাগের কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান / ছবি- ঢাকা পোস্ট

ঢাকা পোস্ট : আপনার জন্মস্থান, ছেলেবেলা ও বেড়ে ওঠার গল্প শুনতে চাই...

মোজাম্মেল হক খান : ১৯৫৯ সালে মাদারীপুর জেলার পাঁচখোলা গ্রামে আমার জন্ম। ছেলেবেলা কেটেছে মাদারীপুরে। যখন ছাত্র ছিলাম, নদী পার হয়ে স্কুলে যেতাম। কোনো কোনো বর্ষায় ঘরে পানি প্রবেশ করত। নৌকা ছাড়া তখন চলাচলের উপায় ছিল না। প্রতিদিন দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা হেঁটে স্কুলে যেতে হতো। সবমিলিয়ে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগত। ফলে সকালে লেখাপড়ার সুযোগ হতো না। বৈরী পরিবেশে কেটেছে ছাত্রজীবনটা।

আরও পড়ুন >> ধার করে ব্যবসা শুরু, সা’দ মুসা গ্রুপের এখন ২৭ প্রতিষ্ঠান

আমি মাদারীপুরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। এসএসসি পাস করা পর্যন্ত সেখানেই ছিলাম। মাদারীপুর শহর ছাড়া আর কোনো বড় শহরে এসএসসি পাসের আগে যাওয়া হয়নি।

ঢাকা পোস্ট : ছাত্রজীবনে আপনার লক্ষ্য কী ছিল, স্বপ্ন পূরণ হয়েছে কি না?

মোজাম্মেল হক খান : স্বপ্নটা আসলে বয়স অনুযায়ী ঠিক হয়ে থাকে। যেমন- যখন প্রাইমারিতে ছিলাম, তখন হেডমাস্টারকে ভালো লাগত। মনে হতো জীবনে যদি তার মতো হেডমাস্টার হতে পারতাম, জীবনটা সফল হতো। যখন হাই স্কুলে পড়তাম, তখন ভালো লাগত স্কুলের ইংরেজি বিভাগের রহিম স্যার ও হাকিম স্যারকে। তাদের মতো শিক্ষক হওয়ার ইচ্ছা ছিল। যখন অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হলাম, তখন এসডিও হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। আসলে মাদারীপুর সাবডিভিশন হিসেবে এসডিও ছিল সবচেয়ে সম্মানিত ও বড় পদ। তখন মনে হতো এসডিও হলেই সফল হব।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান / ছবি- সংগৃহীত

এরপর যখন নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হই, তখন স্বপ্ন দেখতাম ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। তবে, আমার বাবার ইচ্ছা ছিল আমি মানবিক শাখা থেকে পাস করে ইংরেজিতে অনার্স করি এবং বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে সিভিল সার্ভিসে যোগ দিই। কিন্তু স্কুলের স্যারদের ইচ্ছায় বিজ্ঞান বিভাগে লেখাপড়া করি। এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো হয়নি, ডাক্তার হওয়া হলো না। সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমে আইন বিভাগে অনার্সে ভর্তি হই। সেখানেও মন বসল না। পরে সমাজ কল্যাণে অনার্স ও মাস্টার্স করি। এরপর বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে চাকরি জীবনে প্রবেশ করি। এক হিসেবে বাবার স্বপ্নই পূরণ হয়েছে।

আরও পড়ুন >> ৬ মাসে দুর্নীতিবাজদের ৬৮২ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক-ফ্রিজ

আমি যখন ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) হই, তখনই বাবার স্বপ্ন পূরণ হয়। এরপর আল্লাহ রহমতে অনেক বড় বড় পদে কাজ করেছি।

ঢাকা পোস্ট : এবার বর্তমান প্রসঙ্গে আসি। দুদকে যোগ দেওয়ার আগে নিশ্চয়ই একটা স্বপ্ন ও লক্ষ্য ছিল। দায়িত্ব নেওয়ার চার বছর পর আপনার লক্ষ্য কতটুকু পূরণ হয়েছে বলে মনে করেন?

মোজাম্মেল হক খান : দুদকে যোগ দেওয়ার আগে প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে বড় কিছু করব। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়তো হয়নি। তারপরও আমি মনে করি, এর মধ্যে বেশকিছু কাজ করা হয়েছে। হয়তো এখনই সুফল পাওয়া যাবে না। কিন্তু আগামীতে এর সুফল মিলবে। আমরা আইনকানুন, কর্মকর্তা ও কর্মপক্রিয়া অনুশীলনের বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছি।

দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খানের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এফ এম আবদুর রহমান মাসুম / ঢাকা পোস্ট

ঢাকা পোস্ট : সরকারি দপ্তরগুলো সরাসরি সরকার নিয়ন্ত্রিত। দুদক একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। সে হিসেবে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের দুর্নীতি ও অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে বিভিন্ন সুপারিশ বিভিন্ন সময়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি মাঝে মাঝে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা এর সঠিক বাস্তবায়ন দেখতে পাই না, কেন? এ বিষয়ে ভিন্ন কোনো পরিকল্পনা দুদকের আছে কি না?

আরও পড়ুন >> যোগ-বিয়োগের কারসাজিতে কোটি কোটি টাকা লোপাট!

মোজাম্মেল হক খান : সরকারের বিভিন্ন দপ্তর সংক্রান্ত নানাবিধ দুর্নীতি আমাদের নজরে আসে। এছাড়া বিভিন্ন উৎস থেকে দুর্নীতির অভিযোগ আমরা পাই। মাত্রা বিবেচনায় কিছু দুর্নীতি কমিশন নিজস্ব অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করে। অন্যগুলো বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। যদিও এ কথা সত্য যে এগুলোর ফলোআপ আরও বাড়ানো প্রয়োজন, যাতে দপ্তরগুলো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।

অনেক দপ্তরই দুদকের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। তবে, মনিটরিং না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন দপ্তরে সংশ্লিষ্ট গুরুতর অভিযোগগুলো টেবিলে পড়ে থাকে। একসময় তা চাপা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ধরনের অভিযোগও আমরা পাই। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে চিন্তা করছি। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা দপ্তরগুলো যেন প্রেরিত অভিযোগের বিষয়ে তাদের গৃহীত সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ সম্পর্কে নিয়মিত দুদককে লিখিতভাবে অবহিত করে, এ ধরনের নির্দেশনা প্রেরণ এবং কমিশনের কার্যকর মনিটরিং মেকানিজম তৈরির পন্থা নিয়ে চিন্তা চলছে।

ঢাকা পোস্ট : বর্তমান বাজেটে অবৈধভাবে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরতে সরকারের একটা ঘোষণা রয়েছে। ফলে দুদকের মানিলন্ডারিং অপরাধ অনুসন্ধান ও তদন্তে নেতিবাচক কোনো প্রভাবে ফেলবে কি না?

মোজাম্মেল হক খান : এটা অনেক হিসাব-নিকাশের বিষয়। এক কথায় বলা কঠিন। সরকার সুযোগ দিয়েছে, এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। এটা নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। মানিলন্ডারিং হওয়া টাকা দেশে আসলে, এখানে একটা পজিটিভ দিকও আছে। যারা অর্থনীতিবিদ তারা এটা যোগ-বিয়োগ করে দেখবেন। লাভ বেশি হলো, নাকি ক্ষতি বেশি হলো। আমি মনে করি, পাচার হওয়া অর্থ যে প্রক্রিয়ায়ই আনা যায় আমাদের অর্থনীতির জন্য ভালো। সেটা দুর্নীতির বিরুদ্ধে পরোক্ষভাবে ব্যবস্থা হয়েছে বলে মনে করি।

মনিটরিং না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন দপ্তরে সংশ্লিষ্ট গুরুতর অভিযোগগুলো টেবিলে পড়ে থাকে। একসময় তা চাপা পড়ে যায়— মোজাম্মেল হক খান / ঢাকা পোস্ট

আরও পড়ুন >> হুন্ডিতে ২ লাখ কোটি টাকার বাণিজ্য!

ঢাকা পোস্ট : দুদকে বিভিন্ন সংস্থা থেকে ডেপুটেশনে আসা কর্মকর্তার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মাধ্যমে দুদক কতটুকু শক্তিশালী হচ্ছে বলে মনে করেন। সরকারি অন্যান্য বিভাগ থেকে যারা দুদকে আসেন তারা দুদকের কাজ ও কৌশল শেখার পর পুনরায় বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুদক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কি না?

মোজাম্মেল হক খান : দুদক আইন অনুযায়ী ডেপুটেশনে কর্মকর্তা পদায়ন করা হয়। এ সংখ্যা কখনও কম, কখনও বেশি হয়। দুদকের জনবলের ঘাটতি পূরণের জন্য এটা করা হয়। পাশাপাশি কোনো বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন জনবলের প্রয়োজন হলে তাদেরও ডেপুটেশনে আনা হয়। তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দুদককে আরও শক্তিশালী করে।

যেমন, ব্যাংকিং সেক্টর থেকে সম্প্রতি কতিপয় অভিজ্ঞ কর্মকর্তাকে প্রেষণে আনা হয়েছে। যাতে তাদের বিশেষায়িত জ্ঞান আর্থিক খাতের দুর্নীতি অনুসন্ধান ও তদন্তে কাজে লাগানো যায়। তাদের কাছ থেকে দুদকের নিজস্ব কর্মকর্তারা অনেক কিছু শিখতে পারবেন। তারা পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বিনিময় করতে পারবেন। যা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্তের কাজে বিশেষ সহায়ক হবে বলে কমিশন মনে করে। ফলে দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ হবে।

তবে, প্রেষণে আসা কর্মকর্তাদের অনুসন্ধান বা তদন্তের কাজে সরাসরি নিযুক্ত করা সমীচীন নয়। এ বিষয়ে আমিও একমত পোষণ করি। কারণ, তারা এ ব্যাপারে প্রশিক্ষিত নন। সুতরাং তারা কেবল অনুসন্ধান বা তদন্তের বিশেষায়িত ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারেন। একইভাবে, প্রেষণে আসা কর্মকর্তাদের যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে কমিশন বরং লাভবান হবে। কমিশনের কাজের গতিও বাড়বে বলে মনে করি।

 রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয় / ছবি- সংগৃহীত

আরও পড়ুন >> মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত সব অপরাধের তদন্ত করতে পারবে দুদক

ঢাকা পোস্ট : দুদকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ অভিযোগ যাচাই-বাছাই ইউনিট ও দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট। অনেক দিন ধরে একটা অভিযোগ রয়েছে যে যাচাই-বাছাই কমিটি শক্তিশালী নয়। অনেকটা এককেন্দ্রিক অ্যাডমিন ক্যাডার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত! ফলে অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ আপনাদের নিকট পৌঁছায় না। আগে দুদক কর্মকর্তা ও ডেপুটেশন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ব্যালান্স ছিল। এছাড়া দুদক বিধিমালার শুরুর দিকে এ কমিটি গঠনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল। ফলে অভিযোগ বাছাইয়ে অধিক নিরপেক্ষতা পাওয়া যেত। যদিও পরে বিধিমালা সংশোধন হয়। এ বিষয়ে আপনার কোনো ভিন্ন পরিকল্পনা আছে কিনা?

মোজাম্মেল হক খান : দুদকে বিভিন্নভাবে আসা অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি কমিটি আছে। তারা কিছু নির্দিষ্ট মানদণ্ডের মাধ্যমে অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্তের জন্য কমিশনের সামনে উপস্থাপন করে। অতঃপর কমিশন সভায় আলোচনার মাধ্যমে এগুলোর অনুসন্ধানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে, দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্তের কাজে অভিজ্ঞ ও নিজস্ব জনবল কমিটিতে থাকলে তাদের বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বেশ কাজে আসবে বলে মনে করি। কমিশন ভবিষ্যতে এটা ভেবে দেখবে।

আরএম/এমএআর/