আলোর মুখ দেখছে না সুরক্ষা অ্যাপ
গুগল প্লে স্টোরের অনুমোদন না পাওয়ায় আটকে গেছে করোনাভাইরাসের টিকার নিবন্ধনের জন্য তৈরি করা ‘সুরক্ষা’অ্যাপের কার্যক্রম। টিকা কার্যক্রমে গতি আনতে শুরুতে ব্যাপক প্রচারণা চালালেও শেষপর্যন্ত এ অ্যাপ আলোর মুখ দেখবে, তাও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। ফলে টিকা নিবন্ধন চলছে শ্লথগতিতে। তবে টিকা নিবন্ধন স্বাভাবিক রাখতে ওয়েব পোর্টালে সুরক্ষা লিংক আরও সহজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগ।
প্রতিদিন সাড়ে তিন লাখ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল সরকারের। নিবন্ধনে আগ্রহী ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করতে শুরুতে ৫৫ বছরের বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা কমিয়ে ৪০ বছর করা হয়েছে। কিন্তু টিকা কার্যক্রম উদ্বোধনের ১৯ দিন পার হলেও সুরক্ষা অ্যাপ না আসায় নিবন্ধনে গতি বাড়ছে না।
বিজ্ঞাপন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সরকারি অ্যাপ গুগল প্লে স্টোরে আনতে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসতে হয়। ওই প্রক্রিয়া শেষ হয়ে অ্যাপটি আদৌ আসবে কিনা, আসলে কবে আসবে— সেটা নিশ্চত করে বলা যাচ্ছে না।
ওয়েবসাইট নিবন্ধন পদ্ধতিটাই আপাতত সক্রিয় থাকবে। অ্যাপ আমরা করব না। ওয়েবসাইটে মোবাইল থেকেই যেন সহজভাবে নিবন্ধন করা যায় আমরা সেই ব্যবস্থা করছি
জুনায়েদ আহমেদ পলক, প্রতিমন্ত্রী, আইসিটি বিভাগ
আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এ প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ওয়েবসাইট নিবন্ধন পদ্ধতিটাই আপাতত সক্রিয় থাকবে। অ্যাপ আমরা করব না। ওয়েবসাইটে মোবাইল থেকেই যেন সহজভাবে নিবন্ধন করা যায় আমরা সেই ব্যবস্থা করছি।’
তিনি বলেন, ‘প্লে স্টোরে বিভিন্ন জটিলতার কারণে অ্যাপটা এখনও আসেনি। এখন আর অ্যাপ নিয়ে আমাদের কোনো ভাবনা নেই। যখন আসবে, তখন আবার আপনাদের জানানো হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম শাখার ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (মেডিকেল বায়োটেকনোলজি) ডা. মারুফুর রহমান অপু ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘অ্যাপটির ভেরিফিকেশন নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। ফলে অনুমোদন নিয়ে প্লে স্টোরে আসতে ঝামেলা হচ্ছে। এ কারণে অ্যাপটা আদৌ আসবে কিনা বা কবে আসবে— সেটা নিশ্চয়তা দিয়ে বলা যাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘এটা যদি কারও ব্যক্তিগত অ্যাপ হতো, তাহলে এত সময় লাগত না। একটা সরকারি অ্যাপ অথেনটিকেশন (প্রমাণীকরণ) করতে গুগলের নানা প্রক্রিয়া রয়েছে। বাংলাদেশের সিস্টেম তো আর আমেরিকার সিস্টেমের মতো না।’
এটা যদি কারও ব্যক্তিগত অ্যাপ হতো, তাহলে এত সময় লাগত না। একটা সরকারি অ্যাপ অথেনটিকেশন (প্রমাণীকরণ) করতে গুগলের নানা প্রক্রিয়া রয়েছে। বাংলাদেশের সিস্টেম তো আর আমেরিকার সিস্টেমের মতো না
ডা. মারুফুর রহমান, ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
মারুফুর রহমান অপু বলেন, প্রথম দফায় গুগল থেকে কিছু কাগজপত্র চাওয়া হলে আমি সব দিয়েছি। কিন্তু গুগল কর্তৃপক্ষ সেটাকে রিজেক্ট করে দিয়েছে। এ মুহূর্তে একটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। তাই এখন আর এ জটিলতার পেছনে না ছুটে ওয়েবসাইটের নিবন্ধন নিয়েই ভাবা হচ্ছে। আমরা এখনও চেষ্টা করছি। তবে জানি না আর আসবে কিনা।’
অ্যাপ প্রসঙ্গে গত ৯ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, অ্যাপটি আইসিটি মন্ত্রণালয় তৈরি করেছে এবং গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করেছে। এটা একটা প্রসেসিংয়ের বিষয়, তাই একটু সময় লাগছে। অ্যাপ না থাকায় আপাতত সুরক্ষা ওয়েবসাইটে নিবন্ধন চলছে। ওয়েবসাইটটি আইসিটি ডিভিশনের তত্ত্বাবধানেই চলছে। তারাই এটার দেখাশোনা করছে। নতুন একটা ওয়েবসাইট তৈরি হলে কিছু সমস্যা হতেই পারে। এক্ষেত্রে যখনই যে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, আইসিটি ডিভিশনকে আমরা জানাচ্ছি এবং তারা সঙ্গে সঙ্গেই ঠিক করে দিচ্ছে। আমরা সবসময় এ বিষয়ে সজাগ আছি। তাদের সঙ্গে সবসময়ই আমাদের যোগাযোগ আছে।
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমরা বলেছি, কোনো কারণে অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যদি নিবন্ধন করতে দেরি হয়, তাহলে আপনারা টিকাকেন্দ্রে এসে হাতে নিবন্ধন করে নেবেন। পরে আমরা ওই কাগজগুলো আমাদের মূল সার্ভারে এন্ট্রি করে দেব। কাজেই অ্যাপ বা ওয়েবসাইট কোনো সমস্যা নয়, আমরা বিকল্প ব্যবস্থা করে রেখেছি।’
টিকাকেন্দ্রেও নিবন্ধনের সুযোগ থাকবে জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘কারও যদি অনলাইনে নিবন্ধন করতে কোনো সমস্যা হয়, তাহলে আমাদের উপজেলা-ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রে এসে নিবন্ধন করবেন এবং সেখান থেকে এসেই টিকা নেবেন। যদি তথ্যকেন্দ্রেও নিবন্ধন করতে না পারেন, তাহলে টিকাকেন্দ্রে আপনাদের জন্য নিবন্ধনের ব্যবস্থা থাকবে, সেখানে এসে নিবন্ধন করে টিকা নিয়ে যাবেন।’
কারও যদি অনলাইনে নিবন্ধন করতে কোনো সমস্যা হয়, তাহলে আমাদের উপজেলা-ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রে এসে নিবন্ধন করবেন এবং সেখান থেকে এসেই টিকা নেবেন। যদি তথ্যকেন্দ্রেও নিবন্ধন করতে না পারেন, তাহলে টিকাকেন্দ্রে আপনাদের জন্য নিবন্ধনের ব্যবস্থা থাকবে, সেখানে এসে নিবন্ধন করে টিকা নিয়ে যাবেন
জাহিদ মালেক, মন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ (এনসিডিসি)- এর পরিচালক ও মিডিয়া সেলের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা ভাবছি, ৭ তারিখের আগেই কেন ৩৫ লাখ লোকের নাম এলো না? নিবন্ধন শুরুর আগেই কেন ৩৫ লাখ লোক রেডি না? কেন প্রতিদিন ১০/২০ লাখ করে নিবন্ধন হচ্ছে না? কিন্তু বিষয়টা আসলে এরকম না। কারণ, টিকা প্রয়োগ ও নিবন্ধন কার্যক্রমটা তো একটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। গত ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে, এখন এটা অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চলবে। এখন পর্যন্ত যা নিবন্ধন হয়েছে, তাদের টিকা দেওয়ার মধ্যেই আরও দেখবেন ছয় লাখ নিবন্ধন হয়ে যাবে। তারপর আরও ১০ লাখ নিবন্ধন জমে যাবে। এভাবেই আস্তে-ধীরে হবে। হুট করে তো এক-দুদিনে সব হয়ে যাবে না।’
তিনি বলেন, আমরা যদি সারাদেশে আড়াই হাজার কেন্দ্র করি, প্রতিদিন তো আড়াই লাখের বেশি টিকা দিতে পারব না। তাহলে ৩৫ লাখ ডোজ টিকা দিতেও তো কমপক্ষে ১৬/১৭ দিন লেগে যাবে। এ সময়ের মধ্যে এমনিতেই এরও বেশি নিবন্ধন হয়ে যাবে। আর যদি না হয়, আরেকটু সময় লাগবে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।
নিবন্ধনে যেহেতু ধীরগতি, সেরামের তিন কোটি ডোজ টিকা দিতে কয়দিন লাগবে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেরামের তিন কোটি ডোজ একসঙ্গে আসছে না। একেক মাসে মিলিয়ে আসছে। আমরাও তো সব একসঙ্গে দিচ্ছি না। প্রথমে ৩৫ লাখ ডোজ টিকা দেব। এভাবে আমাদের এ কার্যক্রম অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চলবে।
আমরা যদি সারাদেশে আড়াই হাজার কেন্দ্র করি, প্রতিদিন তো আড়াই লাখের বেশি টিকা দিতে পারব না। তাহলে ৩৫ লাখ ডোজ টিকা দিতেও তো কমপক্ষে ১৬/১৭ দিন লেগে যাবে। এ সময়ের মধ্যে এমনিতেই আরও বেশি নিবন্ধন হয়ে যাবে। আর যদি না হয়, আরেকটু সময় লাগবে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন, পরিচালক, এনসিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খোরশেদ আলম গত ৪ ফেব্রুয়ারি সুরক্ষা অ্যাপ প্লে স্টোরে চলে আসবে বলে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা অ্যাপ প্রস্তুত রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপটা আপলোড করেছি। ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই এটা অ্যাপ্রুভ হয়ে যাবে। তখন থেকেই এটা ডাউনলোড করা যাবে।
মোট টিকা নিয়েছেন ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৬১৩ জন
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গণটিকা প্রয়োগ কার্যক্রমের নবম দিন অর্থাৎ ১৬ ফেব্রুয়ারি টিকা নিয়েছেন আরও দুই লাখ ২৬ হাজার ৯০২ জন। এ নিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী মোট টিকা নিয়েছেন ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৬১৩ জন। নতুন ৩৫ জনসহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে মোট ৪৯০ জনের। বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি এবং ময়মনসিংহ বিভাগের মানুষ সবচেয়ে কম টিকা নিয়েছেন। এ সময়ে ঢাকা মহানগরে টিকা নিয়েছেন ৩৪ হাজার ৪৬ জন, যার মধ্যে সর্বোচ্চ রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে টিকা নিয়েছেন তিন হাজার ৬৪৬ জন।
১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
টিকা কর্মসূচিতে সন্তুষ্ট জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশে চলছে টিকাদান কর্মসূচি। ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৬১৩ জন। তাদের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে মোট ৪৫৫ জনের। সবমিলিয়ে সরকারের টিকা কর্মসূচিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
১৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার সফলতার সঙ্গে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে। প্রাথমিক ভয়-ভীতি, গুজব উপেক্ষা করে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী টিকা নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়েছে। সুশৃঙ্খলভাবে টিকা কর্মসূচি চলছে। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি সন্তুষ্ট। প্রাথমিকভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই বিনামূল্যে টিকাদান কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার বিষয়েও মতামত প্রকাশ করেছে কমিটি।
টিকার দ্বিতীয় চালান আসছে ২২ ফেব্রুয়ারি
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) করোনার টিকার দ্বিতীয় চালান আসবে। এ চালানে ২০ থেকে ৩০ লাখ ডোজ আনা হবে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনার টিকা নেওয়া শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
যেহেতু সরকারিভাবে আসছে তাই এখনই বেসরকারিভাবে টিকা আনার কোনো পরিকল্পনা নেই জানিয়ে পাপন আরও বলেন, নিজেদের জন্য বেসরকারি উদ্যোগে টিকার জন্য কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই, কারণ সবাই ফ্রিতেই টিকা পাচ্ছে। ফলে এখনই বেসরকারি পর্যায়ে টিকা আসছে না।
করোনায় মোট ৮২৯৮ জনের মৃত্যু, শনাক্ত পাঁচ লাখ ৪১ হাজার ৪৩৪ জন
করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে আরও ৩৯৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশে মোট পাঁচ লাখ ৪১ হাজার ৪৩৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮ হাজার ২৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৭৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার দুই দশমিক ৬৮ শতাংশ। এছাড়া গত একদিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৭৫১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ফলে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬২১ জন হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। সংক্রমণের শুরুর দিকে দেশে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সেটি ২০ শতাংশের বেশি ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। তবে ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে রয়েছে।
টিআই/এমএআর/