মুখ খুললেই হবে জয়
সাইবার অপরাধে আক্রান্ত ৭ শতাংশ ভিকটিম অভিযোগ দায়েরের জন্য আইনের দ্বারস্থ হন; ৫৪ শতাংশ ভিকটিম পুলিশের প্রতি নারাজ; ৪৪ শতাংশ মনে করেন, দোষীসাব্যস্ত ব্যক্তিকে যদি সঠিক আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হতো; ২৩ শতাংশ ভিকটিম পুনরায় যৌন হয়রানির ভয়ে আইনের দ্বারস্থ হতে ভয় পান...
মা-বাবাহারা জুথি (ছদ্মনাম) তিন ভাই-বোনকে নিয়ে সাভার থাকেন। দিনাজপুরের ভিন্ন ধর্মাবলম্বী এক স্কুলশিক্ষকের সঙ্গে ফেসবুকে প্রেম হয় তার। সম্পর্কের দুই বছরের মাথায় ছেলেটি প্রায়ই জুথির কাছে আপত্তিকর ছবি চাইত। কিন্তু ছবি দিতে রাজি না হওয়ায় ছেলেটি জুথিকে জানিয়ে দেয়, সে আর সম্পর্ক রাখতে পারবে না। পরে মেয়েটি সম্পর্ক বাঁচাতে বাধ্য হয় ছেলেটিকে স্পর্শকাতর কিছু ছবি দিতে।
বিজ্ঞাপন
এরপর শুরু হয় ব্ল্যাকমেইলিং। ছেলেটি জুথিকে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য চাপ দিতে থাকে। ছেলেটি যখন তৃতীয়বারের মতো ঢাকায় আসে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে, তখন সে লুকিয়ে ছেলেটির ফোন চেক করে। সেখানে দেখে শুধু সে নয়, আরও অনেক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে ছেলেটির। একইভাবে তাদের কাছে ছবি চেয়েছে।
নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত না করায় অপরাধপ্রবণ সাইটগুলোতে গিয়ে মানুষ সাইবার অপরাধের নানা কৌশল শিখছে। ফলে যেমন ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার অপরাধও
নিনা গোস্বামী, সিনিয়র উপ-পরিচালক, আসক
একদিন জুথি ওই ছেলেকে অন্য এক মেয়ের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে দেখে ফেলে এবং সম্পর্ক না রাখার কথা জানায়। তবে ছেলেটি জানায়, সম্পর্ক না রাখলে জুথির সব আপত্তিকর ছবি ভাইরাল করে দেবে। মেয়েটি ভীষণ ভয় পেয়ে যায়। উপায়ান্তর না দেখে মেয়েটি চুপ থাকে।
ওই ঘটনার কিছুদিন পর মেয়েটিকে একটি অপরিচিত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ম্যাসেজ দিয়ে ছবিগুলো ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। শেষমেশ পরিবার ও পুলিশের সহযোগিতা চায় জুথি। রক্ষা পায় মেয়েটি।
জুথির মতো হাজারও মেয়ে, শিশু ও নারী সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো তাদের ‘অনলাইন উৎপীড়নের’ সবচেয়ে পরিচিত স্থান।
বিগত ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে সাইবার অপরাধ বেড়েছে। ২০১৯ সালে সাইবার অপরাধের মামলা হয়েছে ২৮৪টি এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৭১ জন। ২০২০ সালে মোট মামলা হয়েছে ৩১৭টি এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ২৮৪ জন
কখনও ছবি বিকৃত করে ব্যক্তিগত ভিডিওর সঙ্গে আপলোড করা, পর্নোগ্রাফি বা অশ্লীল কোনো পোস্ট ট্যাগ করে দেওয়া অথবা বিভিন্ন স্পর্শকাতর ছবি বা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া বা বিকৃত করার হুমকি দিয়ে কোনোকিছু হাসিলের চেষ্টাসহ নানা ধরনের সাইবার ক্রাইম দিনদিন বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিসংখ্যান থেকে শুরু করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যানেও সাইবার ক্রাইম বৃদ্ধির বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে।
পরিসংখ্যান যা বলছে
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিগত ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে সাইবার অপরাধ বেড়েছে। ২০১৯ সালে সাইবার অপরাধের মামলা হয়েছে ২৮৪টি এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৭১ জন। ২০২০ সালে মোট মামলা হয়েছে ৩১৭টি এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ২৮৪ জন। এর মধ্যে ২০১৯ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয় ২০০টি, গ্রেপ্তার ১২১ জন; পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা ৮৩টি, গ্রেপ্তার ৪৯ জন এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে মামলা একটি আর গ্রেপ্তার হন একজন।
নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত না করায় অপরাধপ্রবণ সাইটগুলোতে গিয়ে মানুষ সাইবার অপরাধের নানা কৌশল শিখছে। ফলে যেমন ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার অপরাধও
নিনা গোস্বামী, সিনিয়র উপ-পরিচালক, আসক
অন্যদিকে ২০২০ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২৮৩টি মামলা, গ্রেপ্তার ১৯৯ জন; পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা ৭৯টি, গ্রেপ্তার ৪৯ জন। যদিও ডিএমপির এ পরিসংখ্যানে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের তথ্য যোগ করা হয়নি।
পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নও (র্যাব) বলছে, দিনদিন সাইবার ক্রাইমের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
এদিকে নানা পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সাইবার অপরাধের শিকার সবচেয়ে বেশি হচ্ছেন নারীরা। তাদের জন্য আলাদা একটি ইউনিট খুলেছে পুলিশ। পুলিশের সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন (পিসিএসডব্লিউ) সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১৬ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে এখন পর্যন্ত বিশেষ ইউনিটের হটলাইনে প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি সাইবার অপরাধের শিকার নারী কল করেছেন। এর মধ্যে ফেইক ফেসবুক আইডি সংক্রান্ত অভিযোগ ২৩ শতাংশ, আইডি হ্যাক সংক্রান্ত ১৩ শতাংশ, ব্ল্যাকমেইলিং সংক্রান্ত ৮ শতাংশ, মোবাইল হ্যারাজমেন্ট সংক্রান্ত ৯ শতাংশ, অশ্লীল কন্টেন্ট পাঠানো সংক্রান্ত ৭ শতাংশ, অন্যান্য ৯ শতাংশ এবং অপ্রাসঙ্গিক অভিযোগ আসে ২৭ শতাংশ।
সাইবার অপরাধে ২৩ শতাংশ ভিকটিম পত্রিকায় ছাপা হওয়ার ভয়ে আইনি সহায়তা নিতে ভয় পান; ১৭ শতাংশ ভিকটিম তাদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবার ভয়ে সাইবার হয়রানি সম্পর্কিত ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করতে চান না; ৩০ শতাংশ ভিকটিম জানেনই না অনলাইনে যৌন নির্যাতনের শিকার হলে কীভাবে আইনি সহায়তা পেতে পারেন; ২৫ শতাংশ ভিকটিম কোনো ইতিবাচক ফল আসবে না বিধায় কোনো অভিযোগ করতেই চান না
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিসংখ্যান বলছে, অসচেতনতা, সামাজিক মর্যাদা নষ্ট হওয়ার শঙ্কা এবং দোষীদের শাস্তি না হওয়াসহ নানা কারণে সাইবার ক্রাইম বেড়ে চলছে। আসকের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সাইবার অপরাধে আক্রান্ত ৭ শতাংশ ভিকটিম অভিযোগ দায়েরের জন্য আইনের দ্বারস্থ হন; ৫৪ শতাংশ ভিকটিম পুলিশের প্রতি নারাজ; ৪৪ শতাংশ মনে করেন, দোষীসাব্যস্ত ব্যক্তিকে যদি সঠিক আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হতো; ২৩ শতাংশ ভিকটিম পুনরায় যৌন হয়রানির ভয়ে আইনের দ্বারস্থ হতে ভয় পান; ২৩ শতাংশ ভিকটিম পত্রিকায় ছাপা হওয়ার ভয়ে আইনি সহায়তা নিতে ভয় পান; ১৭ শতাংশ ভিকটিম তাদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবার ভয়ে সাইবার হয়রানি সম্পর্কিত ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করতে চান না; ৩০ শতাংশ ভিকটিম জানেনই না অনলাইনে যৌন নির্যাতনের শিকার হলে কীভাবে আইনি সহায়তা পেতে পারেন; ২৫ শতাংশ ভিকটিম কোনো ইতিবাচক ফল আসবে না বিধায় কোনো অভিযোগ করতেই চান না।
নিয়মতান্ত্রিক মামলার ক্ষেত্রে পুলিশের সফলতা রয়েছে, কিন্তু সাইবার অপরাধ আগের তুলনায় কিছুটা বেড়ে গেছে। পুলিশ চেষ্টা করছে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনতে। সমস্যাটি হচ্ছে, সাইবার অপরাধ হয় সাইলেন্টলি, সোশ্যাল মিডিয়াতে। তাই অপরাধগুলো ডিটেক্ট করা একটু কষ্টসাধ্য
এ কে এম শহীদুল হক, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক
জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) বলছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু। ১৮ বছরের কম বয়সের জনসংখ্যা ছয় কোটি ৩০ লাখ যা মোট জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ। এই শিশুরা বিভিন্নভাবে নির্যাতন-শোষণের শিকার হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইনে শিশু যৌননির্যাতন একটি নতুন মাত্রা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
আসক যা বলছে
দেশে প্রতিনিয়ত ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে সাইবার অপরাধও। নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা ও দক্ষ লোকবলের অভাবে সাইবার অপরাধ দমন রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য।
এ বিষয়ে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) সিনিয়র উপ-পরিচালক নিনা গোস্বামী ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত না করায় অপরাধপ্রবণ সাইটগুলোতে গিয়ে মানুষ সাইবার অপরাধের নানা কৌশল শিখছে। ফলে যেমন ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার অপরাধও। এক্ষেত্রে শিশু ও নারীরা খুবই অনিরাপদ একটা পরিবেশে বসবাস করছেন।
সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ কি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে
সময়ের সঙ্গে অপরাধের ধরনও পরিবর্তন হয়েছে। চিরচেনা অপরাধ দমন যতটা সহজ, সে তুলনায় সাইবার অপরাধ মোকাবিলা করা অনেক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে এক্ষেত্রে দক্ষতার একটি প্রশ্ন থেকে যায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে যেসব জায়গায় কাছ হচ্ছে সেসব জায়গায় আরও দক্ষ জনবল আনতে হবে। কারণ ইন্টারনেট ব্যবহারে ইতোমধ্যে একটি জেনারেশন গ্যাপ তৈরি হয়েছে। সেই গ্যাপ দূর করতে স্কিলফুল (দক্ষ) লোকজনকে নিয়োগ দিতে হবে। তা না হলে সাইবার অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে আরও বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
সাইবার অপরাধ ডিটেক্ট করা কষ্টসাধ্য : এ কে এম শহীদুল হক
পুলিশের সদস্য সংখ্যা বা অফিসারদের সংখ্যা বাড়িয়ে সাইবার অপরাধ দমন করা যাবে না। এজন্য দরকার মানসম্মত প্রযুক্তির ব্যবহার। কারণ সাইবার অপরাধ অদৃশ্যভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংঘটিত হয়। তাই মানসম্মত ও প্রযুক্তিগত নজরদারি বাড়াতে হবে এ ধরনের অপরাধ দমনে।
আমরা মনে করি না সাইবার অপরাধ দমন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, এমন অপরাধ অনেক বেড়েছে। ফলশ্রুতিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বিভিন্ন মামলা হচ্ছে। এছাড়া সাইবার অপরাধ দমনে র্যাবের কার্যক্রমও চলমান রয়েছে
লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ, পরিচালক, আইন ও গণমাধ্যম শাখা, র্যাব
এ বিষয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, পুলিশের সদস্য ও অফিসার বেড়েছে। সঙ্গে পুলিশের তৎপরতাও বেড়েছে। নিয়মতান্ত্রিক মামলার ক্ষেত্রে পুলিশের সফলতা রয়েছে, কিন্তু সাইবার অপরাধ আগের তুলনায় কিছুটা বেড়ে গেছে। পুলিশ চেষ্টা করছে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনতে। সমস্যাটি হচ্ছে, সাইবার অপরাধ হয় সাইলেন্টলি, সোশ্যাল মিডিয়াতে। তাই অপরাধগুলো ডিটেক্ট করা একটু কষ্টসাধ্য।
সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উপায়
পুলিশের সাইবার ইউনিটকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এছাড়া সিআইডির সার্ভিস সেন্টারকেও শক্তিশালী করতে হবে। নিত্যনতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে এবং লোকবল নিয়োগ দিতে হবে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। আমি আশা করব, এসব বিষয় দ্রুতই পূরণ হয়ে যাবে এবং হচ্ছেও। এছাড়া নতুন নতুন প্রযুক্তির পণ্য বাজারে আসছে। এগুলোর নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে— বলেন পুলিশের সাবেক এই মহাপরিদর্শক।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যা বলছে
সাইবার অপরাধ নিয়ে র্যাব-পুলিশের বক্তব্য হলো, এ ধরনের অপরাধ বাড়লেও বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে এখনও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়নি তাদের জন্য। তারা সাইবার অপরাধ দমনে সঠিকভাবে কাজ করছেন বলেই মামলা ও গ্রেপ্তারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে— জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ এ প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা মনে করি না সাইবার অপরাধ দমন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। র্যাবের একটি বিশেষায়িত টিম আছে, সেটাকে বলা হয় সাইবার মনিটরিং সেল। এ সেলের সাহায্যে আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাইবার অপরাধের বিষয়ে নজরদারি করি। সাম্প্রতিক সময়ে তথ্যপ্রযুক্তিতেও আমাদের মনিটরিং আছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, এমন অপরাধ অনেক বেড়েছে। ফলশ্রুতিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বিভিন্ন মামলা হচ্ছে। এছাড়া সাইবার অপরাধ দমনে র্যাবের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
পিসিএসডব্লিউ ইউনিটের প্রধান সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক (এআইজি) মীর আবু তৌহিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতিনিয়তই নারীদের প্রতি সাইবার অপরাধ বাড়ছে। আমরাও অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনি প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসছি। আমাদের ইউনিটের কাজ শুধু অপরাধীদের শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করা নয়। আমাদের সবচেয়ে বড় অংশগ্রহণমূলক কাজ হচ্ছে ভিকটিমদের মানসিক কাউন্সিলিং করা। যাতে তারা যেন ডিপ্রেশনে কোনো ধরনের ভুল না করে।
এমএসি/এআর/এমএআর