দুরন্ত গতিতে ছুটবে বাইক, সড়ক কি উপযুক্ত?
মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনক্ষমতা অর্থাৎ সিসি নিয়ে বিতর্ক আছে। বিশ্বের কোথাও সিসির কোনো সীমানা নেই কিন্তু বাংলাদেশে কেন? তরুণদের মুখে এমন প্রশ্ন শোনা গেলেও ভিন্ন মতও আছে। তাদের যুক্তি, বাংলাদেশের রাস্তাঘাট উচ্চ সিসির মোটরসাইকেলের জন্য উপযুক্ত নয়। আছে মৃত্যুঝুঁকিও। তবে মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এ বিষয়ে একমত নয়।
সম্প্রতি ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে মোটরসাইকেল ইঞ্জিনের ক্ষমতার (সিসি) বৈধ সীমা বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। তবে কমিশনের এমন প্রস্তাবের সঙ্গে একমত নন পরিবহনসংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, দেশের সড়কগুলো এখনও উচ্চ সিসির মোটরসাইকেলের জন্য উপযুক্ত নয়। এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে বাড়বে দুর্ঘটনা। সঙ্গে থাকছে মৃত্যুঝুঁকিও।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ১৬৫ সিসির বেশি ক্ষমতার মোটরসাইকেল আমদানি, উৎপাদন বা চলাচলের অনুমতি নেই। কত সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল আমদানি করা যাবে, তা আমদানি নীতিতে বলা থাকে। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের জন্য যে আমদানি নীতি করা হয়, তাতে ১৫০ সিসির বেশি মোটরসাইকেল আমদানি নিষিদ্ধ ছিল। ২০১৭ সালে আমদানি নীতি (২০১৫-১৮) সংশোধন করে ১৬৫ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে পুলিশের ক্ষেত্রে সিসি সীমা কার্যকর হয় না।
নতুন আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না করে এ ধরনের সিসি উঠিয়ে দেওয়া বা বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। কারণ হলো, এমন কোনোদিন যাচ্ছে না যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চার-পাঁচজন মানুষ মারা যাচ্ছে না
ইলিয়াস কাঞ্চন, চেয়ারম্যান, নিসচা
সম্প্রতি সিসির সীমা ১৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৩৫০ সিসি করার একটি প্রস্তাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এসেছে। মোটরসাইকেল খাতের সংগঠন মোটরসাইকেল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রস্তাব করেছে ট্যারিফ কমিশন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের মোটরসাইকেলশিল্প উন্নয়ন নীতি অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মধ্যে দেশে মোটরসাইকেল উৎপাদনের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে ১০ লাখ। কমিশন মনে করে, স্থানীয় মোটরসাইকেল শিল্পের বিকাশে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ইঞ্জিনক্ষমতার সীমা তুলে নেওয়া দরকার। তবে স্থানীয় শিল্পের কথা বিবেচনা করে আপাতত ৩৫০ সিসি পর্যন্ত অনুমোদন দেওয়া যায়। তবে তা ৫০০ সিসি করা এবং একপর্যায়ে সীমা তুলে নেওয়া যেতে পারে।
প্রস্তাবের বিপক্ষে পরিবহনসংশ্লিষ্টরা
এমন প্রস্তাবের বিপক্ষে পরিবহনসংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, বাংলাদেশের রাস্তা বা সড়কগুলো এখনও উচ্চ সিসির মোটরসাইকেলের জন্য উপযুক্ত নয়। সিসি বাড়ানো হলে দুর্ঘটনা আরও বাড়বে। এছাড়া নতুন সড়ক পরিবহন আইনও পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তাই এ মুহূর্তে সিসি বাড়ানোর পক্ষে একমত নন তারা।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)- এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘মোটরসাইকেলের সিসি উঠিয়ে দেওয়া এবং সে ধরনের গতি পাওয়ার মতো সড়ক আমাদের নেই। আরেকটা খুব অবাক করার বিষয়, সেটা হচ্ছে- নতুন আইনের বাস্তবায়ন কিন্তু এখনও হয়নি।’
বিষয়টি নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করছি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে
ড. মো. জাফর উদ্দীন, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
তিনি বলেন, আমাদের দেশে গাড়ির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। কিন্তু সর্বোচ্চ এ গতি কার জন্য, কোন লেনের জন্য? এগুলো তো বিধির মাধ্যমে নির্ধারণ করা। সব গাড়ির সর্বোচ্চ গতি ৮০ কিলোমিটার নয়। প্রাইভেট কারের গতি ৮০ থাকবে, নাকি বাসের, ট্রাকের? এগুলো তো নির্ধারণ করে দিতে হবে। ট্রাকের গতি আর বাসের গতি ৮০ রাখলে দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে।’
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ গতি থাকার পরও বাকি গাড়িগুলোকে বলে দেওয়া হয়, এই লেনে এই গাড়িগুলো চলবে এবং গতি থাকবে এত…। তো সেগুলো তৈরিই হলো না। আইনটাকে এখন পর্যন্ত সেভাবে কার্যকরই করা হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোটরসাইকেলের গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। এ মুহূর্তে আমি যেটা মনে করি, নতুন আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না করে এ ধরনের সিসি উঠিয়ে দেওয়া বা বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। কারণ হলো, এমন কোনোদিন যাচ্ছে না যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চার-পাঁচজন মানুষ মারা যাচ্ছে না। জানুয়ারি মাসেও ১৩৫ জনের মতো মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী মারা গেছেন। আইন বাস্তবায়ন করা ছাড়া সিসি বাড়ানো ঠিক হবে না— এটাই হলো আমার মন্তব্য।’
পাঁচ বছরে দুর্ঘটনা বেড়েছে চারগুণ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) হিসাব অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে চারগুণ। ২০১৬ সালে ২৮৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটলেও ২০২০ সালে এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার আটটিতে।
সিসি বাড়িয়ে দিলেও ৮০-এর ওপরে গতি তুলতে পারবেন না। আর ঢাকা শহরে তেমন রাস্তাও নাই। তবে এক্ষেত্রে ভালোমানের হেলমেট বা সার্টিফাইড হেলমেট নিশ্চিত করতে হবে
সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ, এআরআই, বুয়েট
দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিসি বাড়িয়ে দিলেও ৮০-এর ওপরে গতি তুলতে পারবেন না। আর ঢাকা শহরে তেমন রাস্তাও নাই। তবে এক্ষেত্রে ভালোমানের হেলমেট বা সার্টিফাইড হেলমেট নিশ্চিত করতে হবে।
২০২০ সালে সড়কে ঝরেছে ১৪৬৩ প্রাণ
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাব অনুযায়ী, গত বছর দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে চার হাজার ৭৩৫টি। নিহত হন পাঁচ হাজার ৪৩১ জন। আহত হন সাত হাজার ৩৭৯ জন। নিহতদের মধ্যে নারী ৮৭১, শিশু ৬৪৯। এর মধ্যে এক হাজার ৩৭৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হন এক হাজার ৪৬৩ জন। যা মোট নিহতের ২৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ২৯ দশমিক ১০ শতাংশ। দুর্ঘটনায় এক হাজার ৫১২ পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৬৮৩ জন, অর্থাৎ ১২ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
আমাদের যে মহাসড়কগুলো আছে সেগুলো করিডোরনির্ভর নয়। আমরা রাস্তায় গাড়ি চালাই, হঠাৎ দেখা যায় কেউ দৌড় দেয়। এজন্য দুর্ঘটনাও ঘটে। আমি মনে করি, সিসি বাড়ানোর মধ্য দিয়ে সাধারণ নাগরিকদের ঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে
মোজাম্মেল হক চৌধুরী, মহাসচিব, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি
এছাড়া ২০১৬ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে মোট ২৮৮টি। নিহত হন ৩৩৬ জন। ২০১৮ সালে দুর্ঘটনা ঘটে মোট ৮৪৪টি। নিহত হন ৯৫৩ জন।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১০ কারণ
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১০টি কারণ চিহ্নিত করেছে। সেগুলো হলো- কিশোর-যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, দেশে অতি উচ্চগতির মোটরসাইকেল ক্রয় ও ব্যবহারে বাধাহীন সংস্কৃতি ও সহজলভ্যতা, ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারির শিথিলতা, চালকদের অদক্ষতা ও অস্থিরতা, সড়ক-মহাসড়কে ডিভাইডার না থাকা, সড়ক নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা না থাকা, পারিবারিকভাবে সন্তানদের বেপরোয়া আচরণকে প্রশ্রয় দেওয়া এবং উচ্ছৃঙ্খল যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে কলুষিত রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা।
অবস্থা দাঁড়াবে ভয়াবহ
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান এ প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমাদের দেশের রাস্তাঘাট এখনও এ ধরনের সিসির গাড়ি চলাচলের উপযোগী নয়। সিসি বাড়ানো হলে ভয়াবহ অবস্থা দাঁড়াবে। কারণ এতে ব্যাপক দুর্ঘটনা ঘটবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে মোটরসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতি আছে। কিছু তরুণ ও যুবক আছে, তারা আইনকানুন মানে না, অতিরিক্ত গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে নিজে দুর্ঘটনায় পড়ে, অন্যকেও ফেলে। তারা হেলমেট পরে না এবং আইনও মানে না। এরা সাধারণত বেশি সিসির মোটরসাইকেল চালিয়ে থাকে।’
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১০টি কারণ হলো— কিশোর-যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, দেশে অতি উচ্চগতির মোটরসাইকেল ক্রয় ও ব্যবহারে বাধাহীন সংস্কৃতি ও সহজলভ্যতা, ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারির শিথিলতা, চালকদের অদক্ষতা ও অস্থিরতা, সড়ক-মহাসড়কে ডিভাইডার না থাকা, সড়ক নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা না থাকা, পারিবারিকভাবে সন্তানদের বেপরোয়া আচরণকে প্রশ্রয় দেওয়া এবং উচ্ছৃঙ্খল যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে কলুষিত রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৩১ লাখের বেশি, যা মোট যানবাহনের ৬৮ শতাংশ। এর বাইরে একটি বড় অংশের মোটরসাইকেল অনিবন্ধিত। বিপণনকারী কোম্পানিগুলোর হিসাবে, দেশে বছরে প্রায় পাঁচ লাখ নতুন মোটরসাইকেল বিক্রি হয়।
উচ্চগতির মোটরসাইকেল ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ
দুর্ঘটনার সংখ্যা কমিয়ে আনতে প্রতিবেদনে কয়েকটি প্রস্তাব করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। সেগুলো হলো-
• কিশোর-যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো বন্ধে নিতে হবে কঠোর পদক্ষেপ।
• উচ্চ গতিসম্পন্ন মোটরসাইকেল উৎপাদন, বিক্রি ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ।
• বেশি বেশি দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ।
• সড়ক পরিবহন আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ।
• মহাসড়কে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা লেন তৈরি এবং স্বল্পগতির স্থানীয় যানবাহন বন্ধের উদ্যোগ।
• সড়ক নিরাপত্তার বিষয়ে গণমাধ্যমে চালাতে হবে সচেতনতামূলক প্রচারণা।
ঝুঁকিতে সাধারণ পথচারীরাও
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আসলে সরকার দেশকে মোটরসাইকেলের দেশ করতে চায় কি-না, এটাই আমার প্রশ্ন। আমাদের দেশ ছোট। যে পরিমাণ রাস্তা থাকার কথা, তা নেই। সড়কে নিরাপত্তার তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। গণপরিবহননির্ভর হওয়ার কথা ছিল আমাদের দেশ। কিন্তু সরকার এখন মোটরসাইকেলনির্ভর হয়ে পড়ছে। তাহলে আমাদের সর্বশেষ গন্তব্য কোথায়?’
দেশে মোটরসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতি আছে। কিছু তরুণ ও যুবক আছে, তারা আইনকানুন মানে না, অতিরিক্ত গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে নিজে দুর্ঘটনায় পড়ে, অন্যকেও ফেলে
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান
তিনি বলেন, ‘সড়ক নিরাপত্তার কথা সরকার মুখে-মুখে বলছে, অন্যদিকে মোটরসাইকেলের সিসি বাড়ানো হচ্ছে। আমরা সড়ক দুর্ঘটনার যে রিপোর্টগুলো পড়ছি, সেখানে দেখা যাচ্ছে, ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনার জন্য মোটরসাইকেলই দায়ী। এসব রিপোর্ট আন্তর্জাতিকভাবেও করা হচ্ছে। সরকার এগুলো কর্ণপাত না করে সিসি বাড়ানোর যে উদ্যোগ নিচ্ছে, সেটা সরকারের ভুল নীতি বলেই আমরা মনে করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যে মহাসড়কগুলো আছে সেগুলো করিডোর নির্ভর নয়। আমরা রাস্তায় গাড়ি চালাই, হঠাৎ দেখা যায় কেউ দৌড় দেয়। এজন্য দুর্ঘটনাও ঘটে। আমি মনে করি, সিসি বাড়ানোর মধ্য দিয়ে সাধারণ নাগরিকদের ঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করছি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এসএইচআর/এমএআর