হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা টম ক্রুজকে ঘিরে বহুদিন ধরেই ফিসফাস চলছিল। শোনা যাচ্ছিল, গত এক বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন 'মিশন ইম্পসিবল' সিরিজের নায়ক এবং তার সহ-অভিনেত্রী হেইলি অ্যাটওয়েল। 

সম্প্রতি, একটি সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী 'মিশন ইম্পসিবল ৭' সিনেমার শুটিংয়েই প্রথম আলাপ হয়েছিল টম এবং হেইলির। সেই আলাপ গড়ায় প্রেমে। এরপর গত এক বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর সদ্য বিচ্ছেদের রাস্তা বেছে নিয়েছেন এই দুই তারকা। যদিও এই সম্পর্কের কথা কখনও প্রকাশ্যে আনেননি দু'পক্ষের কেউই। তবু সেটের কলাকুশলীদের নতুন করে কিছু বুঝতে বাকি ছিল না।

২০১২ সালে কেটি হোমস-এর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর তেমন কোনও নায়িকাকে ঘিরে গুঞ্জন ওঠেনি টমের জীবনে। শোনা যায়নি তার তেমন হাই-প্রোফাইল সম্পর্কের কথাও। অন্যদিকে গত বছরেই নিজের তৎকালীন প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছিলেন এই হলিউড অভিনেত্রী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টমের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির মতে, গত বছর লকডাউনের কঠিন সময়েও এই দুই তারকাকে আলাদা করতে পারেনি। তাদের সম্পর্কের বুনোট ঢিলে করার ব্যাপারে ব্যর্থ হয়েছিল। সেখানে এই বিচ্ছেদের খবর অনেকটাই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত।

তবে আশার কথা এই দুই 'প্রাক্তন'-এর মধ্যেকার সম্পর্ক তিতকুটে হয়নি। দু'জনে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছেন শুটিংয়ের কাজ। শট শেষেও ছবি নিয়ে আলোচনা, অল্প বিস্তর ঠাট্টাও নাকি করতে দেখা গেছে তাদের।

উল্লেখ্য, টম ক্রুজ ইতোমধ্যে তিনটি বিয়ে করেছেন। ১৯৮৭ সালে তিনি প্রথম বিয়ে করেন মিমি রজারসকে। তিন বছর পরই সেই সংসার ভেঙে যায়। ১৯৯০ সালে তারকা অভিনেত্রী নিকোল কিডম্যানকে বিয়ে করেন তিনি। ২০০১ সালে ভাঙন ধরে এই সম্পর্কেও। সর্বশেষ ২০০৬ সালে অভিনেত্রী কেটি হোমসের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন টম। ছয় বছর সংসার করে ২০১২ সালে সেটা থেকেও বেরিয়ে আসেন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এই তারকা।

‘মিশন ইম্পসিবল ৭’-এর কাজ শেষ হয়েছে বেশ আগেই। চলতি জুলাতে সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির কারণে এর মুক্তি পিছিয়ে আগামী বছরে নেওয়া হয়েছে। মূলত এই সিনেমার শুটিংয়ের সময়ই হেইলি অ্যাটওয়েলের সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়া করেন টম ক্রুজ।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

আরআইজে