১৪ বার অস্ত্রোপচার, দিনে ৫৫টি ব্যথার ওষুধও খেয়েছেন তিনি
গত শনিবার নিজ বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় আমেরিকান অভিনেতা ও কৌতুকশিল্পী ম্যাথু পেরির মরদেহ। মাত্র ৫৪ বছর বয়সে জীবনাবসান হলো জনপ্রিয় তারকার।
৯০-এর দশকে জনপ্রিয় আমেরিকান টেলিভিশন শো ‘ফ্রেন্ডস’-এর প্রধান ছয় চরিত্রের অন্যতম ছিল চ্যান্ডলার বিং। চ্যান্ডলারের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের নজরে এসেছিলেন ম্যাথু। নিজের অভিনয়ে কৌতুকের সঙ্গে সংবেদনশীলতার এক অদ্ভুত সেতুবন্ধন করেছিলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
কৌতুক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মনোরঞ্জন করলেও ক্যামেরার নেপথ্যে প্রতিনিয়ত লড়াই করে গিয়েছেন ম্যাথু। ১৯৯৪ সালে ‘ফ্রেন্ডস’ শুরু হওয়ার বছর তিনেক পরে ১৯৯৭ সালে এক দুর্ঘটনায় আহত হন ম্যাথু। সেই সময় তাকে ব্যথার ওষুধ হিসাবে ভাইকোডিন দিয়েছিলেন চিকিৎসক। সেই থেকে শুরু ম্যাথুর ভাইকোডিন আসক্তি। এক সময় দিনে ৫৫টি ভাইকোডিন ট্যাবলেটও খেয়েছেন তিনি। মাত্র ১৪ বছর বয়স থেকে মদে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন ম্যাথু। প্রায় ছ’হাজার অ্যালকোহলিক অ্যানোনিমাস মিটিংয়ে গিয়েছেন। ৩০ বছর ধরে থেরাপিতে গিয়েছেন। এমনকি, অন্তত ১৫ বার রিহ্যাবেও গিয়েছেন ম্যাথু। মদ ও ব্যথার ওষুধে আসক্তি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় প্যানক্রিয়াটাইটিসে ভুগেছেন তিনি। সেই সময় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে চিকিৎসা চলাকালীন প্রায় ১০ কেজি ওজন কমে গিয়েছিল তার।
তবে জীবনের এই কঠিন সময়েও তার পাশে ছিলেন বন্ধুরা। ‘ফ্রেন্ডস’-এর জেনিফার অ্যানিস্টন, কোর্টনি কক্স, ম্যাট লেব্লঙ্কের মতো তারকারা সব সময় পাশে থেকেছেন ম্যাথুর। তবে সবচেয়ে শক্ত করে ম্যাথুর হাত ধরে ছিলেন জেনিফার।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে কমপক্ষে ১৪ বার অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল ম্যাথুকে। ২০১৮ সালে এক অস্ত্রোপচারের পর কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। ক্ষণেকের জন্য থেমে গিয়েছিল তার হৃদ্স্পন্দন। তার বাঁচার সম্ভাবনা নেমে গিয়েছিল দুই শতাংশের নীচে। তার পরেও লড়াই থামাননি ম্যাথু। ফিরে এসেছিলেন সেই লড়াই জয় করেও।
এনএফ