বছর পেরোলেও যায়নি ‘চড়ের ব্যথা’
গত বছরের ২৭ মার্চ, অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের সেই ‘চড়কাণ্ড’ এখনো ভুলতে পারেনি বিশ্ব। বছর ঘুরে আবারও প্রস্তুত অস্কার মঞ্চ। নতুনভাবে সেজে উঠছে সব কিছু। কিন্তু পুরোনো ব্যথা ভুলতে পেরেছেন কি ক্রিস রক? জানালেন, এখনো ব্যথা আছে তার, ভোলেননি কিছু্ই।
৯৪তম অস্কার মঞ্চের সঞ্চালক ছিলেন ক্রিস। কথার ছলে অভিনেতা উইল স্মিথের স্ত্রীকে নিয়ে রসিকতা করে ফেলেন। তাতেই রেগে গিয়ে তার গালে সপাট চড় বসিয়ে দেন স্মিথ। অথচ একটু আগেই মঞ্চ থেকে সেরা অভিনেতার পুরস্কার নিয়েছিলেন তিনি। আবারও এলেন সেই মঞ্চে তবে এবার নিতে নয়, দিতে এসেছেন। ‘কিং রিচার্ড’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কারে সম্মানিত হওয়ার পরপরই বিতর্কিত সেই ‘চড়কাণ্ডে’ ব্যাপক সমালোচিত হন স্মিথ।
বিজ্ঞাপন
১২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে বসছে নতুন অস্কার অনুষ্ঠান। তার আগে ক্রিসকে নেটফ্লিক্সের এক অনুষ্ঠানে বলতে শোনা যায়, ‘না, আমি ঘটনার শিকার নই। কেঁদেকেটে সহানুভূতি আদায়েরও চেষ্টা করিনি। সেটা কখনোই হবে না।’ এরপরই সরাসরি চড় প্রসঙ্গে চলে যান ক্রিস। বলে ওঠেন, ‘আমায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, চড় নিয়ে এখনও খারাপ লাগা আছে কি না! আমি বলব, আছে। এখনও ব্যথা পাই। এক বছর পরেও।’
গত বছরের ঘটনা হলেও এখনো যেন বিস্ময়ের ঘোর কাটেনি সিনেমাপ্রেমীদের। কিছু দিন আগেও ‘অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স’-এর পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট জ্যানেট ইয়ং জানান, ভবিষ্যতে অস্কারের কার্যপ্রণালী অনেক বেশি স্বচ্ছ হতে হবে, যাতে এ ধরনের ঘটনা এড়ানো যায়।
অবশ্য এ ঘটনার পরপরই বিভিন্ন মাধ্যমে ক্রিস রক ও তার পরিবারের কাছে ক্ষমা চান উইল স্মিথ। তার এ ধরনের হিংসাত্মক আচরণ মোটেই সঠিক ছিল না বলেও স্বীকার করে নেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার মাথা ঠিক ছিল না। কিন্তু যা করেছি ঠিক করিনি।’ তারপরও মন গলেনি অস্কার কমিটির। দশ বছরের জন্য অস্কার মঞ্চে নিষিদ্ধ হন তিনি।
সূত্র : দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস