এবার শিল্পী সমিতি থেকে পদত্যাগ করছেন রুবেল
কালজয়ী নায়িকা রোজিনার পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচিত কমিটি থেকে এবার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিত্রনায়ক রুবেল। তিনি সহ-সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন। তবে ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। আগামী দু’দিনের মধ্যে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলেও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন এই নায়ক।
শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচন ঘিরে যে বিতর্কিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তা দেখে ভীষণ অসন্তুষ্ট ও হতাশ তিনি। অভিমানী সুরে রুবেল জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে কখনো এফডিসিতে পা রাখবেন না।
বিজ্ঞাপন
তবে পদত্যাগের কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত ব্যস্ততাই উল্লেখ করছেন রুবেল। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, “এ বছর আমার বেশ কিছু কাজ আছে। যেমন- আমি ওমরাহ পালনে যাব। এছাড়া সারাদেশব্যপী কারাতে প্রশিক্ষণ শেষ করাতে হবে। প্রায় তিন শ’ উপজেলায় কাজ করতে হবে। সব মিলিয়ে অনেক ব্যস্ত থাকব। এরমধ্যে সমিতিকে সময় দেওয়া আমার জন্য কঠিন হয়ে যাবে।’’
সহসভাপতি পদে এবার রুবেলের পাশাপাশি জয়লাভ করেছেন খলঅভিনেতা ডিপজল। তারা দু’জনেই মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে প্রার্থী হয়েছেন। ফলে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে প্রার্থী হওয়া চিত্রনায়ক রিয়াজ ও ডিএ তায়েব পরাজিত হন।
রুবেল চাইছেন, তার পদত্যাগের পর এই পদে রিয়াজ দায়িত্ব পালন করবেন। তার ভাষ্য, ‘আমি আমার পদটি রিয়াজের জন্য ছেড়ে যেতে চাই। তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। আমার ছোট ভাইয়ের মতো। আর সে কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বেশ কিছু সফরের সঙ্গী ছিল। সে যদি এ পদে আসে তাহলে আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য সুখবরগুলো আসবে।’
উল্লেখ্য, নায়িকা রোজিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন গত বৃহস্পতিবার। তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে রুবেলের নামও। শুধু তাই নয়, শোনা যাচ্ছে মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে বিজয়ী হওয়া সবাই পদত্যাগ করতে পারেন।
শিল্পী সমিতি নিয়ে এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ সম্পাদক পদটি ঘিরে। এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন জায়েদ খান ও নায়িকা নিপুণ। প্রাথমিক ফলাফলে জায়েদ বিজয়ী হন। এরপর ভোট পুনর্গননার আবেদন করেন নায়িকা। দ্বিতীয়বার গণনায়ও জায়েদের জয় হয়।
পরবর্তীতে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলেন নিপুণ। প্রকাশ্যে আনেন কিছু প্রমাণও। এরই প্রেক্ষিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে বিষয়টির সুরাহা করে নির্বাচনের আপিল বোর্ড। তারা তদন্ত শেষে জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিল করে এবং নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করে।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে রিট করেন জায়েদ। তার রিটের বিরুদ্ধে আবার আপিল করেন নিপুণ। এভাবে আবেদন-পাল্টা আবেদনের মাধ্যমে একটি পদ নিয়ে লড়াইয়ের মাত্রা চরমে পৌঁছেছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
কেআই