বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আদালত। তাই আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই পদে কেউ বসতে পারবেন না, দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার সংগঠনটির কার্যালয়ে যান চিত্রনায়িকা নিপুণ। কার্যালয়ে নিজের নেমপ্লেট লাগিয়েছেন নায়িকা। সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারেও বসেছেন। এর আগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাও জানিয়েছেন।

আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নিপুণ সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেছেন, এ নিয়ে গতকাল থেকেই নানা সমালোচনা, বিতর্ক চলছে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জায়েদ খানও অভিযোগ করেছেন। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘তারা কি আইন কানুনের উর্ধ্বে চলে গেছে? এটা কিসের বহিঃপ্রকাশ? ক্ষমতা? কোন ক্ষমতা বলে নিপুণ এসব করছেন, যারা সাধারণ মানুষ তারা একটু ভাবলেই বুঝবেন গায়ের জোরে এসব করা হচ্ছে, যেমনভাবে শত শত বহিরাগত এনে কথিত আপিল বোর্ড বানিয়ে নিজেকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেছেন নিপুণ।’

তবে এসব বিতর্কের জবাব দিয়েছেন নিপুণ। তিনি জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশের প্রতি তার যথাযথ সম্মান রয়েছে। নিপুণ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এগুলো মিথ্যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমার নেমপ্লেট যেদিন আমি শপথ নেই সেদিনই তৈরি করা হয়েছিল। আর আজ আমি কোনো দায়িত্ব পালন করিনি। সমিতির একজন সদস্য হিসেবে সারাদিন ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়েছি৷ কমিটির কেউ হিসেবে নয়।’

নিপুণ আরও বলেন, ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালত যে রায় দেবেন, তার দিকেই তাকিয়ে আছি৷ আদালত অবমাননা করে ক্ষমতায় বসার কোনো কারণ নেই।’

উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এর প্রাথমিক ফলাফলে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন জায়েদ খান। এরপর ফলাফলে অসন্তোষ জানিয়ে আপিল করেন নিপুণ। আপিলেও জয় আসে জায়েদের পক্ষে। পরবর্তীতে নিপুণ অভিযোগ তোলেন, জায়েদ নির্বাচনে কারচুপি করেছেন। টাকা দিয়ে ভোট কিনেছেন।

এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে নির্বাচনের আপিল বোর্ডে নির্দেশ আসে, বিষয়টি সমাধানের। তদন্তের পর জায়েদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং তার প্রার্থিতা বাতিল করে আপিল বোর্ড। একইসঙ্গে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করা হয়।

তবে আপিল বোর্ডের ওই সিদ্ধান্ত মেনে নেননি জায়েদ। তিনি আদালতে রিট করেন। সেই রিটের বিপরীতে আবার নিপুণও আপিল করেন। দুই পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি হবে শুনানি। এরপরই জানা যাবে, কে হচ্ছেন সমিতির নতুন সাধারণ সম্পাদক।

কেআই