বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে সমিতির নির্বাচনে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশও স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এই আদেশ দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের শুনানি হবে। এর আগ পর্যন্ত শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খান কিংবা নিপুণ কেউই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

এদিকে চেম্বার আদালতের আদেশ শোনার পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন নায়িকা নিপুণ। তিনি জায়েদকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আইন-আদালত এসবে আমি একদমই অভ্যস্ত নই। সে হিসেবে আমি তাকে এটাই বলব যে, আসুন আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করি। হাতে হাত মিলিয়ে চলচ্চিত্রের জন্য কাজ করি।’  

নির্বাচনের ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে নিপুণ বলেন, ‘আমরা আমাদের ইশতেহারে বারবার বলেছি, আমি প্রধানমন্ত্রীকে এফডিসিতে আনতে চাই। আমাকে আমার কাজটা একটু করতে দিন। আমি আসলে চেয়ারের জন্য কাজ করিনি। চেয়ার আমার জন্য মুখ্য না। কিন্তু আমি যদি কিছু করতে চাই, তাহলে সংগঠন ও চেয়ার গুরুত্বপূর্ণ। ধরুন- আমি গিয়ে ওনাকে (প্রধানমন্ত্রী) বললাম যে, আপনি আসেন এফডিসিতে। কিন্তু আমার পজিশন কী? তাই সব সংগঠনের সঙ্গে মিলিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে এফডিসিতে আনতে চাই।’

আদালতের আদেশ নিয়ে নিপুণ বলেন, ‘আদালতের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। আদালত যে রায় দেবেন, আমরা সেটাই মেনে নেব। আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি, ন্যায় বিচার চাই। আজ আদালত থেকেও আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি।’

উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। এর প্রাথমিক ফলাফলে সভাপতি পদে জয়লাভ করেন ইলিয়াস কাঞ্চন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জয় পান জায়েদ খান। তবে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন নিপুণ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচনের আপিল বোর্ড তার প্রার্থীতা বাতিল করে এবং নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করে।

আপিল বোর্ডের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে রিট করেন জায়েদ খান। সেই রিটের পর নিপুণও দ্বারস্থ হয়েছেন আদালতের। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারির পর জানা যাবে, শেষ পর্যন্ত কে বসবেন চেয়ারে।

কেআই