আদালতে ন্যায়বিচার পেয়েছি: জায়েদ খান
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনকে ঘিরে নাটকীয়তা যেন থামছেই না। আজ (সোমবার) জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে এক সপ্তাহের রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালতের দেওয়া এই রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকে জায়েদ খান বলেন, ‘আদালতে ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমি রায় পেয়েছি আপিল বোর্ড অবৈধ বলা হয়েছে। আমিই জয়ী সাধারণ সম্পাদক।’
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও যোগ করেন, ‘মহামান্য হাইকোর্টকে ধন্যবাদ। আদালত বলেছেন, আমার কাজে কোনো বাধা নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ যে স্বাধীন, তা ফের প্রমাণ হলো। আইনের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে।’
এর আগে সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থিতা বাতিল সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন করেন জায়েদ খান। তার আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হওয়া জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে তাকে হারাতে হয় পদ।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান এক সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে নায়িকা নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করেন।
গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এর প্রাথমিক ফলাফলে জয়ী হন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। পরে (শনিবার) আরেক প্রার্থী নিপুণ নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে আবেদন করলে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে আপিল বোর্ড।