শেষ পর্যন্ত হেরেই গেলেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে তার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। তাই সাধারণ সম্পাদক পদে জয় পেলেও চেয়ারে বসতে পারছেন না এই নায়ক। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এফডিসিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান, চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান।

গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল শিল্পী সমিতির নির্বাচন। সেখানে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেন জায়েদ খান। এটা ছিল তার টানা তৃতীয়বারের জয়। তবে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নায়িকা নিপুণ অভিযোগ তোলেন, নির্বাচনে দুর্নীতি করেছেন জায়েদ। টাকা দিয়ে ভোটও নাকি কিনেছেন।

এসব অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনও করেছিলেন নিপুণ। লিখিত অভিযোগ জানান নির্বাচনের আপিল বোর্ডের কাছেও। এরপরই বোর্ডকে বিষয়টির সুরাহা করার দায়িত্ব দেয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।  

এজন্য শনিবার বিকালে বৈঠক ডাকে আপিল বোর্ড। এতে নিপুণ অংশ নিলেও জায়েদ ছিলেন অনুপস্থিত। তার অনুপস্থিতিতেই সোহানুর রহমান সোহান ঘোষণা করেন, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খান থাকছেন না। নির্বাচনে অনিয়ম করার অভিযোগে তার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। তার পরিবর্তে অপর প্রার্থী নিপুণ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

রায় শোনার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন নায়িকা নিপুণ। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “সত্যের জয় হয়েছে। আমার কাছে অনেক প্রমাণ ছিল। আমি অনেকভাবে গিয়েছি পীরজাদার (নির্বাচন কমিশনার) কাছে। তিনি আমাকে সহযোগিতা করেননি। সত্যের জয় হয়েছে। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আর কিছু বলার নেই।”

উল্লেখ্য, এর আগে দুই মেয়াদে চার বছর ধরে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন জায়েদ খান। তখন তার সঙ্গে সভাপতি ছিলেন মিশা সওদাগর। সর্বশেষ নির্বাচনে মিশাকে হারিয়ে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন কিংবদন্তি অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন।

শিল্পী সমিতির এই নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪২৮ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৬৫ জন। তাদের প্রদত্ত ভোটেই নতুন নেতৃত্ব এসেছে সংগঠনটিতে। নির্বাচনে ১৯১ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে বিজয়ী হন ইলিয়াস কাঞ্চন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর পান ১৪৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী জায়েদ খান পান ১৭৬ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নায়িকা নিপুণের ভোট ছিল ১৬৩।

কেআই/আরআইজে