প্রার্থনা ফারদিন দীঘি সিনেমায় কাজ করেন ছোটবেলা থেকেই। শিশুশিল্পী হিসেবে আকাশচুম্বী সাফল্য পেয়েছিলেন। তবে এতদিন তিনি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভোটার হননি। এবারই প্রথম ভোটার হয়েছেন এবং ভোট দিয়েছেন।

আজ শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে শুরু হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। টিয়া রঙের একটি শাড়ি পরে এফডিসিতে এসে তিনি ভোট দিয়েছেন।

এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দীঘি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় অনুভূতি হচ্ছে, এই যে আমি ভোটার কার্ড নিয়ে ঘুরছি। ঘুরছি কারণ, এটাই আমার খুব মজা লাগছে। প্রতিবার আমি আসতাম, বাবার জন্য ভোট চাইতাম এবং দাঁড়িয়ে থাকতাম, এতটুকুই। এবার মানুষ আমার কাছে ভোট চাইবে।’

দীঘির বাবা অভিনেতা সুব্রত বরাবরই শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী হন। সেই সুবাদে বাবার সঙ্গে নির্বাচনে আগেও বহুবার এসেছেন। তবে এবার তিনি একটু বেশি চিন্তিত। দীঘি বলেন, ‘এবার একটু বেশি টেনশন কাজ করেছে। প্রতিবারই হয় এই টেনশনটা। এবার কেন জানি দায়িত্ব থেকে একটু বেশি টেনশন কাজ করেছে। হার-জিৎ তো অবশ্যই আছে। বাবাকে আমি কখনও হারতে দেখিনি। হয়তো বা খুবই কম জিনিসটা। একবার কি দু’বার এরকম হয়েছে। বাবা না আসলে যে আসবে, তার কাছে আমি এতটুকু প্রত্যাশা রাখি, সে যাতে বাবার মতোই থাকে।’

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন দীঘি। সিনেমাটির নাম ছিল ‘তুমি আছো তুমি নেই’। এরপর তিনি আরও কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছেন।

প্রসঙ্গত, এবারের দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। একটিতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ। অন্যটিতে আছেন মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান।

কেআই