যা আছে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের ইশতেহারে
আর মাত্র একদিন পরেই (২৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। যে নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম ঢাকাই সিনেমা অঙ্গন। শেষ সময়ের প্রচারণায় ব্যস্ত দুই প্যানেল ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ ও মিশা-জায়েদ পরিষদের প্রার্থীরা।
নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে মগবাজারের একটি রেস্টুরেন্ট সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল। সেখানে নির্বাচনী ইশতেহার পড়ে শোনান সভাপতি প্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চন। যা সাজানো হয়েছে ২২টি পয়েন্ট আকারে।
বিজ্ঞাপন
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমরা প্রথমেই চাই বঙ্গবন্ধুর তৈরি বিএফডিসিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে। এছাড়াও শিল্পীদের জন্য তৈরি কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবহার, চলচ্চিত্রের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে এটি নির্মাণে ঋণের ব্যবস্থাও করতে চাই।’
তাদের ইশতেহারের পয়েন্টগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বিএফডিসিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনা, শিল্পীদের জন্য তৈরি কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবহার, চলচ্চিত্রের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে এটি নির্মাণে ঋণের ব্যবস্থা, বাতিল ও স্থগিত বা ভোটাধিকার বঞ্চিত শিল্পীদের তা ফিরিয়ে দেওয়া, শিল্পীদের মর্যাদা রক্ষায় কেউ একবার সদস্য হলে আজীবন সদস্য থাকবে, যেকোনও দুর্যোগ শিল্পীদের পাশে দাঁড়াবে সমিতি, সহায়তা গ্রহণকারীদের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ না করা, পার্শ্ববর্তী দেশের শিল্পী সংগঠনের মধ্যে চুক্তি করে দেশের শিল্পীদের কর্মসংস্থান তৈরি করা, ওয়েবসাইট উন্নয়ন, শিল্পীদের প্রোফাইল তৈরি করা, বিশেষ করে নৃত্য ও অ্যাকশন শিল্পীদের প্রোফাইল তৈরি করে বিশ্বের বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে পাঠানো, সভাপতিকে পদাধিকার সেন্সর বোর্ড বা তথ্য-সম্প্রচার বা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন জায়গায় অধিষ্ঠিত করা।
ইলিয়াস কাঞ্চন আরও জানান, তাদের নির্বাচনী ইশতেহারের শ্লোগান ‘মর্যাদা ও পর্দায় আমাদের শিল্পী’।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৭তম নির্বাচন এটি। এবার নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন পীরজাদা হারুন। দুজন সদস্য হলেন বি এইচ নিশান ও জাহিদ হোসেন। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে সোহানুর রহমান সোহানকে। আপিল বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ হোসেন জেমী ও মোহাম্মদ হোসেন।
আরআইজে