বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন কড়া নাড়ছে দরজায়। আগামী ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বিবার্ষিক এ নির্বাচন। এতে সভাপতি পদে লড়ছেন মিশা সওদাগর। জায়েদ খানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মিশা-জায়েদ প্যানেল গঠন করেছেন তিনি। গত দুই মেয়াদে সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন বরেণ্য এ খলঅভিনেতা।

এবারের নির্বাচনে জয়লাভ করলে কী কী কাজের পরিকল্পনা রয়েছে, সে বিষয়ে কথা বলেছেন মিশা সওদাগর। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এফডিসিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।

মিশা বলেন, ‘যে সমস্ত কাজ ৮০-৮৫ শতাংশ করে ফেলেছি, সেগুলোর বাকি অংশ সম্পন্ন করব সবার আগে। এরপর আমরা ভূমিহীন শিল্পীদের ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করব। যাদের ভূমি নেই, তারা যেন বসবাসের জন্য অন্তত দুটো করে রুম পায়, সেটার চেষ্টা করব।’

মিশা-জায়েদ প্যানেলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ রয়েছে, তারা ১৮৪ জন শিল্পীর সদস্যপদ বাতিল করেছেন। সে বিষয়ে মিশা বলেন, ‘যেসব যোগ্য শিল্পী বাদ পড়েছেন, যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে তাদের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। যোগ্যতাহীন কাউকে নিলে তো আমার, সমিতিরই বদনাম হবে।’

বর্তমানে শিল্পী সমিতির ফান্ডে ১২ লাখ টাকা রয়েছে বলে জানান মিশা সওদাগর। জয়লাভ করলে সেই ফান্ড বৃদ্ধিতেও জোরালো পদক্ষেপ থাকবে তাদের। অভিনেতার ভাষ্য, ‘ফান্ড এখন ১২ লাখ টাকা আছে, সেটাকে ৫০ লাখ টাকা করব।’

এবারের নির্বাচনে মিশার বিপরীতে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন কিংবদন্তি নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। কিন্তু এমনটা প্রত্যাশা করেননি মিশা। তিনি বলেন, ‘উনি আমাদের উপদেষ্টা। একবারও কিন্তু আমাদের বলেননি যে, তিনি দাঁড়াতে চান। আমি নিজে গিয়ে তাকে বলেছিলাম, ভাইয়া আমি শুনেছি আপনি কোনো প্যানেল করেননি। যদি আপনি নির্বাচন করতে চান, তাহলে আমার প্যানেল রেডি আছে। আমি সরে যাই, আপনি দাঁড়ান। তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এভাবেই বলেছিলাম তাকে।’

উল্লেখ্য, মিশা-জায়েদের বিপরীতে প্যানেল গঠন করেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ। দুই দলের মধ্যকার নির্বাচনী লড়াই ইতোমধ্যে জমে উঠেছে। কিন্তু শেষ হাসি কার মুখে ফোটে, তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২৮ জানুয়ারি রাত অব্দি।

কেআই/আরআইজে