পুরো নাম প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। সংক্ষেপে দীঘি নামেই সবার কাছে পরিচিত তিনি। ঢাকার সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। অভিনয় করেছিলেন প্রায় দেড় ডজন সিনেমায়। তবে এতদিন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য ছিলেন না তিনি।

সম্প্রতি সংগঠনটির সদস্য হয়েছেন দীঘি। আবার কয়েকদিন পরই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। সুতরাং এবারই প্রথম ভোট দেবেন এই তরুণ নায়িকা।

প্রথমবার ভোটার হয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত দীঘি। তিনি বলেন, ‘এবার নিজে ভোট দিতে পারবো এ কারণে আমি খুবই এক্সাইটেড। এর আগে হয়তো চাইলে ভোটার হতে পারতাম। কিন্তু বাবা কেন জানি আমাকে সদস্য করেনি। বাবা সবসময় বলতেন, আস্তে ধীরে ভোটার হওয়া যাবে।’

দীঘির বাবা অভিনেতা সুব্রত বরাবরই শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিয়ে আসছেন। এ বছর তিনি মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেল থেকে সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন। বাবার জয় নিয়ে শতভাগ আশাবাদী দীঘি। তিনি বলেন, ‘বাবাকে আমি কখনও নির্বাচনে হারতে দেখিনি। তিনি সবসময় তার কর্মগুণে জয়ী হয়েছেন। আমি মনে করি আমার ভোট চাওয়ার জন্য বাবা জিতে যায় এমনটা নয়। তিনি সকলের পছন্দের মানুষ। তাকে আপন মনে করে প্রতিবার সবাই ভোট দেয়।’

রোববার (২৩ জানুয়ারি) বিকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে মিশা-জায়েদ প্যানেলের পরিচিতি। সেখানেই হাজির হন দীঘি। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এই তরুণী। তখন তার বাবা আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়ের কাছে ভোট চান। সুব্রত বলেন, ‘প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, তুমি এবার প্রথম ভোটার হয়েছো। তুমি জানো যে সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে সুব্রত দাঁড়িয়েছে। সে তোমার কী হয়, তা জানার দরকার নেই। তুমি এবার প্রথম ভোটার হিসেবে সুব্রতকে তোমার ভোট প্রদান করবে। এটাই আমি মনেপ্রাণে কামনা করি।’

উল্লেখ্য, গত বছর ‘তুমি আছো তুমি নেই’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে অভিষেক হয় দীঘির। এরপর তিনি আরও কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিকেও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আছেন এই অভিনেত্রী।

কেআই