চিত্রনায়িকা পরীমণির বাবা, মা কেউই নেই। অনেক আগেই তাদের হারিয়েছেন তিনি। তবে সিনেমায় আসার পর তিনি একজন নারী নির্মাতাকে মায়ের মতো সম্মান করেন, অনুভব করেন। তার নাম চয়নিকা চৌধুরী।

এই নির্মাতার প্রথম সিনেমা ‘বিশ্বসুন্দরী’তে অভিনয় করেছেন পরীমণি। সেই সুবাদে দু’জনের মধ্যে স্নেহ-ভালোবাসাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত জুন মাসে যখন পরীমণি উত্তরা বোট ক্লাবে হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন, তখন তার পাশে থেকে প্রতিবাদ করেছেন চয়নিকা। পরীকে সাহস যুগিয়েছেন।

কিন্তু এরপর আগস্ট মাসে পরীমণির বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। মাদকসহ তাকে আটক করা হয়। মাদক মামলায় তিনি প্রায় এক মাস জেলও খেটেছেন। এই বিপদের সময় চয়নিকাকে দেখা যায়নি তার পাশে। এ কারণে অনেক সমালোচনা-বিতর্ক হয়েছিল।

অবশ্য চয়নিকা জানিয়েছিলেন, তিনিও অন্য সবার মতো টেলিভিশন লাইভে পরীর বাসায় র‍্যাবের অভিযান সম্পর্কে জানতে পারেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিষয় বিধায় তিনি তাৎক্ষনিক সেখানে ছুটে যাননি।

পরীমণি কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে আসার পর অনেকের সঙ্গেই তাকে দেখা গেছে। তবে এই প্রথম সেই ‘মায়ের’ সঙ্গে দেখা গেল নায়িকাকে। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) রাতে একটি ভিডিও বার্তায় একসঙ্গে হাজির হন চয়নিকা ও পরীমণি। সেখানে মূলত তারা ‘পদ্মাপুরাণ’ সিনেমার জন্য শুভ কামনা জানিয়েছেন। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) এটি মুক্তি পেয়েছে।

রাশিদ পলাশ পরিচালিত সিনেমাটি নিয়ে পরীমণি বলেছেন, “রাশিদ পলাশের সঙ্গে আমার একটি সিনেমায় কাজ হচ্ছে, যেটার নাম ‘প্রীতিলতা’। সবাই জানেন। সেখান থেকে আমাদের দু’বছরের জার্নি। সেই সুবাদে আমি জানতে পেরেছি, ‘পদ্মাপুরাণ’ সিনেমাটি পুরো টিমের বড় ধরনের ত্যাগ ও প্রতীক্ষার একটি সিনেমা। এ কারণে আমাদের সবার দায়িত্বটাও একটু ভারী। আমরা সবাই চাই, কাল (শুক্রবার) দলে দলে হল ভরে যাক। কোথাও একটা টিকিট না থাকুক। অগ্রিম টিকিট কাটতে হয় যাতে আমাদের।”  

অন্যদিকে চয়নিকা বলেন, ‘আসলে প্রথমের একটা ব্যাপার আছে। আমার যখন প্রথম সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল, আমার খুব ভয় লেগেছিল। আজকে নিশ্চয়ই পরিচালকের (রাশিদ পলাশ) বুকটা ধুকধুক করবে। আমরা সবাই তাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য টিকিট কেটে হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখব।’

কেআই