দীর্ঘ দিন ধরে কিডনি ও মস্তিষ্কজনিত জটিলতায় ভুগছেন বরেণ্য চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। এছাড়া তার রক্তে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণও ধরা পড়ে। এ কারণে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চলছে তার চিকিৎসা। গত প্রায় ৬ মাস ধরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এ অভিনেতা।

তবে এখন তার অবস্থা উন্নতির দিকে। আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ হয়েছেন তিনি। পুনরায় কথাও বলতে পারছেন। খবরটি জানিয়েছেন ফারুকের স্ত্রী ফারহানা পাঠান।

সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘তার (ফারুক) শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেকটা ভালো। এখন তিনি কথা বলতে পারেন। আসলে তার চিকিৎসা প্রক্রিয়া দীর্ঘ মেয়াদি। তাই ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’

গত ২১ মার্চ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয় ফারুককে। এর আগে ৪ মার্চ নিয়মিত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

প্রথম দিকে ফারুকের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। এরপর জুনের দিকে কিছুটা উন্নতি হয়। তবে সেটা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। আবারও সংকটজনক অবস্থায় চলে যান। সেটা থেকেই সম্প্রতি উতরে উঠছেন নন্দিত এই নায়ক।

প্রসঙ্গত, অভিনয়ে আসার আগে ফারুক অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে। স্বাধীনতার বছর ১৯৭১ সালেই তিনি ‘জলছবি’ সিনেমার মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর তিনি ‘লাঠিয়াল’, ‘সুজন সখী’, ‘নয়নমনি’, ‘সারেং বৌ’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সাহেব’, ‘আলোর মিছিল’সহ বহু দর্শকপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন ফারুক। এছাড়া ২০১৬ সালে এই পুরস্কারে তাকে দেওয়া হয় আজীবন সম্মাননা।

কেআই