মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়ে চিত্রনায়িকা পরীমণি বর্তমানে রয়েছেন কাশিমপুর কারাগারে। গত ৪ আগস্ট তাকে আটক করা হয়েছিল। এর মাত্র তিন দিন পরই তার সদস্যপদ স্থগিত করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। ওই সময় শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান জানিয়েছিলেন, ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র শিল্পীদের সঙ্গে পরামর্শ করেই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছিল। সিনিয়রদের মধ্যে ইলিয়াস কাঞ্চন, উজ্জ্বল, সোহেল রানা ও আলমগীরের নাম উল্লেখ করেন তিনি।

তবে সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে যে, ইলিয়াস কাঞ্চনের পরামর্শ একদমই কানে নেয়নি শিল্পী সমিতি। অন্যদিকে আলমগীরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথাই বলেনি কেউ। গণমাধ্যমের কাছে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

আলমগীর বলেন, ‘শিল্পী সমিতির বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ কিংবা সমিতির কোনো সদস্যের সঙ্গেই এই বিষয়ে আমার কোনো কথা হয়নি। কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগও করেননি। আমি এই সমিতির নির্বাহী পরিষদ বা উপদেষ্টা পরিষদের কেউ নই। কেবল সাধারণ একজন সদস্য। সুতরাং আমার সঙ্গে কথা বলার কোনো কারণও নেই। কিন্তু এতে আমার নাম কেন জড়ানো হলো, তা আমার বোধগম্য নয়। শিল্পী সমিতির কোনো কর্মকর্তা যদি আমার নাম বলে থাকে, সেটা অন্যায়। এটা চরম মিথ্যাচার।’

সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়ে আলমগীর বলেন, ‘এমন একটি বহুল চর্চিত ও সমালোচিত ইস্যুতে মিথ্যাভাবে আমার নাম জড়ানোতে সত্যিই আমি বিব্রতবোধ করছি। দয়া করে ভবিষ্যতে কেউ কোনো বিষয়ে আমার নাম ব্যবহার কিংবা আমাকে জড়িয়ে এমন মিথ্যা, অসত্য ও বিব্রতকর তথ্য গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করবেন না।’

এদিকে সিনিয়র শিল্পীদের মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর জায়েদ খান বলেছেন, তারা কেবল সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের মতামত মেনে নেওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। পরীমণির সদস্যপদ স্থগিতের সিদ্ধান্তটি নিয়েছে সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি।

কেআই