খুব ছোটবেলায় মাকে হারান পরীমণি। আরেকটু বড় হয়ে হারান বাবাকেও। ফলে পিরোজপুরে নানা শামসুল হক গাজীর কাছেই বড় হন এ নায়িকা। নানার জন্যও তার ভালোবাসার কখনো কোনো কমতি ছিল না। কিন্তু র‌্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর প্রিয় নানাকেও কাছ থেকে দেখতে পারছিলেন না পরীমণি।

গত ১০ আগস্ট নাতনিকে দেখতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়েছিলেন পরীমণির নানা শামসুল হক গাজী। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে পরীমণির সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) পরীমণির দেখা পেলেন তার শতবর্ষী নানা শামসুল হক গাজী।

এদিন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় তৃতীয় দফায় পরীমণির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম শুনানি শেষে তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শুনানি শেষে পরীমণি বিচারককে বলেন, ‘আমার নানা-ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে চাই।’ এরপর বিচারক অনুমতি দেন। এ সময় আদালতের এজলাসে উপস্থিত নানা শামসুল হকের সঙ্গে দেখা হয় পরীমণির। নাতনিকে কাঠগড়ায় দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় তিনি কাঠগড়ায় পরীমণির সঙ্গে পাঁচ মিনিট কথা বলার সুযোগ পান। পরীমণির নানার সঙ্গে তার খালাতে ভাই মেহেদী এবং আরেকজন উপস্থিত ছিলেন।

তবে তাদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে পরীমণির স্বজনরা কিছুই বলেননি। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরীমণিকে আদালত থেকে বিশেষ নিরাপত্তায় নিয়ে যায়। এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে পরীমণির নানা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হন।

আদালতে কেন এসেছেন জানতে চাইলে পরীমণির নানা বলেন, ‘নাতনীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছি।’

আরআইজে