ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমণি এখন কারাগারের বাসিন্দা। আদালতের নির্দেশে শুক্রবার (১৩ আগস্ট) তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে করোনাজনিত কারণে তাকে এখন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

গত ৪ আগস্ট গ্রেফতারের পর এতদিন তিনি সিআইডি হেফাজতে ছিলেন। দুই ধাপে ৬ দিন রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছিল তাকে। এরপর শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তার আইনজীবী জামিন চাইলেও আদালত সেই আবেদন নাকচ করে দেন।

এদিকে প্রথম দিকে পরীমণির পক্ষে কেউ কথা না বললেও সম্প্রতি তার সমর্থনে মুখ খুলছেন তারকারা। দেশের বেশ কয়েকজন তারকা তার মুক্তি এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।

এবার পরীমণি ইস্যুতে কথা বললেন আলোচিত অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। তিনি বর্তমানে রয়েছেন ভারতে। সেখান থেকেই গণমাধ্যমের কাছে মিথিলা বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি বাংলাদেশে নেই। তাই পরীমণির বিষয়টা নিয়ে ঠিক কী কী ঘটে চলেছে, তা বিস্তারিত জানি না। তবে পরীমণিকে নিয়ে যে মিডিয়া ট্রায়াল হচ্ছে, আমি সেটা একেবারেই সমর্থন করি না। যতরকমভাবে তাকে অপদস্থ করা যায়, করা হচ্ছে।’

মিথিলা আরও বলেন, ‘পরীমণির ক্ষেত্রে সমস্ত মতামত দুইভাগে বিভক্ত, এটা সব ক্ষেত্রেই হয়। শুধু পরীমণি কেন, ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে এমন যেকোনও মেয়েকে নিয়ে কিছু ঘটলেই মিডিয়া ট্রায়াল শুরু হয়ে যায়। এটা অবশ্য শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর সর্বত্রই হয়ে থাকে। কেউ কিছু করলেই, তার লাইফস্টাইল, ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে বিভিন্ন কিছু খুঁড়ে খুঁড়ে বের করার চেষ্টা হয়। পুরুষতান্ত্রিক দিক থেকে সেটার বিচার করা হয়, যেটা একেবারেই ঠিক নয়।’

পরীমণির বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে মিথিলা বলেন, ‘সমাজের সার্বিক উন্নতিতে সংবাদ-মাধ্যমের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। সেটা না দেখে, মহিলা সংক্রান্ত কিছু হলেই তাতে ঝাঁপিয়ে পড়া হয়, এটা কেন? ন্যায়-অন্যায় যা কিছুই ঘটে থাকুক না কেন, তার জন্য দেশের আইন, বিচার-ব্যবস্থা রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে একজন মহিলাকে টেনে এনে বিভিন্ন লেখালেখি হচ্ছে। যার নেতিবাচক প্রভাব সমাজের ওপর পড়ছে। ইন্ডাস্ট্রিতেও এর খারাপ প্রভাব পড়বে। আমি চাই সুষ্টু তদন্ত হোক। অকারণে যেন মেয়েটির কোনও ক্ষতি না হয়ে যায়। পরীমণি যেন সঠিক বিচার পায়।’

প্রসঙ্গত, মিথিলা সম্প্রতি কলকাতার সিনেমায় কাজ করেছেন। রাজর্ষি দে পরিচালিত সিনেমাটির নাম ‘মায়া’। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মিথিলা।

কেআই