নাটক বা সিনেমার গল্পের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় দেশের বাইরে শুটিং করতে হয়। আর এ নিয়ে কোনও অফিশিয়াল অনুমতির প্রয়োজন পড়ত না এতদিন। কিন্তু সেই নিয়মের পরিবর্তন এলো এবার। 

দেশের বাইরে শুটিং করতে হলে এবার নিতে হবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অনুমতি। নতুন এই নিয়ম অনুযায়ী অভিনয়শিল্পী, কলাকুশলী, সংগীতজ্ঞ, ও সংগীতশিল্পীদের অংশগ্রহণ সম্পর্কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নীতিমালার চার নম্বরে বলা হয়েছে, দেশের সিনেমার শুটিং বিদেশে করতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। অনুমোদন প্রদানের ক্ষেত্রে একটি কমিটি যাচাই-বাছাই করে সুপারিশ প্রদান করবে। কমিটি সুপারিশ প্রদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্রের গল্প ও চিত্রনাট্য অনুযায়ী বিদেশে শুটিংয়ের প্রয়োজন আছে কি না, খরচের বিবরণী যথাযথ কি না ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করবে।

এই কমিটির সভাপতি হিসেবে থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র)। সদস্য হিসেবে থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (চলচ্চিত্র), জননিরাপত্তা বিভাগের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি। কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (চলচ্চিত্র-১)।

নীতিমালার তিন নম্বর পয়েন্টে আছে, বিদেশি শিল্পীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন নির্মাণের ক্ষেত্রে সেই প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে প্রতি বিদেশি শিল্পীর জন্য দুই লাখ টাকা ফি (ভ্যাট ও আয়কর ছাড়া) এবং নির্মিত বিজ্ঞাপন প্রচারের সময় টিভি চ্যানেল কর্তৃক এককালীন প্রতি বিজ্ঞাপনের জন্য ২০ হাজার টাকা ফি হিসেবে সরকারকে দিতে হবে।

নীতিমালায় আরো বলা হয়েছে, বিনা পারিশ্রমিকে বিদেশি অভিনয়শিল্পী, কলাকুশলী, সংগীতজ্ঞ, সংগীতশিল্পী ও বিজ্ঞাপনে বিদেশি শিল্পীদের অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ করা যাবে না।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে চিত্রনাট্য পেশ করার সময় বিদেশিদের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিপত্রের প্রয়োজনীয় তথ্যাদি জমা দিতে হবে। বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম।

বিদেশি অভিনয়শিল্পী, কলাকুশলী, সংগীতজ্ঞ, সংগীতশিল্পী ও বিজ্ঞাপনে বিদেশি শিল্পীদের এ দেশে আগমন, অবস্থান ও প্রত্যাবর্তনের দৈনিক শিডিউল পূর্বাহ্নেই প্রযোজক/নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লিখিতভাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় অথবা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনকে জানাতে হবে। শিডিউল পরিবর্তন হলেও জানাতে হবে সংশ্লিষ্টদের।

এমআরএম